সারা দেশে কারফিউ জারি করায় পূর্বঘোষিত সোমবারের (৫ আগস্ট) শোক মিছিল স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
রোববার রাতে দলটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শোক মিছিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কারফিউ এর কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আগামীকালের (সোমবার) পূর্ব নির্ধারিত শোক মিছিল অনুষ্ঠিত হবে না। একই সঙ্গে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও প্রাণহানি নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পর সরকার পতনের একদফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি ডাকা হলেও রোববার দেশজুড়ে কর্মসূচিতে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন দেখা যায়। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় দেখা যায় অভিভাবকদেরও।
সরকার পতনের কর্মসূচি মোকাবেলায় মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নাশকতা ঠেকাতে চেষ্টা করে পুলিশ।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ-সংঘাত হয়। সারা দেশে সহিংসতায় ৯০ জনের বেশি নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হন।
এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি হলেও আন্দোলনকারীরা এক দিন এগিয়ে সোমবার ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সবাইকে কারফিউ আইন মেনে চলতে আহ্বান রেখেছে।