ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির দুই প্রার্থী, কারো হাতে নেই ধানের শীষ

ছয় দিন পরই নির্বাচন। কিন্তু কারো হাতেই ধানের শীষ দিতে পারেনি বিএনপি। সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির দুই নেতা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এতে দ্বিধায় পড়েছেন দলটির কর্মী-সমর্থকরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই পাঁচজনকে ইউনিয়ন থেকে একজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়। এই নির্দেশনা মেনে জেলার ৫৩টি ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বাছাই করে। পঞ্চম ধাপে সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ৮টিতে প্রার্থী বাছাই করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বিভক্তির কারণে বালিয়া ইউনিয়নে কারও নাম পাঠায়নি কমিটি। এ ৯টি ইউনিয়নে ভোট ২৮ মে।

বালিয়া ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, বাছাই কমিটির সভায় বিএনপির প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্ড কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টোর পক্ষে মত দেন। কিন্তু সদর উপজেলার বিএনপির সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন ভুইয়াও মনোনয়ন চান। কিন্তু দলের এই দুই নেতা অনড় থাকায় দলীয় প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

এই সিদ্ধান্তেও পরও ভুট্টো ও আফাজ উদ্দিন দুইজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। স্থানীয় বিএনপির সমর্থক হাফিজ উদ্দিন মন্তব্য করে বলেন, দুইজনকে খুশি রাখতে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেয়নি বিএনপি। আফাজ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ভোটারা আমার সঙ্গেই আছেন। জয়ী হয়ে প্রমাণ করতে চাই আমার হাতে ধানের শীষ তুলে না দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। অন্য দিকে, জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন- গত নির্বাচনে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হতে আমাকে চাপ দেন। তাদের সমর্থনে প্রতিদন্দ্বিতা করছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির দুই প্রার্থী, কারো হাতে নেই ধানের শীষ

আপডেট টাইম : ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০১৬

ছয় দিন পরই নির্বাচন। কিন্তু কারো হাতেই ধানের শীষ দিতে পারেনি বিএনপি। সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির দুই নেতা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এতে দ্বিধায় পড়েছেন দলটির কর্মী-সমর্থকরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই পাঁচজনকে ইউনিয়ন থেকে একজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়। এই নির্দেশনা মেনে জেলার ৫৩টি ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বাছাই করে। পঞ্চম ধাপে সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ৮টিতে প্রার্থী বাছাই করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বিভক্তির কারণে বালিয়া ইউনিয়নে কারও নাম পাঠায়নি কমিটি। এ ৯টি ইউনিয়নে ভোট ২৮ মে।

বালিয়া ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, বাছাই কমিটির সভায় বিএনপির প্রতিনিধিরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্ড কমিটির সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টোর পক্ষে মত দেন। কিন্তু সদর উপজেলার বিএনপির সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন ভুইয়াও মনোনয়ন চান। কিন্তু দলের এই দুই নেতা অনড় থাকায় দলীয় প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।

এই সিদ্ধান্তেও পরও ভুট্টো ও আফাজ উদ্দিন দুইজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। স্থানীয় বিএনপির সমর্থক হাফিজ উদ্দিন মন্তব্য করে বলেন, দুইজনকে খুশি রাখতে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেয়নি বিএনপি। আফাজ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ভোটারা আমার সঙ্গেই আছেন। জয়ী হয়ে প্রমাণ করতে চাই আমার হাতে ধানের শীষ তুলে না দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। অন্য দিকে, জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন- গত নির্বাচনে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হতে আমাকে চাপ দেন। তাদের সমর্থনে প্রতিদন্দ্বিতা করছি।