বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচনের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবার জন্য একটি বোর্ড বসছে আজ সোমবার। সেই বোর্ডে থাকছেন সাচিন তেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লহ্মণ। সব মিলে দশজন প্রার্থী। কিন্তু কোচের চাকরি পাওয়ার পর সেটি রক্ষা করা ভারতে খু্বই কঠিন একটি কাজ।
এর আগে পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পরাজয়ের জের ধরে কোচের পদ ত্যাগ করেন অনিল কুম্বলে। দলের অধিনায়কের সাথে সম্পর্কে দীর্ঘদিন টানাপড়েন ছিল কোচ কুম্বলের। সেখানে আজ এমন একজনকে দলকে “হ্যান্ডেল” করার জন্য নির্বাচন করতে হবে যে কিনা খেলোয়াড়দের সাথে বোঝাপড়া তৈরি করতে পারবেন।
প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে রবি শাস্ত্রী, বীরেন্দর সেহাওয়াগ,টম মুডির মত বড় বড় নামও। আবার এক বাঙালী প্রকৌশলী, যার ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোন অভিজ্ঞতাই নেই, সেরকম এক ব্যক্তি এবার সিভি পাঠিয়েও চমক সৃষ্টি করেছেন।
ক্রিকেট বিশ্লেষক বরিয়া মজুমদার বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট এখন এমনই একটা লাভজনক ইন্ডাস্ট্রিতে পৌঁছেছে যে ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন বা কোচ সপ্তাহ-জুড়ে ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে থাকছে। বিশ্বে প্রোফাইলের দিক থেকে, মিডিয়ার দিক থেকে সব মিলিয়ে এমন একটা লোভনীয় পদে পরিণত হয়েছে। গোটা দেশ যেন জানতে চায় কে কোচ হবে? একটা কোচের অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে যে এটা ঘটতে পারে সেটা এই প্রথম দেখা যাচ্ছে।
সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী. টম মুডি বীরেন্দর সেহাওয়াগ,সহ সব মিলিয়ে দশজন প্রার্থী হয়েছেন কোচের জন্য। তবে তার মধ্যে ছয়জনকে নিয়ে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে।
এ তিনজনের যে কেউ কোচ হতে পারেন বলে মনে করেন মি মজুমদার।
তিনি বলেন, এই তিনজনের কেউই কোচ হবেন সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে রবি শাস্ত্রী. এবং বীরেন্দর সেহাওয়াগ বেশি এগিয়ে। কারণ এরা ভারতীয়। ভারতীয় হিসেবে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মানসিকতা তারা একটু হলেও বেশি বুঝবেন।
বরিয়া মজুমদার বলেন, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সিদ্ধান্তটা জানা যাবে। তবে সে পর্যন্ত একটা টানটান উত্তেজনা থাকছেই। তার ভাষায়, দেড়-মাসের ওপর এই নাটক চলছে। আজই হয়তো এর সমাপ্তি ঘটবে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্তে এই কোচের চুক্তি হওয়ার কথা।