বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সৌদি আরবের ‘ই-হজ সিস্টেমের’ সঙ্গে সমন্বয়ের লক্ষে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর ন্যায় ২০১৮ সালে হজ গমনে ইচ্ছুকরা প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন।
২০১৭ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার জনের কোটা দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধন সৌদি আরব কর্তৃক প্রাপ্ত কোটা অতিক্রম করলে ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সঙ্গে ঘোষণা করেন, ২০১৮ সালে হজ গমনের সময় প্রাক-নিবন্ধনকারীদের সিরিয়াল অগ্রাধিকার পাবে।
এ ঘোষণার প্রেক্ষিত্রে চলতে থাকে প্রাক-নিবন্ধন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪৮৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৭১ হাজার ২৬০ প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
২০১৮ সালের হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধন চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০১৮ সালে সৌদি আরব বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য কোটা বাড়াবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়, আর কোটা বাড়ালেও কী পরিমাণ কোটা বাড়াবে সেটাও অজানা। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, প্রাক-নিবন্ধনে অংশ নেওয়া ১ লাখ ২৭ হাজারের মতো হজযাত্রী ২০১৮ সালে হজ পালনে যেতে পারবেন। বাকী চলতি বছর প্রাক-নিবন্ধনে অংশ নেওয়া ৪৭ হাজার হজযাত্রীকে হজ পালনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
শেষ মুহূর্তে ২০১৮ সালে যারা হজ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংবা এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া আর উপায় নেই। এমন বাস্তবতায় আশার আলো দেখাচ্ছে সরকারি ব্যবস্থাপনার খালি কোটা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস.এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের হজ মৌসুমে সরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা এখনও খালি আছে।
সুতরাং হজ গমনে ইচ্ছুকরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করে হজযাত্রা নিশ্চিত করতে পারেন।
হজের প্রাক-নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্র, (১৮ বছরের নিচে বয়স যাদের, জাতীয় পরিচয়পত্র নেই সেক্ষেত্রে অভিভাবকের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে