ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

রোববার ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটির ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীর বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ। সে উপলক্ষে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে দেওয়া হয়েছে এক নতুন রূপ। সেই সাথে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

সরেজমিনে সৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সৌধের সবুজ ছায়া ঘেরা চত্বর নানা রঙের বাহারি ফুলে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সৌধের সিঁড়িসহ নানা স্থাপনায় দেওয়া হয়েছে রং-তুলির আঁচড়।

শুধু রং-তুলির আঁচড়ই নয়, সৌধের সিঁড়িসহ স্থাপনার যাবতীয় সংস্কার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে এক নব রূপ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সৌধের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা গত ১০ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে এক নতুন রূপ দিয়েছে।

এর আগে পরিষ্কার ও সংস্কার কাজের জন্য গত ১৫ মার্চ থেকে সৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলেও জানান তিনি।

এছাড়া এই প্রকৌশলী আরও জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত।

এদিকে দিবসটির প্রথম প্রহরে সৌধের শহীদ বেদিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি। এর পরপরই শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যাবতীয় গার্ড অব অনার এর মহড়া শেষ করা হয়েছে। সেই সাথে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌধ প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ৭ দিন আগে থেকেই ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশি চেক পোস্ট। সকল ধরনের সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশী শেষে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ করে সৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পরপরই সর্ব সাধারণের জন্য সৌধের গেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

আপডেট টাইম : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭

রোববার ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটির ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীর বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ। সে উপলক্ষে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে দেওয়া হয়েছে এক নতুন রূপ। সেই সাথে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

সরেজমিনে সৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সৌধের সবুজ ছায়া ঘেরা চত্বর নানা রঙের বাহারি ফুলে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সৌধের সিঁড়িসহ নানা স্থাপনায় দেওয়া হয়েছে রং-তুলির আঁচড়।

শুধু রং-তুলির আঁচড়ই নয়, সৌধের সিঁড়িসহ স্থাপনার যাবতীয় সংস্কার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে এক নব রূপ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সৌধের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা গত ১০ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে এক নতুন রূপ দিয়েছে।

এর আগে পরিষ্কার ও সংস্কার কাজের জন্য গত ১৫ মার্চ থেকে সৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলেও জানান তিনি।

এছাড়া এই প্রকৌশলী আরও জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত।

এদিকে দিবসটির প্রথম প্রহরে সৌধের শহীদ বেদিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি। এর পরপরই শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যাবতীয় গার্ড অব অনার এর মহড়া শেষ করা হয়েছে। সেই সাথে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌধ প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ৭ দিন আগে থেকেই ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশি চেক পোস্ট। সকল ধরনের সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশী শেষে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ করে সৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পরপরই সর্ব সাধারণের জন্য সৌধের গেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।