ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ দিনেই সরকার পতন সম্ভব : হান্নান শাহ

সরকার পতনে ৩/৪ মাস আন্দোলনের দরকার নেই। ৭ দিনের বেশি সময় লাগবে না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।

তিনি বলেছেন, এ আন্দোলন জনগণ ও মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। এ আন্দোলনের কর্মসূচি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বা যারা পারবে তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যোগ্য নেতৃত্ব আসলেই আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটবে সরকারের।

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক
এ আলোচনা সভায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশের বিশিষ্ট ১৫ জন নাগরিককে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

হান্নান শাহ বলেন, সার্বভৌমত্ব হারাচ্ছে দেশ। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না। কেউ বললেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। তাকে যেতে হয় কারাগারে; না হয় গুম-খুনের শিকার।

তিনি বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের কী দোষ ছিল? সরকারের দৃষ্টিতে তাদের একটাই দোষ তারা সত্য কথা বলেন। আমি তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

হান্নান শাহ বলেন, তাদের কোনো দোষ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হওয়ায় মুখে যা আসে তাই বলেন। শেখ হাসিনা মিডিয়া ছাড়া যেসব কথা বলেন তা টেপ করে জনগণকে শোনাতে পারলে জনগণ বুঝতে পারতো শেখ হাসিনা কী চিজ।

ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসন এ তিন ডাকাত মিলে জনগণের ভোট চুরি করেছে। এ নির্বাচন তারা যেভাবে করেছে তাতে ভবিষ্যতে জনগণ ভোটের আগ্রহ দেখাবে না।

তথ্যমন্ত্রীর চাপে অনেক গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৭ দিনেই সরকার পতন সম্ভব : হান্নান শাহ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০১৬

সরকার পতনে ৩/৪ মাস আন্দোলনের দরকার নেই। ৭ দিনের বেশি সময় লাগবে না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।

তিনি বলেছেন, এ আন্দোলন জনগণ ও মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। এ আন্দোলনের কর্মসূচি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বা যারা পারবে তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যোগ্য নেতৃত্ব আসলেই আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটবে সরকারের।

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক
এ আলোচনা সভায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশের বিশিষ্ট ১৫ জন নাগরিককে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

হান্নান শাহ বলেন, সার্বভৌমত্ব হারাচ্ছে দেশ। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না। কেউ বললেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। তাকে যেতে হয় কারাগারে; না হয় গুম-খুনের শিকার।

তিনি বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের কী দোষ ছিল? সরকারের দৃষ্টিতে তাদের একটাই দোষ তারা সত্য কথা বলেন। আমি তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

হান্নান শাহ বলেন, তাদের কোনো দোষ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হওয়ায় মুখে যা আসে তাই বলেন। শেখ হাসিনা মিডিয়া ছাড়া যেসব কথা বলেন তা টেপ করে জনগণকে শোনাতে পারলে জনগণ বুঝতে পারতো শেখ হাসিনা কী চিজ।

ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসন এ তিন ডাকাত মিলে জনগণের ভোট চুরি করেছে। এ নির্বাচন তারা যেভাবে করেছে তাতে ভবিষ্যতে জনগণ ভোটের আগ্রহ দেখাবে না।

তথ্যমন্ত্রীর চাপে অনেক গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।