ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের টিকিট পাচ্ছে অর্ধশত নতুন মুখ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধশত তরুণ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন। এরইমধ্যে প্রায় দেড়ডজন নেতাকে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। আরো কয়েক ডজন নেতা দলের বিবেচনায় রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে বিতর্কিত ও ব্যর্থ সংসদ সদস্যদের জায়গায় তরুণ পরিচ্ছন্ন ইমেজের নতুন মুখ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। দলটির নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক নেতা জানান, দলের সকল সংসদ সদস্যদের আমলনামা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে। একাধিক সূত্র থেকে তিনি নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক নানা বিষয় উঠে এসেছে। এসব আসনে জয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। এ ক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন তরুণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং ব্যবসায়ী নেতাদের প্রার্থী করবে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে অনেক তরুণ নেতারই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নানা কারণে বাদ পড়বেন এমন সংসদ সদস্যদের আসনে তরুণদের মূল্যায়ন করা হবে। ’

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এবার অনেক তরুণ নেতারই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার তরুণ যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে। ফলে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে আমাদের প্রার্থী তালিকায়। ’

নেত্রকোনা-৩ আসনে মনোনয়নের জন্য কয়েক বছর ধরেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। দীর্ঘদিন ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও এখনো জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাননি। নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নিজের শক্ত অবস্থানও তৈরি করেছেন। আগামী নির্বাচনে আসনটিতে অসীম কুমার উকিলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

কয়েক বছর ধরেই নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। বিগত নির্বাচনেও শরীয়তপুর-২ আসনে তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আগামী নির্বাচনে এ আসনে শামীমকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকে এরই মধ্যে নীতিনির্ধারকদের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন তিনি। এক-এগারোর সময়ে শেখ হাসিনার কারামুক্তির আন্দোলন সংগঠিত করার পেছনে আমিন সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

মাগুরা-১ আসনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখরের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। এ আসনে নির্বাচনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিখর। তাঁর বাবাও আসনটিতে জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হন শিখর।

চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী মনোনয়নের জোরালো দাবিদার। গত নির্বাচনেও আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার শীর্ষে ছিলেন। এ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি মনোনয়ন না পেলে সুজিত রায়ই হবেন প্রার্থী।

বরিশাল-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। তাঁর বাবা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ এ আসনের একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। ফলে আসনটিতে পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক শক্ত অবস্থান আছে শাম্মীর। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শাম্মী আহমেদকে প্রার্থী করতে পারে আওয়ামী লীগ।

পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন। মহাজোটের সমীকরণে আসনটি এখন জাতীয় পার্টির দখলে। এবারের নির্বাচন জোটগতভাবে না হলে এ আসনে আফজাল হোসেনই হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নরসিংদী-৫ আসনে নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। ফলে এ আসনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছারের মনোনয়ন পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তমের সন্তান মাহজাবিন খালেদ বেবি জামালপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন । সংরক্ষিত আসনের এই সংসদ সদস্য এরই মধ্যে এই নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন।

মহাজোটের সমীকরণে জাতীয় পার্টির দখলে থাকা ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়নের জোরালো দাবিদার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের চাপ দিচ্ছে। ফলে এ আসনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। নিজের এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কৃষি ব্যাংকসহ নানা প্রতিষ্ঠান করে এলাকায় অবস্থান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন।

দিনাজপুর-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু হুসাইন বিপুর। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য বিপু স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা কর্মসূচি পালন ও জনসংযোগ করে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে অনেক দিন ধরেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মাঈনউদ্দিন আহম্মেদ মিন্টু। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এ মনোনয়নপ্রত্যাশী। ফলে আসনটিতে এ ব্যবসায়ী নেতাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা। তিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন খোকন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে অনেক দিন ধরেই এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোহনের সন্তান লিটন অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদায় ডেইরি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছেন লিটন।

বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রলীগে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায়ও আহত হয়েছিলেন মোশাররফ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জোরালো দাবিদার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন খান টিটো। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছেও প্রিয়ভাজনও হয়ে উঠেছেন।

ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মোস্তাক বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কারানির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে অনেক দিন ধরে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সারোয়ার কবীর। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কবীরের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

পিরোজপুর-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সহসম্পাদক।

বগুড়া-২ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা জুলুম-নির্যাতন সয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোস্তা।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন চট্টগ্রাম-৬ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এর আগেও একাধিকবার আসনটিতে মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। এবারে আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হলে মনোনয়ন পেতে পারেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি জামালপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পেতে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আফজল খানের সন্তান মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। নেত্রকোনা-৫ আসনে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন লন্ডন মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি প্রকৌশলী তুহিন আহমদ খান। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ঢাকা-১৮, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফি আহমেদ নেত্রকোনা-৪, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি নড়াইল-১, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি-১, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন গাইবান্ধা-৫, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বাগেরহাট-৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা পিরোজপুর-১ মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান মিলন ময়মনসিংহ-৭ আসনে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা নাটোর-৪ আসনে, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল পটুয়াখালী-২ আসনে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেন ফরিদপুর-২, হাশিম রেজা চুয়াডাঙ্গা-২, সাইফুদ্দিন নাসির ফেনী-২, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল নারায়ণগঞ্জ-৩, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মানিক পাবনা-৫, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে সক্রিয় আছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের টিকিট পাচ্ছে অর্ধশত নতুন মুখ

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধশত তরুণ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন। এরইমধ্যে প্রায় দেড়ডজন নেতাকে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। আরো কয়েক ডজন নেতা দলের বিবেচনায় রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে বিতর্কিত ও ব্যর্থ সংসদ সদস্যদের জায়গায় তরুণ পরিচ্ছন্ন ইমেজের নতুন মুখ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। দলটির নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক নেতা জানান, দলের সকল সংসদ সদস্যদের আমলনামা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে। একাধিক সূত্র থেকে তিনি নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক নানা বিষয় উঠে এসেছে। এসব আসনে জয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। এ ক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন তরুণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং ব্যবসায়ী নেতাদের প্রার্থী করবে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে অনেক তরুণ নেতারই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নানা কারণে বাদ পড়বেন এমন সংসদ সদস্যদের আসনে তরুণদের মূল্যায়ন করা হবে। ’

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এবার অনেক তরুণ নেতারই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার তরুণ যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে। ফলে অনেক নতুন মুখ দেখা যাবে আমাদের প্রার্থী তালিকায়। ’

নেত্রকোনা-৩ আসনে মনোনয়নের জন্য কয়েক বছর ধরেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। দীর্ঘদিন ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও এখনো জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাননি। নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নিজের শক্ত অবস্থানও তৈরি করেছেন। আগামী নির্বাচনে আসনটিতে অসীম কুমার উকিলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

কয়েক বছর ধরেই নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। বিগত নির্বাচনেও শরীয়তপুর-২ আসনে তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আগামী নির্বাচনে এ আসনে শামীমকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থেকে এরই মধ্যে নীতিনির্ধারকদের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেছেন তিনি। এক-এগারোর সময়ে শেখ হাসিনার কারামুক্তির আন্দোলন সংগঠিত করার পেছনে আমিন সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

মাগুরা-১ আসনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখরের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। এ আসনে নির্বাচনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিখর। তাঁর বাবাও আসনটিতে জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হন শিখর।

চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী মনোনয়নের জোরালো দাবিদার। গত নির্বাচনেও আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার শীর্ষে ছিলেন। এ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি মনোনয়ন না পেলে সুজিত রায়ই হবেন প্রার্থী।

বরিশাল-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। তাঁর বাবা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ এ আসনের একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। ফলে আসনটিতে পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক শক্ত অবস্থান আছে শাম্মীর। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির শাম্মী আহমেদকে প্রার্থী করতে পারে আওয়ামী লীগ।

পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন। মহাজোটের সমীকরণে আসনটি এখন জাতীয় পার্টির দখলে। এবারের নির্বাচন জোটগতভাবে না হলে এ আসনে আফজাল হোসেনই হবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নরসিংদী-৫ আসনে নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। ফলে এ আসনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছারের মনোনয়ন পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তমের সন্তান মাহজাবিন খালেদ বেবি জামালপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন । সংরক্ষিত আসনের এই সংসদ সদস্য এরই মধ্যে এই নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন।

মহাজোটের সমীকরণে জাতীয় পার্টির দখলে থাকা ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়নের জোরালো দাবিদার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের চাপ দিচ্ছে। ফলে এ আসনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। নিজের এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কৃষি ব্যাংকসহ নানা প্রতিষ্ঠান করে এলাকায় অবস্থান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন।

দিনাজপুর-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু হুসাইন বিপুর। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য বিপু স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা কর্মসূচি পালন ও জনসংযোগ করে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে অনেক দিন ধরেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মাঈনউদ্দিন আহম্মেদ মিন্টু। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এ মনোনয়নপ্রত্যাশী। ফলে আসনটিতে এ ব্যবসায়ী নেতাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা। তিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন খোকন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে অনেক দিন ধরেই এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোহনের সন্তান লিটন অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদায় ডেইরি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছেন লিটন।

বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রলীগে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায়ও আহত হয়েছিলেন মোশাররফ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জোরালো দাবিদার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন খান টিটো। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছেও প্রিয়ভাজনও হয়ে উঠেছেন।

ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মোস্তাক বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কারানির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে অনেক দিন ধরে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সারোয়ার কবীর। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কবীরের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

পিরোজপুর-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী এলাকার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সহসম্পাদক।

বগুড়া-২ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা জুলুম-নির্যাতন সয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোস্তা।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন চট্টগ্রাম-৬ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এর আগেও একাধিকবার আসনটিতে মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। এবারে আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হলে মনোনয়ন পেতে পারেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি জামালপুর-৫ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পেতে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আফজল খানের সন্তান মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। নেত্রকোনা-৫ আসনে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন লন্ডন মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি প্রকৌশলী তুহিন আহমদ খান। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ঢাকা-১৮, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফি আহমেদ নেত্রকোনা-৪, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি নড়াইল-১, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি-১, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন গাইবান্ধা-৫, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বাগেরহাট-৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা পিরোজপুর-১ মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান মিলন ময়মনসিংহ-৭ আসনে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লা নাটোর-৪ আসনে, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেল পটুয়াখালী-২ আসনে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেন ফরিদপুর-২, হাশিম রেজা চুয়াডাঙ্গা-২, সাইফুদ্দিন নাসির ফেনী-২, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল নারায়ণগঞ্জ-৩, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মানিক পাবনা-৫, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে সক্রিয় আছেন।