বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বড় দুই দলে মেয়র পদে প্রার্থী নিশ্চিত না হওয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তাপ নেই। নগর পিতার চেয়ারের জন্য দু’দলেই চরম সিদ্ধান্তহীনতা তৃণমূলেও ছড়িয়ে পড়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের আয়তন ৫৮ বর্গ কিলোমিটার। ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিটিতে ৫ লাখ নাগরিকের বাস। ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০২ জন। সবচেয়ে বড় সমস্যায় বরিশাল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর জ্যেষ্ঠ পুত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সব সদস্য রেজ্যুলেশন করে ঢাকায় প্রেরেণ করেছেন তাকে মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য। কিন্তু বরিশালে গুঞ্জন সাদিককে নয় কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে মনোনয়ন দিতে পারে আওয়ামী লীগ।বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, তারা এখনও তাদের মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করেননি। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে মহানগরের যুগ্ম-সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার জন্য তারা সুপারিশ করবেন। এর আগেও মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে সাদিক আবদুল্লাহকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ার জোর সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে দলের সভানেত্রী এবং কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানান, তিনি। যিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন তাকে বিজয়ী করতে দল সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবে বলে মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা জানান। অপরদিকে অন্য যারা মনোনয়ন চাইছেন তাদের অতিথি পাখি হিসেবে মনে করেন কর্মীরা। সাদিক আবদুল্লাহ প্রার্থী না হলে বিএনপি’র জন্য এ আসনটি ধরে রাখা খুবই সহজ হবে মনে করছেন খোদ বিএনপি’র স্থানীয় পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। আর এ বার্তা এরই মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছেছে বলে মনে করেন দলীয় নেতা কর্মীরা।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব এবং মহানগর সভাপতি ও বিসিসি’র প্রথম নির্বাচিত মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার একাধিকবার বলেছেন তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করবেন না। তিনি বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামালকে বিভিন্ন সময়ে কথা-বার্তায় প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়েছেন। অপরদিকে বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল আবারও মনোনয়ন চাইবেন বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন। তিনিও জানান তার সঙ্গে বরিশাল বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। তার মতে সরোয়ারেরও সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
বৃহস্পতিবার রাতে কামাল ঢাকা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে মনোনয়নের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে কামালকে কেন্দ্র মনোনয়ন না দিলে সরোয়ারই হবেন প্রার্থী। মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বুধবারের বৈঠকেও সরোয়াকে প্রার্থী হিসেবে দাবি করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিএনপি’র প্রতিবারের মতো এবারও একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবায়েদুল হক চান, কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।