ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ একদিন এক নম্বর দলে পরিণত হবে: মাশরাফি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  গোটা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানিয়া দল।  মাশরাফি বলেন, ‘একটা সময় বাংলাদেশকে র‍্যাংকিংয়ে পাঁচ-ছয়ের মধ্যে দেখতে চাইতাম।   ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় পেরিয়ে আসার পর সেই অর্জন দেখতে পেয়েছি।  এই দলের সেরা তিনে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে।  আমার বিশ্বাস একদিন বাংলাদেশ এক নম্বর দলে পরিণত হবে। ’

বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া মাশরাফির নেতৃত্বেই।  কীভাবে এই বদলে যাওয়া, বাংলাদেশ অধিনায়ক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্রিকেটে অধিনায়কত্বটা একটা বড় ব্যাপার।  এর জন্য আমির ভেতরে থাকা যাবে না।  আমার কাছে গুরুত্পূর্ণ হচ্ছে—আমরা কী করছি।  একজন পারফর্ম করছে আমরা সবাই খুশি হচ্ছি।  কিন্তু একজন ফর্মে নেই, তাঁকে সবাই মিলে সাপোর্ট করা, তাঁর পরিস্থিতিকে ফিল করাটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  আমি থেকে যখন আমরাতে এসেছি, তখনই
আমাদের বদলে যাওয়া শুরু হয়েছে। ’

ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্বে খেলা ৪০ ম্যাচের ২৪টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।  আর হেরেছে ১৪টিতে।  টি-টোয়েন্টিতেও দেশকে কম সাফল্য এনে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা।  এর আগে বাংলাদেশের অন্য কোনো অধিনায়কের এমন ঈর্ষনীয় সাফল্য নেই।

কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নিজের যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলে থাকেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার এই নায়ক।  নিজের অবসর প্রসঙ্গ এবং সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দেশকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি।  আর সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে এক রকম ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ দল।  এই দুটি অসাধারণ সাফল্য এসেছে নড়াইল এক্সপ্রেসের ক্ষুরধার নেতৃত্বেই।

ফর্ম ও ফিটনেস ঠিক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপেও তাঁকে পেতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।  তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ তো নেই-ই, তা ছাড়া তাঁর পারফরম্যান্সও যথেষ্টই ভালো।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথমত দায়া-দক্ষিণ্যের তো প্রশ্নই আসে না।  ২০১১ বিশ্বকাপে খেলিনি, তখন খেলার জন্য খুব ইচ্ছে ছিল।  কিন্তু ছোট একটা ইনজুরির জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমাকে।  তখন আমি মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম।  ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আবার অধিনায়ক হয়েছি।

আমার নেতৃত্বে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে।  কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কঠিন পরিশ্রমের কারণেই আবার দলে ফিরে আসতে পেরেছি।  বড় কথা সবার সঙ্গে তালমিলিয়ে খেলতে গেলে আমাকে আলাদা করে অনুশীলন করতে হয়।  এখানে আসলে সহানুভূতির কোনো জায়গা নেই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাংলাদেশ একদিন এক নম্বর দলে পরিণত হবে: মাশরাফি

আপডেট টাইম : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  গোটা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন সমীহ জাগানিয়া দল।  মাশরাফি বলেন, ‘একটা সময় বাংলাদেশকে র‍্যাংকিংয়ে পাঁচ-ছয়ের মধ্যে দেখতে চাইতাম।   ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় পেরিয়ে আসার পর সেই অর্জন দেখতে পেয়েছি।  এই দলের সেরা তিনে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে।  আমার বিশ্বাস একদিন বাংলাদেশ এক নম্বর দলে পরিণত হবে। ’

বাংলাদেশের এই বদলে যাওয়া মাশরাফির নেতৃত্বেই।  কীভাবে এই বদলে যাওয়া, বাংলাদেশ অধিনায়ক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্রিকেটে অধিনায়কত্বটা একটা বড় ব্যাপার।  এর জন্য আমির ভেতরে থাকা যাবে না।  আমার কাছে গুরুত্পূর্ণ হচ্ছে—আমরা কী করছি।  একজন পারফর্ম করছে আমরা সবাই খুশি হচ্ছি।  কিন্তু একজন ফর্মে নেই, তাঁকে সবাই মিলে সাপোর্ট করা, তাঁর পরিস্থিতিকে ফিল করাটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  আমি থেকে যখন আমরাতে এসেছি, তখনই
আমাদের বদলে যাওয়া শুরু হয়েছে। ’

ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্বে খেলা ৪০ ম্যাচের ২৪টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।  আর হেরেছে ১৪টিতে।  টি-টোয়েন্টিতেও দেশকে কম সাফল্য এনে দেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা।  এর আগে বাংলাদেশের অন্য কোনো অধিনায়কের এমন ঈর্ষনীয় সাফল্য নেই।

কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, নিজের যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলে থাকেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার এই নায়ক।  নিজের অবসর প্রসঙ্গ এবং সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে দেশকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি।  আর সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে এক রকম ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ দল।  এই দুটি অসাধারণ সাফল্য এসেছে নড়াইল এক্সপ্রেসের ক্ষুরধার নেতৃত্বেই।

ফর্ম ও ফিটনেস ঠিক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপেও তাঁকে পেতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।  তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ তো নেই-ই, তা ছাড়া তাঁর পারফরম্যান্সও যথেষ্টই ভালো।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথমত দায়া-দক্ষিণ্যের তো প্রশ্নই আসে না।  ২০১১ বিশ্বকাপে খেলিনি, তখন খেলার জন্য খুব ইচ্ছে ছিল।  কিন্তু ছোট একটা ইনজুরির জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আমাকে।  তখন আমি মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলাম।  ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আবার অধিনায়ক হয়েছি।

আমার নেতৃত্বে দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে।  কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কঠিন পরিশ্রমের কারণেই আবার দলে ফিরে আসতে পেরেছি।  বড় কথা সবার সঙ্গে তালমিলিয়ে খেলতে গেলে আমাকে আলাদা করে অনুশীলন করতে হয়।  এখানে আসলে সহানুভূতির কোনো জায়গা নেই।