ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গল টেস্টের এক সেশনে ১০ রেকর্ড, বিব্রত নিউজিল্যান্ড

গল টেস্টে এমন ভরাডুবির কথা হয়ত ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। শ্রীলংকা ৬০২ রানের পাহাড় গড়ার পর তার যোগ্য জবাব দেওয়ার আশা নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তারা। কিন্তু লংকার স্পিন বিষে নীল হয়ে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছেন সফরকারীরা।

প্রভাত জয়সুরিয়া ৬ ও নিশান প্যারিস ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিউইদের ধসিয়ে দিয়েছেন। এতে প্রথম ইনিংসে ৫১৪ রানের লিড পেয়ে নিউজিল্যান্ডকে ফলোঅনে পাঠিয়েছে শ্রীলংকা।

ফলোঅনে নেমেও তাদের দুরবস্থা কাটেনি। ১৯৯ রান তুলতে সাজঘরের পথ ধরেছেন পাঁচ কিউই ব্যাটার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের ব্যাটিংয়ে নামার আগেই গোল টেস্টের এক সেশনে হয়েছে ১০ রেকর্ড।

একনজরে সেই ১০ রেকর্ড-

টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান এটি (৮৮)। এর আগে ১৯৯২ সালে কলম্বো টেস্টে ১০২ রান তুলেছিল কিউইরা।

দক্ষিণ এশিয়ায় এটি নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ১৯৫৫ সাল ভারতের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টে ৬২ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় ৭০, ২০০২ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৩ রান ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৯৬৫ সালে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার ৬০০ রান হজমের পর কোনো দল ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডও তাদেরই। ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪৩ রানের বিপরীতে তারা অলআউট হয় ৭৩ রানে।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র সপ্তমবার এবং গত ১৮ বছরে প্রথমবার কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রানের লিড পেয়েছে।

টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংস শেষে পঞ্চম সর্বোচ্চ লিড। সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৩৮ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের ৭০২ রানের লিড।

প্রভাত জয়সুরিয়ার টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি নবমবারের মতো ৫ উইকেট শিকার। ৫ উইকেট শিকারের দিক থেকে শ্রীলংকান বোলার হিসেবে চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি। সবার ওপরে মুত্তিয়া মুরালিধরন (৬৭ বার), রঙ্গনা হেরাথ (৩৪ বার) এবং চামিন্দা ভাস (১২ বার)

১৬ টেস্ট শেষে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার (৯) পাঁচ উইকেট শিকার। সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।  শ্রীলংকার এই ভেন্যুতে উইকেট শিকারের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন অফস্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া। তার ওপরে আছেন কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং রঙ্গনা হেরাথ।  মাত্র দ্বিতীয় শ্রীলংকান ক্রিকেটার হিসেবে এক ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (উইকেটরক্ষক ব্যতীত)।

একই বোলারের (প্রভাত জয়সুরিয়া) বলে ৫ ক্যাচ নিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল ৪ বার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গল টেস্টের এক সেশনে ১০ রেকর্ড, বিব্রত নিউজিল্যান্ড

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

গল টেস্টে এমন ভরাডুবির কথা হয়ত ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। শ্রীলংকা ৬০২ রানের পাহাড় গড়ার পর তার যোগ্য জবাব দেওয়ার আশা নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তারা। কিন্তু লংকার স্পিন বিষে নীল হয়ে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছেন সফরকারীরা।

প্রভাত জয়সুরিয়া ৬ ও নিশান প্যারিস ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিউইদের ধসিয়ে দিয়েছেন। এতে প্রথম ইনিংসে ৫১৪ রানের লিড পেয়ে নিউজিল্যান্ডকে ফলোঅনে পাঠিয়েছে শ্রীলংকা।

ফলোঅনে নেমেও তাদের দুরবস্থা কাটেনি। ১৯৯ রান তুলতে সাজঘরের পথ ধরেছেন পাঁচ কিউই ব্যাটার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের ব্যাটিংয়ে নামার আগেই গোল টেস্টের এক সেশনে হয়েছে ১০ রেকর্ড।

একনজরে সেই ১০ রেকর্ড-

টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান এটি (৮৮)। এর আগে ১৯৯২ সালে কলম্বো টেস্টে ১০২ রান তুলেছিল কিউইরা।

দক্ষিণ এশিয়ায় এটি নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ১৯৫৫ সাল ভারতের বিপক্ষে মুম্বাই টেস্টে ৬২ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় ৭০, ২০০২ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৩ রান ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৯৬৫ সালে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার ৬০০ রান হজমের পর কোনো দল ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডও তাদেরই। ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪৩ রানের বিপরীতে তারা অলআউট হয় ৭৩ রানে।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র সপ্তমবার এবং গত ১৮ বছরে প্রথমবার কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রানের লিড পেয়েছে।

টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ইনিংস শেষে পঞ্চম সর্বোচ্চ লিড। সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৩৮ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের ৭০২ রানের লিড।

প্রভাত জয়সুরিয়ার টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি নবমবারের মতো ৫ উইকেট শিকার। ৫ উইকেট শিকারের দিক থেকে শ্রীলংকান বোলার হিসেবে চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি। সবার ওপরে মুত্তিয়া মুরালিধরন (৬৭ বার), রঙ্গনা হেরাথ (৩৪ বার) এবং চামিন্দা ভাস (১২ বার)

১৬ টেস্ট শেষে স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার (৯) পাঁচ উইকেট শিকার। সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।  শ্রীলংকার এই ভেন্যুতে উইকেট শিকারের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন অফস্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া। তার ওপরে আছেন কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং রঙ্গনা হেরাথ।  মাত্র দ্বিতীয় শ্রীলংকান ক্রিকেটার হিসেবে এক ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (উইকেটরক্ষক ব্যতীত)।

একই বোলারের (প্রভাত জয়সুরিয়া) বলে ৫ ক্যাচ নিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল ৪ বার।