ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, জনতার রুদ্ররোষ ক্রমেই গণবিস্ফোরণে রূপ নিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সব বাহিনী নামানো হয়েছে, থামাতে পারেনি। সব রকম নির্যাতনের পরও আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। আন্দোলন বাড়ছে, আরও বাড়বে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ছাত্র ও যুবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন এবং এর সব সহযোগী সংগঠন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আছে, জানিয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আন্দোলনে ভবিষ্যতেও থাকব, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পরাজয় না হয়। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের ইতিহাস তারা বলে না। তখন তারা এক ভয়ঙ্কর শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছিল জাতিকে। বাকশাল কায়েম করে জনগণের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের খুনিদের বিচার হলে ২০২৪ এর খুনি শেখ হাসিনারও বিচার হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন মজলুমের পক্ষে, জালিমের বিরুদ্ধে। মজলুমের বিজয় হবেই, জালিমের পরাজয় খুব নিকটেই।
তিনি ছাত্র ও যুবকদের উদ্দেশে বলেন, আগের তুলনায় আরো শক্তি ও সাহস নিয়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এই অবৈধ জালিম সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে এবং ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদের যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন—দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, এইচ এম কাওছার বাঙালি, অ্যাডভোকেট বায়জিদ, মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আল আমিন, খায়রুল আহসান মারজান।