ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে পাকিস্তানের জয়

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটম্যানদের কৃতিত্ব ম্লান করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৩৪২ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। কিন্তু এই বাধা লোয়ার অর্ডারদের দৃঢ়তায় সহজেই টপকে গেছে পাকিস্তান। ৩  বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষ ৩০ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান তোলে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শেষ উইকেট জুটিতে ফাহিম-হাসান আলি ৪২ বলে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।

পাকিস্তান ৩৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।   দলীয় ১৯ রানের মধ্যে দুই উইকেটের পতন ঘটে। চতুর্থ ওভারে আজহার আলীকে (৯) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারেই বাবর আজমকে (১) সাজঘরে পাঠান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দু’টি ক্যাচই তালুবন্দি করেন মুশফিকুর রহিম। জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে তোলেন আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ। দু’জনের ৫৯ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে উইকেটের খাতায় নাম লেখান সাকিব আল হাসান। অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শেহজাদ।

এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে চতুর্থ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় শফিউল ফিরিয়ে দেন ৬২ বলে ৪৯ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে। ইমরুলের তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মোসাদ্দেক ফেরান সরফরাজ আহমেদকে (৫)। দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের ভালোই জবাব দিতে থাকেন শোয়েব মালিক। দলীয় ২২৭ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে করেন ৬৬ বলে ৭২ রান। মেহেদির বলে ইমরুলের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার আর ২টি ছক্কা। দলীয় ২৪২ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন সাদাব খান (৭)। ইমাম ওয়াসিম ব্যাক্তিগত বড় সংগ্রহ করেন। ৪৫ রানে তিনি ফেরেন মিরাজের বলে। অষ্টম উইকেট জুটিতে ফাহিম আশরাফ ৩০ বলে ৬৪ রান ও হাসান আলি ১৫ বলে ২৩ রান করে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে শনিবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি, ইমরুল-মুশফিকের উজ্জ্বল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ৩৪১ রান তোলে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৭ রানে সৌম্য সরকার (১৯) বিদায় নিলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ১৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম ইকবাল। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৬১। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম। মাত্র ৮৮টি বল মোকাবেলা করেন তামিম ইকবাল (১০২)। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাশরাফি, সাকিব, শফিউল, মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন। মেহেদী হাসান মিরাজ নেন দুই উইকেট।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে পাকিস্তানের জয়

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০১৭

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটম্যানদের কৃতিত্ব ম্লান করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৩৪২ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা। কিন্তু এই বাধা লোয়ার অর্ডারদের দৃঢ়তায় সহজেই টপকে গেছে পাকিস্তান। ৩  বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষ ৩০ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান তোলে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শেষ উইকেট জুটিতে ফাহিম-হাসান আলি ৪২ বলে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।

পাকিস্তান ৩৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।   দলীয় ১৯ রানের মধ্যে দুই উইকেটের পতন ঘটে। চতুর্থ ওভারে আজহার আলীকে (৯) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারেই বাবর আজমকে (১) সাজঘরে পাঠান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দু’টি ক্যাচই তালুবন্দি করেন মুশফিকুর রহিম। জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে তোলেন আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ। দু’জনের ৫৯ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে উইকেটের খাতায় নাম লেখান সাকিব আল হাসান। অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শেহজাদ।

এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে চতুর্থ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫৭ রানের মাথায় শফিউল ফিরিয়ে দেন ৬২ বলে ৪৯ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে। ইমরুলের তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মোসাদ্দেক ফেরান সরফরাজ আহমেদকে (৫)। দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের ভালোই জবাব দিতে থাকেন শোয়েব মালিক। দলীয় ২২৭ রানের মাথায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে করেন ৬৬ বলে ৭২ রান। মেহেদির বলে ইমরুলের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার আর ২টি ছক্কা। দলীয় ২৪২ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন সাদাব খান (৭)। ইমাম ওয়াসিম ব্যাক্তিগত বড় সংগ্রহ করেন। ৪৫ রানে তিনি ফেরেন মিরাজের বলে। অষ্টম উইকেট জুটিতে ফাহিম আশরাফ ৩০ বলে ৬৪ রান ও হাসান আলি ১৫ বলে ২৩ রান করে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে শনিবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি, ইমরুল-মুশফিকের উজ্জ্বল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ৩৪১ রান তোলে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৭ রানে সৌম্য সরকার (১৯) বিদায় নিলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ১৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম ইকবাল। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৬১। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম। মাত্র ৮৮টি বল মোকাবেলা করেন তামিম ইকবাল (১০২)। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাশরাফি, সাকিব, শফিউল, মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন। মেহেদী হাসান মিরাজ নেন দুই উইকেট।