ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নবী-রাসুলদের জীবনে আল্লাহতে সন্তুষ্টি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নবী (সা.) এর ছেলে ইবরাহিম অসুস্থ হন। আনাস (রা.) বলেন, আমি দেখলাম ছেলেটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চক্ষুদ্বয় ভিজে উঠল। তিনি তখন বললেন, ‘চোখ অশ্রুসিক্ত, অন্তর ব্যথিত, তবু তা-ই মুখে উচ্চারণ করব, যাতে প্রভু সন্তুষ্ট। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত।’

যে কেউ আল্লাহর নবীদের (আ.) জীবন পরিক্রমায় নজর দেবেন, তাদের পুরো জীবনই দেখবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশে নিবদ্ধ। দেখুন মুসা (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে ছুটছেন আর বলছেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি আপনার কাছে এলাম, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।’ (সূরা তহা : ৮৪)। সোলায়মান (আ.) তাকে প্রদত্ত আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে এমন আমলের দোয়া করছেন, যা তাঁকে সন্তুষ্ট করবে।

‘হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, যাতে আমি আপনার সেই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা আপনি আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দান করেছেন এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।’ (সূরা নামল : ১৯)। আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.) নিজ রবের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করছেন সৎকর্মপরায়ণ সন্তোষজনক সন্তানের। ‘আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে একজন কর্তব্যপালনকারী দান করুন। সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।’ (সূরা মরিয়ম : ৫-৬)।

আর আমাদের নবী (সা.) তো ছিলেন মানুষের মধ্যে আল্লাহতে সর্বোচ্চ সন্তুষ্ট এবং তাদের মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ সন্তোষপ্রাপ্ত। ছিলেন আল্লাহর সন্তোষ তালাশে সর্বোচ্চ আগ্রহী। তাঁর কথায়-কাজে তা স্পষ্ট ফুটেও উঠত। পূর্ণ সন্তুষ্টির পাশাপাশি সর্বদা দোয়াও করতেন এর জন্য। সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বিছানায় না পেয়ে তার খোঁজে মসজিদে গিয়ে সেখানে তাঁকে সিজদারত দেখতে পেলাম। এ সময় তাঁর দুই পায়ের পাতা খাড়া ছিল।

তিনি এ দোয়া পড়ছিলেন ‘আল্লাহুম্মা আউজু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া আউজু বিমুআফাতিকা মিন উকুবাতিকা ওয়া আউজুবিকা মিনকা লা উহসি সানায়ান আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার কাছে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।’

সুনানে নাসায়িতে সায়েব (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এর একটি দোয়া ছিল এমন ‘আসআলুকার রিজা বাদাল কাজা, ওয়াআসআলুকা বারদাল আইশি বাদাল মাউত। ওয়াআসআলুকা লাজজাতান-নাজারি ইলা ওয়াজহিক, ওয়াশশাওকা ইলা লিকা-ইক, ফি গাইরি যাররা মুজিররাহ, ওয়ালা ফিতনাতিম মুজিল্লাহ। আল্লাহুম্মা জাইয়িন্না বিজিনাতিল কুরআন, ওয়াজ আলনা হুদাতাম মুহতাদ্বিন।’ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার ফয়সালার পর খুশি থাকার মনোবৃত্তি, মৃত্যুর পর জীবনের শীতলতা, আপনার চেহারা দর্শনের স্বাদ এবং আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল আকাক্সক্ষা কোনো ক্ষতিকর স্বাচ্ছন্দ্য ও বিভ্রান্তিকর ফেতনা ছাড়াই। হে আল্লাহ, আমাদের সৌন্দর্যম-িত করুন কোরআনের সৌন্দর্যে এবং আমাদের হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানান।’

নবী (সা.) তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ খাদিজা (রা.) কে হারান, তাঁর ছেলেমেয়েকে হারান, ‘আল্লাহর সিংহ’ চাচা হামজাকে হারান, বহু সাহাবিকে হারান তথাপি তিনি শুধু সে বাক্যই বলেছেন, যা তাঁর রবকে সন্তুষ্ট করে। সহিহ মুসলিমে এসেছে, নবী (সা.) এর ছেলে ইবরাহিম অসুস্থ হন। আনাস (রা.) বলেন, আমি দেখলাম ছেলেটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চক্ষুদ্বয় ভিজে উঠল। তিনি তখন বললেন, ‘চোখ অশ্রুসিক্ত, অন্তর ব্যথিত, তবু তা-ই মুখে উচ্চারণ করব, যাতে প্রভু সন্তুষ্ট। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম!

তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত।’ সুতরাং মহান ও মহামহিম আল্লার সন্তুষ্টি এবং রেজামন্দির চেয়ে বেশি বড়, প্রিয় কিংবা সম্মান ও মর্যাদার কিছু নেই। আল্লাহর রেজামন্দি পেতেই আল্লাহভীরুদের চোখ কেঁদেছে; পুণ্যবানদের হৃদয় বিগলিত হয়েছে। তারা নিজেদের জীবনকে বিক্রি করেছেন আপন রবের রেজামন্দি খরিদ করতে। ‘আর মানুষের মাঝে একশ্রেণীর লোক রয়েছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জীবনের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।’ (সূরা বাকারা : ২০৭)।

তাদের যাবতীয় সম্পর্ক ভাঙা-গড়াও ছিল একমাত্র আল্লাহর জন্য। রুক-সিজদা ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে। ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তাঁর সহচররা কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদের রুকু ও সিজদারত দেখবেন।’ (সূরা ফাতহ : ২৯)।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

