ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরাজই কী হতে যাচ্ছেন নতুন অধিনায়ক

পরিবর্তনের হাওয়া যেন খুব ভালোভাবেই লেগেছে দেশের ক্রিকেটে। এবার দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ইতোমধ্যে বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পরই শান্তর বদলে নতুন দায়িত্বে কে আসবেন- সেসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।

এই আলোচনার মধ্যে  বামহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত আছেন তিনি। তবে বিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্টের আগের দিনের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসলেন না শান্ত। কারণটা অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও মিডিয়াতে কথা বলতে চাচ্ছেন না তিনি। তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

নানা প্রশ্নের ভিড়ে তাজুল এক প্রশ্নের জবাবে জানান, তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। তবে শান্তর অধিনায়তক্ব ছাড়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে জানা গেছে, নেতৃত্ব ছাড়তে শান্ত ইতোমধ্যে বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছেন। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান নেই, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নেই। মুশফিকুর রহীমও যাই যাই বলছেন। এই ক্রিকেটারদের বিকল্প খোঁজা আপাতত কঠিন মনে হচ্ছে বিসিবি’র কাছে। সেখানে নতুন করে অধিনায়ক খোঁজাও বড় চ্যালেঞ্জ। যোগ্যতা বিবেচনা করলে এখন দু’টি নাম আসতে পারে, একটি লিটন দাস আরেকটি মেহেদী হাসান মিরাজ। এক্ষেত্রে এগিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ।

তবে সূত্রগুলোর আরেকটি তথ্য বলছে, এবার হয়তো আর তিন ফরম্যাটে একই অধিনায়কের পথে হাঁটবে না বিসিবি। জানা গেছে  টি- টোয়েন্টিতে শান্তর বিকল্প হিসেবে তাওহীদ হৃদয় ও লিটনের নাম আলোচনা হচ্ছে। আর ওয়ানডেতে শান্তকেই রাখতে চায় বিসিবি।

এ বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, অবশ্যই বিসিবি আলোচনা করতে চাইবে (শান্তর সঙ্গে)। কারণ শান্ত এতদিন ধরে অধিনায়কত্ব করে আসছে। এটা তো আমাদের সময়েরও বিনিয়োগ। আমরা একজনকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সে যদি হঠাৎ করে সরে যায়, নতুন আরেকজন সে তো অপ্রস্তুত।

বিসিবি’র আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, দুই টেস্ট ও ওয়ানডেতে শান্তকেই রাখার চেষ্টা করা হবে। আর নয়তো তাকে ওয়ানডেতে রেখে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য আলদা আলাদা অধিনায়ক ভাবা হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে মিরাজ সফল ছিলেন। তার নেতৃত্বগুণ থাকলেও কিছু সমস্যাও আছে। যতটা জানা গেছে অধিনায়ক হিসেবে দলের সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বেশ কম। এটি বিসিবিকে ভাবাচ্ছে। তবে শান্ত না চাইলে যে জোর করে রাখা হবে না, সেটিও জানিয়েছেন বিসিবি’র সূত্রটি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরাজই কী হতে যাচ্ছেন নতুন অধিনায়ক

আপডেট টাইম : ০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

পরিবর্তনের হাওয়া যেন খুব ভালোভাবেই লেগেছে দেশের ক্রিকেটে। এবার দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ইতোমধ্যে বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পরই শান্তর বদলে নতুন দায়িত্বে কে আসবেন- সেসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।

এই আলোচনার মধ্যে  বামহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত আছেন তিনি। তবে বিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, অধিনায়ক হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্টের আগের দিনের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসলেন না শান্ত। কারণটা অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও মিডিয়াতে কথা বলতে চাচ্ছেন না তিনি। তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

নানা প্রশ্নের ভিড়ে তাজুল এক প্রশ্নের জবাবে জানান, তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। তবে শান্তর অধিনায়তক্ব ছাড়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে জানা গেছে, নেতৃত্ব ছাড়তে শান্ত ইতোমধ্যে বিসিবির কাছে চিঠি দিয়েছেন। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান নেই, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নেই। মুশফিকুর রহীমও যাই যাই বলছেন। এই ক্রিকেটারদের বিকল্প খোঁজা আপাতত কঠিন মনে হচ্ছে বিসিবি’র কাছে। সেখানে নতুন করে অধিনায়ক খোঁজাও বড় চ্যালেঞ্জ। যোগ্যতা বিবেচনা করলে এখন দু’টি নাম আসতে পারে, একটি লিটন দাস আরেকটি মেহেদী হাসান মিরাজ। এক্ষেত্রে এগিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ।

তবে সূত্রগুলোর আরেকটি তথ্য বলছে, এবার হয়তো আর তিন ফরম্যাটে একই অধিনায়কের পথে হাঁটবে না বিসিবি। জানা গেছে  টি- টোয়েন্টিতে শান্তর বিকল্প হিসেবে তাওহীদ হৃদয় ও লিটনের নাম আলোচনা হচ্ছে। আর ওয়ানডেতে শান্তকেই রাখতে চায় বিসিবি।

এ বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, অবশ্যই বিসিবি আলোচনা করতে চাইবে (শান্তর সঙ্গে)। কারণ শান্ত এতদিন ধরে অধিনায়কত্ব করে আসছে। এটা তো আমাদের সময়েরও বিনিয়োগ। আমরা একজনকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সে যদি হঠাৎ করে সরে যায়, নতুন আরেকজন সে তো অপ্রস্তুত।

বিসিবি’র আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, দুই টেস্ট ও ওয়ানডেতে শান্তকেই রাখার চেষ্টা করা হবে। আর নয়তো তাকে ওয়ানডেতে রেখে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য আলদা আলাদা অধিনায়ক ভাবা হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে মিরাজ সফল ছিলেন। তার নেতৃত্বগুণ থাকলেও কিছু সমস্যাও আছে। যতটা জানা গেছে অধিনায়ক হিসেবে দলের সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বেশ কম। এটি বিসিবিকে ভাবাচ্ছে। তবে শান্ত না চাইলে যে জোর করে রাখা হবে না, সেটিও জানিয়েছেন বিসিবি’র সূত্রটি।