ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাছা সরিয়ে ৩০ বছর পর গুজরাতে মসজিদ খুলল হিন্দুরাই

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ৩০ বছরে প্রথম আজান শোনা গেল আমেদাবাদের মসজিদ থেকে। সেই আমেদাবাদ। ধর্মের হানাহানিতে যেখানে রক্ত ঝরেছিল ১৯৮৪ সালে। তারপর থেকে শ্মশান স্তব্ধতা বিরাজ করত ১০০ বছরের পুরনো সেই মসজিদে। আমেদাবাদের স্পর্শকাতর কালুপুর এলাকার বাকরি পোলে এই মসজিদের আজান তাই মোটেই সাধারণ নয়।

আবার যদি রক্ত ঝরে, আবার যদি কাউকে হারাতে হয়। সেই ভয়ে রামজি, নাগদাল্লা আর শেষ নারায়ণের মন্দিরের পাশেই এই মসজিদের ছায়া মাড়াতে ভয় পেতেন এলাকার মুসলিমরা। ১৯৮৪-র দাঙ্গা দিয়ে শুরু। তারপর ১৯৯৩ তে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পরে ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। মসজিদ খোলার কথা ভাবতেও ভয় পেত সবাই। গাছ-গাছড়ায় ঢেকে যাচ্ছিল মসজিদ। ভেঙে পড়ছিল দেওয়াল।

২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গার পর ছবিটা বদলে যায়। ওই মসজিদের চারপাশের মানুষ মসজিদ বাঁচাতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। মুসলমান প্রতিবেশীদের জন্য মসজিদ সাজাতে নেমে পড়েন হিন্দুরা। পরিষ্কার হয় আগাছা। ২০১৬ তে খুলে যায় সেই মসজিদ। আর এই মসজিদ নতুন করে চালু হওয়ায় নতুন করে যেন সেতুবন্ধন হয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের। মসজিদ নতুন করে সাজাতে সাহায্য করেন হনুমান মন্দিরের পুরোহিত চন্দ্রকান্ত শর্মাও। স্তব্ধতা ভেঙে আজান শোনা যায়। মসজিদে প্রতিনিয়ত যান প্রচুর মানুষ। শুধু ধর্মের টান নয়, যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি। না, মসজিদে যেতে আর দু’বার ভাবতে হয় না কাউকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আগাছা সরিয়ে ৩০ বছর পর গুজরাতে মসজিদ খুলল হিন্দুরাই

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ৩০ বছরে প্রথম আজান শোনা গেল আমেদাবাদের মসজিদ থেকে। সেই আমেদাবাদ। ধর্মের হানাহানিতে যেখানে রক্ত ঝরেছিল ১৯৮৪ সালে। তারপর থেকে শ্মশান স্তব্ধতা বিরাজ করত ১০০ বছরের পুরনো সেই মসজিদে। আমেদাবাদের স্পর্শকাতর কালুপুর এলাকার বাকরি পোলে এই মসজিদের আজান তাই মোটেই সাধারণ নয়।

আবার যদি রক্ত ঝরে, আবার যদি কাউকে হারাতে হয়। সেই ভয়ে রামজি, নাগদাল্লা আর শেষ নারায়ণের মন্দিরের পাশেই এই মসজিদের ছায়া মাড়াতে ভয় পেতেন এলাকার মুসলিমরা। ১৯৮৪-র দাঙ্গা দিয়ে শুরু। তারপর ১৯৯৩ তে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পরে ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। মসজিদ খোলার কথা ভাবতেও ভয় পেত সবাই। গাছ-গাছড়ায় ঢেকে যাচ্ছিল মসজিদ। ভেঙে পড়ছিল দেওয়াল।

২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গার পর ছবিটা বদলে যায়। ওই মসজিদের চারপাশের মানুষ মসজিদ বাঁচাতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। মুসলমান প্রতিবেশীদের জন্য মসজিদ সাজাতে নেমে পড়েন হিন্দুরা। পরিষ্কার হয় আগাছা। ২০১৬ তে খুলে যায় সেই মসজিদ। আর এই মসজিদ নতুন করে চালু হওয়ায় নতুন করে যেন সেতুবন্ধন হয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের। মসজিদ নতুন করে সাজাতে সাহায্য করেন হনুমান মন্দিরের পুরোহিত চন্দ্রকান্ত শর্মাও। স্তব্ধতা ভেঙে আজান শোনা যায়। মসজিদে প্রতিনিয়ত যান প্রচুর মানুষ। শুধু ধর্মের টান নয়, যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি। না, মসজিদে যেতে আর দু’বার ভাবতে হয় না কাউকে।