ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না পারার স্মৃতি ‘খোঁচা দেয়’ সাব্বিরকে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ম্যাচ খেললেই অবশ্য হবে না। ভালো খেলতে হবে। তবেই কেবল মিলবে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। তবে সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত সাব্বির।

বাংলাদেশের পরের সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, টেস্ট সিরিজ। টেস্ট ক্রিকেটে তার সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় আছে অনেকেরই। কিন্তু ব্যর্থতার শঙ্কায় সাব্বির দমে যাচ্ছেন না। বরং সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে যাওয়ার উপলক্ষ্য করে নিতে চান পরের সিরিজটি।

“টেস্ট ম্যাচ বলে নয়। আমি আসলে খুব মরিয়া একটা ম্যাচ খেলার জন্য। কারণ আমি শেষ তিন-চার ম্যাচ ভাল খেলতে পারিনি। ওই স্মৃতি আমাকে ভেতরে খোঁচা দেয়। সামনে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি, যে সিরিজই হোক না কেন, সেখানে ভাল খেলে ওই স্মৃতি ভুলতে চাই।”

সবশেষ টেস্টে খুব একটা খারাপ করেননি সাব্বির। শততম টেস্টে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন চার নম্বরে ব্যাট করার। দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪২ ও ৪১ রান।

সাব্বিরের ক্যারিয়ার নিয়ে আপাতত প্রশ্নবোধক চিহ্নটাও লুকিয়ে ওই ইনিংসগুলোতে। সম্ভাবনা জাগিয়েও খেলতে পারছেন না বড় ইনিংস। এ দুটির বাইরে ছয় টেস্টের ছোট ক্যারিয়ারে আরও তিনবার পঞ্চাশ ছাড়িয়েছেন। নেই বড় ইনিংস।

ওয়ানডেতেও পঞ্চাশ পেরিয়েছেন ৫ বার। আরও ৬ বার স্পর্শ করেছেন ৪০। কিন্তু সর্বোচ্চ রান মোটে ৬৫! বড় ইনিংস খেলতে না পারা নিয়ে প্রশ্নটা আরও উচ্চকিত তার ব্যাটিং পজিশনের কারণে। ওয়ানডেতে এখন ব্যাট করছেন তিনে। যে পজিশন দাবি করে একই সঙ্গে দ্রুত রান, ইনিংস গড়া ও বড় ইনিংস!

তার প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই। তবে প্রশ্ন উঠছে খেলার ধরন নিয়ে, অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতা নিয়ে, মারার বলটি বাছাই করতে না পারা নিয়ে।

সাব্বির অবশ্য প্রশ্নে বিচলিত নন। মনে সংশয় নেই নিজের খেলার ধরন নিয়েও। স্রেফ নিজের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই চান রান করতে।

“পজিশন সমস্যা না, সমস্যা হলো রান করতে পারিনি। রান করতে পারলে পাঁচ-ছয়-সাত-দশ, প্রশ্ন উঠত না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন-চারটা ম্যাচ আমি ঠিকমত খেলতে পারিনি। তার আগে আমার মনে হয় ভাল খেলেছি। তিন-চারটা ম্যাচ দিয়ে একজনকে যাচাই করা যায় না। আমি চেষ্টা করছি কিভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসা যায়। কিভাবে ভুল শুধরে উঠা যায়।”

“ক্রিকেটে চাপ এমন একটা ব্যাপার, এটা নিলেই আসতে থাকবে। কে কী বলল গুরুত্বপূর্ণ না। কোচ বা দল আমাকে যেভাবে খেলতে বলবে, আমি সেভাবেই খেলব। খেলার ধরন বদলাবো না। এখানেই সফল হয়েছি আগে। তিন-চার ম্যাচের ব্যর্থতায় কেন বদলাব? আমি এভাবেই খেলব।”

বদলান বা না বদলান, এভাবে খেলুন বা যেভাবেই, রান করতে পারলে কোনো প্রশ্নই উঠবে না। না তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে, না শট খেলা নিয়ে। রান করতে না পারলে প্রশ্নবিদ্ধ হয় সবকিছুই। সবকিছুর জবাব হতে পারে তাই সাব্বিরের ব্যাটই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

