ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামের সন

আজ হিজরী সনের প্রথম মাসের (মুহাররাম) প্রথম দিন। হিজরী সন শুধু আরবদের নয়। হিজরী মুসলমানদের সন,ইসলামের সন।

হিজরী সন আমাদের পেয়ারে নবীজী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ঘটনার অবিস্মরণীয় স্মারক। হজরত ওমর (রা.) তার খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন।

তারিখ গণনার সূচনা কিভাবে হল, কবে থেকে হল, বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্নভাবে বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। ‘আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা’ গ্রন্থে বিষয়টি এভাবে এসেছে: ‘ইসলাম আসার আগে আরবের সমষ্টিগত কোনো তারিখ ছিল না। সে সময় তারা প্রসিদ্ধ ঘটনা অবলম্বনে বছর, মাস গণনা করত।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সন্তানরা কাবা শরিফ নির্মিত হওয়ার আগে তার আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনা অবলম্বনে তারিখ নির্ধারণ করত। কাবা শরিফ নির্মাণের পর তারা বিক্ষিপ্ত হওয়া পর্যন্ত এর আলোকেই সাল গণনা করতেন।

তারপর বনু ইসমাঈলের যারা হেজাজের তেহামা অঞ্চল থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যেত, তখন সেই গোত্র বেরিয়ে যাওয়ার দিন থেকে তারিখ গণনা করত। যারা তেহামাতে রয়ে যেত তারা বনি জায়েদ গোত্রের জুহাইনা, নাহদ ও সাদের চলে যাওয়ার দিন থেকে সাল গণনা করত।

কাব বিন লুআইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত এ ধারা চলমান ছিল। পরে তার মৃত্যুর দিন থেকে নতুনভাবে সাল গণনা শুরু হয়। এটি চলতে থাকে হস্তী বাহিনীর ঘটনা পর্যন্ত। হজরত ওমর (রা.) হিজরী নববর্ষের গোড়াপত্তন করার আগ পর্যন্ত আরবে ‘হস্তীবর্ষ’ই প্রচলিত ছিল।

হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মারক বানিয়ে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র চান্দ্রমাসের পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন। কেন একটি নতুন সন গণনা প্রথা চালু করতে হল- এ নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়।

আল্লামা আইনি বলেছেন, হিজরী সন প্রণয়নের কারণ নিয়ে মতবিরোধ আছে। ইবনে সমরকন্দি বলেন, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর কাছে চিঠি লিখেছেন যে, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অনেক ফরমান আসে; কিন্তু তাতে তারিখ লেখা থাকে না। সুতরাং সময়ক্রম নির্ধারণের জন্য সন গণনার ব্যবস্থা করুন। তারপর ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন হজরত ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি পরামর্শসভার আহ্বান করেন। সভায় হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) রামূল সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত থেকে সন গণনার প্রস্তাব দেন। হজরত তালহা (রা.) নবুয়তের বছর থেকে সন গণনার অভিমত ব্যক্ত করেন। হজরত আলী (রা.) হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে সন গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর তারা সবাই আলী রা.-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন।

এরপর কোনো মাস থেকে শুরু হবে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) রজব থেকে শুরু করার প্রস্তাব দেন। কেননা এটি চারটি সম্মানিত মাসের মধ্যে প্রথমে আসে। হজরত তালহা (রা.) রমজান থেকে শুরু করার কথা বলেন। কেননা এটি উম্মতের মাস। হজরত আলী (রা.) ও উসমান (রা.) মহররম থেকে শুরু করার পরামর্শ দেন।

হিজরতের সন থেকে সন গণনা চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে তাৎপর্য হল: হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় ‌‌আল ফারিকু বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল: অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। হিজরতের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্য ইবাদত ও সমাজ-গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। প্রকাশ্যে আজান, নামাজ, জুমা, ঈদ ও অন্য সবকিছু হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এ সব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

