ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০০ কেজি ওজনের কোরআন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মদিনার মসজিদে নববি প্রাঙ্গণের আল-কোরআন মিউজিয়ামে পবিত্র কোরআনের প্রাচীন ও দুর্লভ কপি সংরক্ষিত আছে। প্রাচীন, বৃহৎ ও বিভিন্ন আয়তনের কোরআন কপি এবং পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য ওই মিউজিয়ামে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদক। তারা সংরক্ষিত প্রতিটি কোরআন ও পাণ্ডুলিপির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। এ ছাড়া ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রাচীন ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়।

মিউজিয়ামে স্বর্ণের কালিতে হস্তাক্ষরে লিখিত ১৫৪ কেজি ওজনের বৃহৎ আকারের একটি কোরআন রয়েছে। কোরআনটি লম্বায় দেড় মিটার ও প্রস্থে এক মিটার। প্রতিটি আয়াতের নিচে ফার্সি ভাষায় অর্থ লেখা আছে। এ ছাড়া আছে হরিণের চামড়ায় লিখিত, কাপড়ে স্বর্ণের সুতো দিয়ে তৈরি কোরআন।

১৫৪ কেজি ওজনের কোরআনটি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানের কাবুলে তৈরি করা হয়। লিপিকারের নাম গোলাম মুহিউদ্দিন। সে সময় আফগানিস্তান থেকে কোরআন শরিফটি মদিনায় নিয়ে আসতে চারটি উট লেগেছিল। অত্যধিক ওজনের কারণে কোরআনের পাতাগুলোকে চার ভাগ করে পৃথক পৃথক উটের পিঠে করে প্রায় মাসব্যাপী সফরের পর মদিনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আফগানিস্তানে। ২০০৯ সালে রাজধানী কাবুলে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কোরআনটির ওজন ৫০০ কেজি। কোরআনের পাতাগুলো লম্বায় ২ দশমিক ২৮ মিটার ও প্রস্থে ১ দশমিক ৫৫ মিটার। মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৮।

কাগজ ও কাপড়ের সংমিশ্রণে পৃষ্ঠাগুলো তৈরি করা হয়েছে। মলাট বানানো হয়েছে ছাগলের চামড়ায় বিশেষ কারুকার্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে। যাতে খরচ পড়েছে অর্ধমিলিয়ন ডলার। কোরআনটি লিপিবদ্ধ করেছেন আফগানিস্তানের বিখ্যাত লিপিকার মুহাম্মদ সাবের ইয়াকুতি ও তার শিষ্যরা। লিপিবদ্ধের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের আগস্টে। সমাপ্ত হয় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৫০০ কেজি ওজনের কোরআন

আপডেট টাইম : ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মদিনার মসজিদে নববি প্রাঙ্গণের আল-কোরআন মিউজিয়ামে পবিত্র কোরআনের প্রাচীন ও দুর্লভ কপি সংরক্ষিত আছে। প্রাচীন, বৃহৎ ও বিভিন্ন আয়তনের কোরআন কপি এবং পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য ওই মিউজিয়ামে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদক। তারা সংরক্ষিত প্রতিটি কোরআন ও পাণ্ডুলিপির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। এ ছাড়া ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রাচীন ইসলামি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়।

মিউজিয়ামে স্বর্ণের কালিতে হস্তাক্ষরে লিখিত ১৫৪ কেজি ওজনের বৃহৎ আকারের একটি কোরআন রয়েছে। কোরআনটি লম্বায় দেড় মিটার ও প্রস্থে এক মিটার। প্রতিটি আয়াতের নিচে ফার্সি ভাষায় অর্থ লেখা আছে। এ ছাড়া আছে হরিণের চামড়ায় লিখিত, কাপড়ে স্বর্ণের সুতো দিয়ে তৈরি কোরআন।

১৫৪ কেজি ওজনের কোরআনটি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানের কাবুলে তৈরি করা হয়। লিপিকারের নাম গোলাম মুহিউদ্দিন। সে সময় আফগানিস্তান থেকে কোরআন শরিফটি মদিনায় নিয়ে আসতে চারটি উট লেগেছিল। অত্যধিক ওজনের কারণে কোরআনের পাতাগুলোকে চার ভাগ করে পৃথক পৃথক উটের পিঠে করে প্রায় মাসব্যাপী সফরের পর মদিনায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আফগানিস্তানে। ২০০৯ সালে রাজধানী কাবুলে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কোরআনটির ওজন ৫০০ কেজি। কোরআনের পাতাগুলো লম্বায় ২ দশমিক ২৮ মিটার ও প্রস্থে ১ দশমিক ৫৫ মিটার। মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৮।

কাগজ ও কাপড়ের সংমিশ্রণে পৃষ্ঠাগুলো তৈরি করা হয়েছে। মলাট বানানো হয়েছে ছাগলের চামড়ায় বিশেষ কারুকার্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে। যাতে খরচ পড়েছে অর্ধমিলিয়ন ডলার। কোরআনটি লিপিবদ্ধ করেছেন আফগানিস্তানের বিখ্যাত লিপিকার মুহাম্মদ সাবের ইয়াকুতি ও তার শিষ্যরা। লিপিবদ্ধের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের আগস্টে। সমাপ্ত হয় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে।