ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে বর্তমানে সেটাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে হাজির হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন এ কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, এখন একটা সুযোগ এসেছে, এই সুযোগে তারা (জামায়াতে ইসলামী) একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সেটি না করে, তারা একাত্তরে তাদের ভূমিকাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ গণ-অভ্যুত্থানকে স্বাধীনতার ওপরে স্থান দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে একটি মহল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা করতে পারি না আমরা। সবার ওপরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চিরকাল এভাবেই থাকবে। আমরা কাউকে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধ বিভক্ত হবে, এটাও আমরা আশা করি না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘কিছু দিন আগে একটি বক্তব্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দেশে দেশপ্রেমিক শুধু সামরিক বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী। এই বক্তব্যে আমরা আহত হয়েছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বাহিনী। জনগণের বাহিনী হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। এই বাহিনী গড়ে তুলেছেন মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইপিআরের সৈনিক-অফিসাররা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। তারা দেশপ্রেমিক নাকি দেশপ্রেমিক না—তাদের একাত্তরের ভূমিকা, বর্তমান ভূমিকা, প্রত্যেকটি ভূমিকা সাক্ষ্য দেয়, তারা সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (জামায়াত) এত দিন মিত্র হিসেবেই গণ্য করে এসেছি। তাদের ওপর যখন অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট বাহিনী, আমরা তাদের সহমর্মিতা জানিয়েছি। তাদের দলকে যখন বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে, ধানের শীষ দিয়ে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছি। খালেদা জিয়া তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আমরা অনেকে সেটি পছন্দ করিনি, কিন্তু দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে মেনে নিয়েছি। তার বিনিময়ে কি তাদের এই উক্তি করা সঠিক হয়েছে? আমরা এই ধরনের উক্তি তাদের কাছে আশা করি না। এই উক্তির কারণে আজ যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, তাদের মধ্যে ফাটল ধরতে পারে। আশা করি এ ব্যাপারে তারা (জামায়াত) ভবিষ্যতে আরও যত্নবান হবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে বর্তমানে সেটাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে হাজির হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন এ কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, এখন একটা সুযোগ এসেছে, এই সুযোগে তারা (জামায়াতে ইসলামী) একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সেটি না করে, তারা একাত্তরে তাদের ভূমিকাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ গণ-অভ্যুত্থানকে স্বাধীনতার ওপরে স্থান দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে একটি মহল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা করতে পারি না আমরা। সবার ওপরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চিরকাল এভাবেই থাকবে। আমরা কাউকে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধ বিভক্ত হবে, এটাও আমরা আশা করি না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘কিছু দিন আগে একটি বক্তব্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ দেশে দেশপ্রেমিক শুধু সামরিক বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী। এই বক্তব্যে আমরা আহত হয়েছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বাহিনী। জনগণের বাহিনী হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। এই বাহিনী গড়ে তুলেছেন মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইপিআরের সৈনিক-অফিসাররা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। তারা দেশপ্রেমিক নাকি দেশপ্রেমিক না—তাদের একাত্তরের ভূমিকা, বর্তমান ভূমিকা, প্রত্যেকটি ভূমিকা সাক্ষ্য দেয়, তারা সব সময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (জামায়াত) এত দিন মিত্র হিসেবেই গণ্য করে এসেছি। তাদের ওপর যখন অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট বাহিনী, আমরা তাদের সহমর্মিতা জানিয়েছি। তাদের দলকে যখন বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে, ধানের শীষ দিয়ে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছি। খালেদা জিয়া তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আমরা অনেকে সেটি পছন্দ করিনি, কিন্তু দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে মেনে নিয়েছি। তার বিনিময়ে কি তাদের এই উক্তি করা সঠিক হয়েছে? আমরা এই ধরনের উক্তি তাদের কাছে আশা করি না। এই উক্তির কারণে আজ যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, তাদের মধ্যে ফাটল ধরতে পারে। আশা করি এ ব্যাপারে তারা (জামায়াত) ভবিষ্যতে আরও যত্নবান হবে।’