হিজরী সন আরবি মাস হলেও এই সনটিকে মুসলিম উম্মাহর সন হিসেবেই গ্রহণ করার প্রয়োজন অনেক বেশি। হিজরী সন মূলত চান্দ্র বর্ষের মাস। আরবিতে ‘আশশুহূরুল কামারিয়্যা’ বলা হয়। এ জন্য হিজরী সন একটি চান্দ্রবর্ষ। যেমন ঈসায়ী সনের মাসগুলোকে বলা হয় ‘আশশুহূরুশ শামসিয়্যা’ বা সৌরবর্ষের মাস। এই চান্দ্রবর্ষকে তাই কেবল আরবদের সন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। বরং হিজরী মুসলমানদের সন:ইসলামের সন।

হিজরী সনের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, সময় ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। ধর্মীয় অনেক ক্ষেত্রেই হিজরী সনের প্রভাব আছে। যেমন- রমজানের রোজা,দুই ঈদ, হজ, যাকাত ইত্যাদি।

শুধু হিজরী সন নয়, হিজরী সনের মাসগুলোর তারিখ ব্যবহারে ও চর্চায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। মুসলমানদের হিসাব-নিকাশগুলো হিজরী তারিখ উল্লেখ করেই করা উচিত। অন্য সনের হিসাব হিজরী অনুগামী হিসেবে আসতে পারে। কারণ ইসলামী তারিখ বা চান্দ্রবর্ষের হিসাব রক্ষা করা মুসলমানদের জন্য ফরযে কেফায়া।

আর হিজরী সন যেহেতু সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর সময় কাল থেকে শুরু হয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) দ্বীনে ইসলামের অনুসারীদের তথা মুসলমানদের আদর্শের প্রতীক। তাই সর্বস্তরের মুসলমানদের এ হিজরী সালের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিত।

পরিশেষে ১৪৪১ হিজরী সনের সূচনালগ্নে সবাইকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। জীবনের সব ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রতি গুরুত্বারোপ করার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামের সন

আপডেট টাইম : ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আজ হিজরী সনের প্রথম মাসের (মুহাররাম) প্রথম দিন। হিজরী সন শুধু আরবদের নয়। হিজরী মুসলমানদের সন,ইসলামের সন।

হিজরী সন আমাদের পেয়ারে নবীজী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ঘটনার অবিস্মরণীয় স্মারক। হজরত ওমর (রা.) তার খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন।

তারিখ গণনার সূচনা কিভাবে হল, কবে থেকে হল, বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্নভাবে বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। ‘আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা’ গ্রন্থে বিষয়টি এভাবে এসেছে: ‘ইসলাম আসার আগে আরবের সমষ্টিগত কোনো তারিখ ছিল না। সে সময় তারা প্রসিদ্ধ ঘটনা অবলম্বনে বছর, মাস গণনা করত।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সন্তানরা কাবা শরিফ নির্মিত হওয়ার আগে তার আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনা অবলম্বনে তারিখ নির্ধারণ করত। কাবা শরিফ নির্মাণের পর তারা বিক্ষিপ্ত হওয়া পর্যন্ত এর আলোকেই সাল গণনা করতেন।

তারপর বনু ইসমাঈলের যারা হেজাজের তেহামা অঞ্চল থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যেত, তখন সেই গোত্র বেরিয়ে যাওয়ার দিন থেকে তারিখ গণনা করত। যারা তেহামাতে রয়ে যেত তারা বনি জায়েদ গোত্রের জুহাইনা, নাহদ ও সাদের চলে যাওয়ার দিন থেকে সাল গণনা করত।

কাব বিন লুআইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত এ ধারা চলমান ছিল। পরে তার মৃত্যুর দিন থেকে নতুনভাবে সাল গণনা শুরু হয়। এটি চলতে থাকে হস্তী বাহিনীর ঘটনা পর্যন্ত। হজরত ওমর (রা.) হিজরী নববর্ষের গোড়াপত্তন করার আগ পর্যন্ত আরবে ‘হস্তীবর্ষ’ই প্রচলিত ছিল।

হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মারক বানিয়ে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র চান্দ্রমাসের পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন। কেন একটি নতুন সন গণনা প্রথা চালু করতে হল- এ নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়।

আল্লামা আইনি বলেছেন, হিজরী সন প্রণয়নের কারণ নিয়ে মতবিরোধ আছে। ইবনে সমরকন্দি বলেন, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হজরত ওমর (রা.)-এর কাছে চিঠি লিখেছেন যে, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অনেক ফরমান আসে; কিন্তু তাতে তারিখ লেখা থাকে না। সুতরাং সময়ক্রম নির্ধারণের জন্য সন গণনার ব্যবস্থা করুন। তারপর ওমর (রা.) হিজরী সনের গোড়াপত্তন করেন।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন হজরত ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি পরামর্শসভার আহ্বান করেন। সভায় হজরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) রামূল সাল্লাল্লাহু আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত থেকে সন গণনার প্রস্তাব দেন। হজরত তালহা (রা.) নবুয়তের বছর থেকে সন গণনার অভিমত ব্যক্ত করেন। হজরত আলী (রা.) হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে সন গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর তারা সবাই আলী রা.-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন।

এরপর কোনো মাস থেকে শুরু হবে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) রজব থেকে শুরু করার প্রস্তাব দেন। কেননা এটি চারটি সম্মানিত মাসের মধ্যে প্রথমে আসে। হজরত তালহা (রা.) রমজান থেকে শুরু করার কথা বলেন। কেননা এটি উম্মতের মাস। হজরত আলী (রা.) ও উসমান (রা.) মহররম থেকে শুরু করার পরামর্শ দেন।

হিজরতের সন থেকে সন গণনা চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে তাৎপর্য হল: হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় ‌‌আল ফারিকু বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল: অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। হিজরতের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্য ইবাদত ও সমাজ-গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। প্রকাশ্যে আজান, নামাজ, জুমা, ঈদ ও অন্য সবকিছু হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এ সব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

হিজরী সন আরবি মাস হলেও এই সনটিকে মুসলিম উম্মাহর সন হিসেবেই গ্রহণ করার প্রয়োজন অনেক বেশি। হিজরী সন মূলত চান্দ্র বর্ষের মাস। আরবিতে ‘আশশুহূরুল কামারিয়্যা’ বলা হয়। এ জন্য হিজরী সন একটি চান্দ্রবর্ষ। যেমন ঈসায়ী সনের মাসগুলোকে বলা হয় ‘আশশুহূরুশ শামসিয়্যা’ বা সৌরবর্ষের মাস। এই চান্দ্রবর্ষকে তাই কেবল আরবদের সন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। বরং হিজরী মুসলমানদের সন:ইসলামের সন।

হিজরী সনের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ, সময় ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। ধর্মীয় অনেক ক্ষেত্রেই হিজরী সনের প্রভাব আছে। যেমন- রমজানের রোজা,দুই ঈদ, হজ, যাকাত ইত্যাদি।

শুধু হিজরী সন নয়, হিজরী সনের মাসগুলোর তারিখ ব্যবহারে ও চর্চায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। মুসলমানদের হিসাব-নিকাশগুলো হিজরী তারিখ উল্লেখ করেই করা উচিত। অন্য সনের হিসাব হিজরী অনুগামী হিসেবে আসতে পারে। কারণ ইসলামী তারিখ বা চান্দ্রবর্ষের হিসাব রক্ষা করা মুসলমানদের জন্য ফরযে কেফায়া।

আর হিজরী সন যেহেতু সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর সময় কাল থেকে শুরু হয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) দ্বীনে ইসলামের অনুসারীদের তথা মুসলমানদের আদর্শের প্রতীক। তাই সর্বস্তরের মুসলমানদের এ হিজরী সালের প্রতি গুরুত্বারোপ করা উচিত।

পরিশেষে ১৪৪১ হিজরী সনের সূচনালগ্নে সবাইকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। জীবনের সব ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রতি গুরুত্বারোপ করার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।