নবী-রাসুলদের জীবনে আল্লাহতে সন্তুষ্টি

আপডেট টাইম : ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নবী (সা.) এর ছেলে ইবরাহিম অসুস্থ হন। আনাস (রা.) বলেন, আমি দেখলাম ছেলেটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চক্ষুদ্বয় ভিজে উঠল। তিনি তখন বললেন, ‘চোখ অশ্রুসিক্ত, অন্তর ব্যথিত, তবু তা-ই মুখে উচ্চারণ করব, যাতে প্রভু সন্তুষ্ট। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত।’

যে কেউ আল্লাহর নবীদের (আ.) জীবন পরিক্রমায় নজর দেবেন, তাদের পুরো জীবনই দেখবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশে নিবদ্ধ। দেখুন মুসা (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে ছুটছেন আর বলছেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি আপনার কাছে এলাম, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।’ (সূরা তহা : ৮৪)। সোলায়মান (আ.) তাকে প্রদত্ত আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে এমন আমলের দোয়া করছেন, যা তাঁকে সন্তুষ্ট করবে।

‘হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, যাতে আমি আপনার সেই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা আপনি আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দান করেছেন এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।’ (সূরা নামল : ১৯)। আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.) নিজ রবের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করছেন সৎকর্মপরায়ণ সন্তোষজনক সন্তানের। ‘আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে একজন কর্তব্যপালনকারী দান করুন। সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।’ (সূরা মরিয়ম : ৫-৬)।

আর আমাদের নবী (সা.) তো ছিলেন মানুষের মধ্যে আল্লাহতে সর্বোচ্চ সন্তুষ্ট এবং তাদের মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ সন্তোষপ্রাপ্ত। ছিলেন আল্লাহর সন্তোষ তালাশে সর্বোচ্চ আগ্রহী। তাঁর কথায়-কাজে তা স্পষ্ট ফুটেও উঠত। পূর্ণ সন্তুষ্টির পাশাপাশি সর্বদা দোয়াও করতেন এর জন্য। সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বিছানায় না পেয়ে তার খোঁজে মসজিদে গিয়ে সেখানে তাঁকে সিজদারত দেখতে পেলাম। এ সময় তাঁর দুই পায়ের পাতা খাড়া ছিল।

তিনি এ দোয়া পড়ছিলেন ‘আল্লাহুম্মা আউজু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া আউজু বিমুআফাতিকা মিন উকুবাতিকা ওয়া আউজুবিকা মিনকা লা উহসি সানায়ান আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার কাছে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।’

সুনানে নাসায়িতে সায়েব (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এর একটি দোয়া ছিল এমন ‘আসআলুকার রিজা বাদাল কাজা, ওয়াআসআলুকা বারদাল আইশি বাদাল মাউত। ওয়াআসআলুকা লাজজাতান-নাজারি ইলা ওয়াজহিক, ওয়াশশাওকা ইলা লিকা-ইক, ফি গাইরি যাররা মুজিররাহ, ওয়ালা ফিতনাতিম মুজিল্লাহ। আল্লাহুম্মা জাইয়িন্না বিজিনাতিল কুরআন, ওয়াজ আলনা হুদাতাম মুহতাদ্বিন।’ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার ফয়সালার পর খুশি থাকার মনোবৃত্তি, মৃত্যুর পর জীবনের শীতলতা, আপনার চেহারা দর্শনের স্বাদ এবং আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল আকাক্সক্ষা কোনো ক্ষতিকর স্বাচ্ছন্দ্য ও বিভ্রান্তিকর ফেতনা ছাড়াই। হে আল্লাহ, আমাদের সৌন্দর্যম-িত করুন কোরআনের সৌন্দর্যে এবং আমাদের হেদায়েতকারী ও হেদায়েতপ্রাপ্ত বানান।’

নবী (সা.) তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ খাদিজা (রা.) কে হারান, তাঁর ছেলেমেয়েকে হারান, ‘আল্লাহর সিংহ’ চাচা হামজাকে হারান, বহু সাহাবিকে হারান তথাপি তিনি শুধু সে বাক্যই বলেছেন, যা তাঁর রবকে সন্তুষ্ট করে। সহিহ মুসলিমে এসেছে, নবী (সা.) এর ছেলে ইবরাহিম অসুস্থ হন। আনাস (রা.) বলেন, আমি দেখলাম ছেলেটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চক্ষুদ্বয় ভিজে উঠল। তিনি তখন বললেন, ‘চোখ অশ্রুসিক্ত, অন্তর ব্যথিত, তবু তা-ই মুখে উচ্চারণ করব, যাতে প্রভু সন্তুষ্ট। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত। আল্লাহর কসম, হে ইবরাহিম!

তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত।’ সুতরাং মহান ও মহামহিম আল্লার সন্তুষ্টি এবং রেজামন্দির চেয়ে বেশি বড়, প্রিয় কিংবা সম্মান ও মর্যাদার কিছু নেই। আল্লাহর রেজামন্দি পেতেই আল্লাহভীরুদের চোখ কেঁদেছে; পুণ্যবানদের হৃদয় বিগলিত হয়েছে। তারা নিজেদের জীবনকে বিক্রি করেছেন আপন রবের রেজামন্দি খরিদ করতে। ‘আর মানুষের মাঝে একশ্রেণীর লোক রয়েছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জীবনের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।’ (সূরা বাকারা : ২০৭)।

তাদের যাবতীয় সম্পর্ক ভাঙা-গড়াও ছিল একমাত্র আল্লাহর জন্য। রুক-সিজদা ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে। ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তাঁর সহচররা কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদের রুকু ও সিজদারত দেখবেন।’ (সূরা ফাতহ : ২৯)।