ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুর-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিনাজপুরের সর্বদক্ষিণের চার উপজেলা (হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট) নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন দিনাজপুর-৬। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সবদলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।

এসব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে শোভা পাচ্ছে নানা উৎসবের শুভেচ্ছা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার। এ আসনটিকে কোন নির্দিষ্ট দলের একক ঘাঁটি নয়। বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোর পর্যালোচনা তাই বলে। ১৯৯১ইং সালের নির্বাচনে জামায়াতের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ১৯৯৬ইং সালে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান, ২০০১ইং সালে চার দলীয় জোটের আবারও অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ২০০৮ইং সালে আওয়ামী লীগের ড. আজিজুল হক এবং সবশেষ ২০১৪ইং সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শিবলী সাদিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভব্য প্রার্থীরা অনেক আগে থেকে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। যোগাযোগ রাখছেন ঢাকাতেও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্ভব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে ছয়জন। তারা হলেন–বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, সাবেক সংসদ সদস্য ড. আজিজুল হক, বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পারভেজ কবীর এবং বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মন্ডল।

বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি, ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এজেএম সাহাবুদ্দিন সুজন। তার বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলায়। তবে জোটগত নির্বাচন হলে এ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জোটের প্রার্থী হতে পারেন জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম। তার দল যদি মনোনয়ন দেয় সেও নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে এদিকে নাশকতা সহ রাষ্ট্রদ্রোহি একাধিক মামলা মাথায় নিয়ে তিনি কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো আন্ডারগ্রাউন্ডে দলের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাড়ি হাকিমপুর উপজেলায়।

এছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্যের বড় চাচা স্বপ্নপুরীর সত্তাধিকারী দীর্ঘদিনের একটানা কুশদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন জাতিয় পাট্রির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বাড়িও আফতাবগঞ্জে। ইতোমধ্যেই তিনিও জাতিয় পার্টিকে চাংগা করতে জরুরি সভা সহ দীর্ঘদিনের ওয়ার্ড ইউনিয়ন সহ উপজেলা কমিটি হালনাগাদ করার চেষ্টা করছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দিনাজপুর-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দিনাজপুরের সর্বদক্ষিণের চার উপজেলা (হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট) নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন দিনাজপুর-৬। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সবদলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।

এসব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে শোভা পাচ্ছে নানা উৎসবের শুভেচ্ছা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার। এ আসনটিকে কোন নির্দিষ্ট দলের একক ঘাঁটি নয়। বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোর পর্যালোচনা তাই বলে। ১৯৯১ইং সালের নির্বাচনে জামায়াতের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ১৯৯৬ইং সালে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান, ২০০১ইং সালে চার দলীয় জোটের আবারও অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ২০০৮ইং সালে আওয়ামী লীগের ড. আজিজুল হক এবং সবশেষ ২০১৪ইং সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শিবলী সাদিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভব্য প্রার্থীরা অনেক আগে থেকে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। যোগাযোগ রাখছেন ঢাকাতেও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সম্ভব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে ছয়জন। তারা হলেন–বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, সাবেক সংসদ সদস্য ড. আজিজুল হক, বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পারভেজ কবীর এবং বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মন্ডল।

বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি, ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ এবং নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এজেএম সাহাবুদ্দিন সুজন। তার বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলায়। তবে জোটগত নির্বাচন হলে এ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জোটের প্রার্থী হতে পারেন জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম। তার দল যদি মনোনয়ন দেয় সেও নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে এদিকে নাশকতা সহ রাষ্ট্রদ্রোহি একাধিক মামলা মাথায় নিয়ে তিনি কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো আন্ডারগ্রাউন্ডে দলের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার বাড়ি হাকিমপুর উপজেলায়।

এছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্যের বড় চাচা স্বপ্নপুরীর সত্তাধিকারী দীর্ঘদিনের একটানা কুশদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন জাতিয় পাট্রির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট তার বাড়িও আফতাবগঞ্জে। ইতোমধ্যেই তিনিও জাতিয় পার্টিকে চাংগা করতে জরুরি সভা সহ দীর্ঘদিনের ওয়ার্ড ইউনিয়ন সহ উপজেলা কমিটি হালনাগাদ করার চেষ্টা করছেন।