বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জামায়াতে ইসলামীর হরতালে বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
জুলুমের ধারা বজায় রাখার জন্য সরকার ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এমন দাবি করে রিজভী বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ভয় দেখানোর জন্য এবং বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য সরকার জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ২০ দলের নেতাকর্মীরা সরকারের আক্রোশ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
রিজভী বলেন, ‘এক ব্যক্তি এবং একটি রাজনৈতিক দলকে সমীহ করতে হবে। একমাত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সরকার ক্যাগডাইন চালাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে আটকে রাখা এবং তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা সরকারের ক্রমবর্ধমান আক্রোশের বহি:প্রকাশ। ভয়ভীতি আর জুলুমের মাধ্যমে সরকার একমাত্রিক সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ এর ডাকা যে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এই হরতাল তারা ডেকেছে তাদের নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে, তাদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে যে রিমান্ডে নেয়া হলো তার প্রতিবাদ। আমি দলের পক্ষ থেকে জানাতে চাই, জামায়াতে ইসলামের এই সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে সমর্থন জানাচ্ছে বিএনপি।’
রিজভী বলেন, ‘এটা আমাদের দলের সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্তটাই আমি জানালাম। আমি গতকালকে বলেছিলাম যে আমরা সমর্থন জানাবো কি জানাবো না তার কোনো নির্দেশনা নেই। এখন আমার নির্দেশনা আছে যে দলের পক্ষ থেকে তাদের (জামায়াত) হরতালকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।’
২০ দলীয় জোট জামায়াতের হরতাল কর্মসূচিকে সমর্থন জানাচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সেটা ২০ দলীয় জোটের ব্যাপার। বিএনপি জামায়াতের হরতালকে সমর্থন দিচ্ছে।’
সোমবার গ্রেপ্তারের পর জামায়াত আমির মকবুল আহমদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ আটজনের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের এই শীর্ষ নেতারা বর্তমান পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলে দলের প্রচার বিভাগের পক্ষে এম আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক’ করার সময় ঢাকার উত্তরার একটি বাড়ি থেকে জামায়াত নেতাদের আটক করা হয়।
জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা পরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত মামলা। উত্তরার বাসা থেকে হঠাৎ করে গ্রেপ্তার করা হলো অথচ মামলা দেয়া হয়েছে কদমতলী থানায়। এ থেকে বোঝা যায় এটা পরিকল্পিতভাবে মামলা দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ২০ দলীয় জোট কোনো কর্মসূচি যাতে পালন না করে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।