না পারার স্মৃতি ‘খোঁচা দেয়’ সাব্বিরকে

আপডেট টাইম : ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ম্যাচ খেললেই অবশ্য হবে না। ভালো খেলতে হবে। তবেই কেবল মিলবে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। তবে সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত সাব্বির।

বাংলাদেশের পরের সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, টেস্ট সিরিজ। টেস্ট ক্রিকেটে তার সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় আছে অনেকেরই। কিন্তু ব্যর্থতার শঙ্কায় সাব্বির দমে যাচ্ছেন না। বরং সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে যাওয়ার উপলক্ষ্য করে নিতে চান পরের সিরিজটি।

“টেস্ট ম্যাচ বলে নয়। আমি আসলে খুব মরিয়া একটা ম্যাচ খেলার জন্য। কারণ আমি শেষ তিন-চার ম্যাচ ভাল খেলতে পারিনি। ওই স্মৃতি আমাকে ভেতরে খোঁচা দেয়। সামনে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি, যে সিরিজই হোক না কেন, সেখানে ভাল খেলে ওই স্মৃতি ভুলতে চাই।”

সবশেষ টেস্টে খুব একটা খারাপ করেননি সাব্বির। শততম টেস্টে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন চার নম্বরে ব্যাট করার। দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪২ ও ৪১ রান।

সাব্বিরের ক্যারিয়ার নিয়ে আপাতত প্রশ্নবোধক চিহ্নটাও লুকিয়ে ওই ইনিংসগুলোতে। সম্ভাবনা জাগিয়েও খেলতে পারছেন না বড় ইনিংস। এ দুটির বাইরে ছয় টেস্টের ছোট ক্যারিয়ারে আরও তিনবার পঞ্চাশ ছাড়িয়েছেন। নেই বড় ইনিংস।

ওয়ানডেতেও পঞ্চাশ পেরিয়েছেন ৫ বার। আরও ৬ বার স্পর্শ করেছেন ৪০। কিন্তু সর্বোচ্চ রান মোটে ৬৫! বড় ইনিংস খেলতে না পারা নিয়ে প্রশ্নটা আরও উচ্চকিত তার ব্যাটিং পজিশনের কারণে। ওয়ানডেতে এখন ব্যাট করছেন তিনে। যে পজিশন দাবি করে একই সঙ্গে দ্রুত রান, ইনিংস গড়া ও বড় ইনিংস!

তার প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই। তবে প্রশ্ন উঠছে খেলার ধরন নিয়ে, অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতা নিয়ে, মারার বলটি বাছাই করতে না পারা নিয়ে।

সাব্বির অবশ্য প্রশ্নে বিচলিত নন। মনে সংশয় নেই নিজের খেলার ধরন নিয়েও। স্রেফ নিজের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই চান রান করতে।

“পজিশন সমস্যা না, সমস্যা হলো রান করতে পারিনি। রান করতে পারলে পাঁচ-ছয়-সাত-দশ, প্রশ্ন উঠত না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন-চারটা ম্যাচ আমি ঠিকমত খেলতে পারিনি। তার আগে আমার মনে হয় ভাল খেলেছি। তিন-চারটা ম্যাচ দিয়ে একজনকে যাচাই করা যায় না। আমি চেষ্টা করছি কিভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসা যায়। কিভাবে ভুল শুধরে উঠা যায়।”

“ক্রিকেটে চাপ এমন একটা ব্যাপার, এটা নিলেই আসতে থাকবে। কে কী বলল গুরুত্বপূর্ণ না। কোচ বা দল আমাকে যেভাবে খেলতে বলবে, আমি সেভাবেই খেলব। খেলার ধরন বদলাবো না। এখানেই সফল হয়েছি আগে। তিন-চার ম্যাচের ব্যর্থতায় কেন বদলাব? আমি এভাবেই খেলব।”

বদলান বা না বদলান, এভাবে খেলুন বা যেভাবেই, রান করতে পারলে কোনো প্রশ্নই উঠবে না। না তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে, না শট খেলা নিয়ে। রান করতে না পারলে প্রশ্নবিদ্ধ হয় সবকিছুই। সবকিছুর জবাব হতে পারে তাই সাব্বিরের ব্যাটই।