ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবাহনীর নাটকীয় জয়

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চীর প্রতিদ্বন্ধী মোহামেডানের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী।  বঙ্গবন্ধু জাতীয়  স্টেডিয়ামে আবাহনী জিতেছে মাত্র এক গোলে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন  রুবেল মিয়া। আগের ম্যাচে আকাশী-হলুদরা হেরেছিল ফরাশগঞ্জের কাছে। আবাহনীর কাছে হারের লজ্জার হ্যাটট্রিক হয়ে গেলো মোহামেডানের। প্রিমিয়ার লীগ টানা তিন ম্যাচ হারলো তারা। এর আগে মোহামেডান শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধীদের দলের ম্যাচে আবাহনীই খেলেছে প্রধান্য নিয়ে। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
ঢাকা আবাহনীর কাছে হারই যেন নিয়তি মোহামেডানের। বড় ম্যাচের চাপটা সহজে নিতে পারে না সাদা কালোরা। নইলে পুরো ৯০ মিনিট আটকে রাখার পর অতিরিক্ত সময়ে কেন গোল হজম করতে হবে তাদের। কেনইবা আবাহনীর গোলবারের ঠিক সামনে ডান প্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোয়াতে ব্যর্থ হবেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে চিগোজি। ভাগ্যদেবী এভাবেই উপহাস করেছে সাদা কালোদের। প্রিমিয়ার লীগের পরিসংখ্যানও ঢাকা আবাহনীর পক্ষেই। চোখ বুলিয়ে নিন, এ পর্যন্ত পেশাদার লীগের ১০ আসরে ২০ বার (একবারের লীগে তিনটি লেগ হয়েছিল) মুখোমুখি হয়েছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী দল দু’টি। যার মধ্যে আটটিতে জিতেছে ঢাকা আবাহনী এবং চারটিতে মোহামেডান। বাকি আটটি ম্যাচই ছিল অমীমাংষীত। এদিন কেবল কোচ নয়, প্রথম একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলিও। আগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে এ ম্যাচেও নামতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। আর তাই তখলিস আহমেদ, আবদুল বাতেন কোমল এবং বিপলু আহমেদকে নিয়ে সাজানো ছিল মোহামেডানের আক্রমণভাগ। দুর্ভাগ্য তাদের, কিছু সহজ সুযোগ তৈরী করলেও তা নষ্ট হয় ফিনিংশিংয়ের অভাবে। প্রথমার্ধে কিন্তু ভালো খেলেছে মোহামেডানই। যদিও ম্যাচের ২২ মিনিটে টানা তিন কর্নার পায় আবাহনী। কিন্তু তাও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। মিনিট তিনেক পরতো জার্সী বিভ্রাটে খেলা বন্ধ থাকে তিন মিনিট। মোহামেডানের গোলকিপার মামুন খানের জার্সি নিয়ে আপত্তি জানালে বিফ পড়তেই সময় যায় তিন মিনিট। গোলশূণ্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। আক্রমণে ঢাকা আবাহনী। সাদা কালোদের দূর্গে মুহুর্মুহ আক্রমণ করতে থাকেন আকাশী হলুদ শিবিরের ফরোয়ার্ডরা। ৬২ মিনিটে প্রথমে সামাদ ইউসুফ এবং পরে শাহেদের দুর্দান্ত দু’টি শট অসাধারন দক্ষতায় আটকে দেন মোহামেডানের গোলকিপার মামুন খান। ৭১ মিেিনট রুবেলের ক্রস এমেকার হেড বারে লেগে ফিরে আসলে ফের হতাশায় পুড়তে হয় আকাশী হলুদ শিবিরকে। ৮০ মিনিটে মোহামেডানে কিংসলে চিগোজি মাঠে নামেন। কিছুটা গতি আসে খেলায়। এবার আক্ষেপে পুড়তে হয় সাদা কালোদের। ৮৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কিংসলে। অথচ বাঁ পায়ের আলতো ছোয়াতেই কিন্তু বল জড়িয়ে যেতে পারতো জালে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য সফল হয় ঢাকা আবাহনী। জয়ের নায়ক রুবেল মিয়া। ডান প্রান্ত দিয়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনের ক্রসে আসা বলে শট করে মোহামেডানের জালে জড়িয়ে দেন রুবেল। উৎসবের বান ডাকে আকাশী হলুদ শিবিরে। শেষে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। তিন ম্যাচে ঢাকা আবাহনী দু’টিতে জিতলেও মোহামেডানের ছিল টানা তিন হার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আবাহনীর নাটকীয় জয়

আপডেট টাইম : ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চীর প্রতিদ্বন্ধী মোহামেডানের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী।  বঙ্গবন্ধু জাতীয়  স্টেডিয়ামে আবাহনী জিতেছে মাত্র এক গোলে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন  রুবেল মিয়া। আগের ম্যাচে আকাশী-হলুদরা হেরেছিল ফরাশগঞ্জের কাছে। আবাহনীর কাছে হারের লজ্জার হ্যাটট্রিক হয়ে গেলো মোহামেডানের। প্রিমিয়ার লীগ টানা তিন ম্যাচ হারলো তারা। এর আগে মোহামেডান শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধীদের দলের ম্যাচে আবাহনীই খেলেছে প্রধান্য নিয়ে। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
ঢাকা আবাহনীর কাছে হারই যেন নিয়তি মোহামেডানের। বড় ম্যাচের চাপটা সহজে নিতে পারে না সাদা কালোরা। নইলে পুরো ৯০ মিনিট আটকে রাখার পর অতিরিক্ত সময়ে কেন গোল হজম করতে হবে তাদের। কেনইবা আবাহনীর গোলবারের ঠিক সামনে ডান প্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোয়াতে ব্যর্থ হবেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে চিগোজি। ভাগ্যদেবী এভাবেই উপহাস করেছে সাদা কালোদের। প্রিমিয়ার লীগের পরিসংখ্যানও ঢাকা আবাহনীর পক্ষেই। চোখ বুলিয়ে নিন, এ পর্যন্ত পেশাদার লীগের ১০ আসরে ২০ বার (একবারের লীগে তিনটি লেগ হয়েছিল) মুখোমুখি হয়েছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী দল দু’টি। যার মধ্যে আটটিতে জিতেছে ঢাকা আবাহনী এবং চারটিতে মোহামেডান। বাকি আটটি ম্যাচই ছিল অমীমাংষীত। এদিন কেবল কোচ নয়, প্রথম একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলিও। আগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে এ ম্যাচেও নামতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। আর তাই তখলিস আহমেদ, আবদুল বাতেন কোমল এবং বিপলু আহমেদকে নিয়ে সাজানো ছিল মোহামেডানের আক্রমণভাগ। দুর্ভাগ্য তাদের, কিছু সহজ সুযোগ তৈরী করলেও তা নষ্ট হয় ফিনিংশিংয়ের অভাবে। প্রথমার্ধে কিন্তু ভালো খেলেছে মোহামেডানই। যদিও ম্যাচের ২২ মিনিটে টানা তিন কর্নার পায় আবাহনী। কিন্তু তাও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। মিনিট তিনেক পরতো জার্সী বিভ্রাটে খেলা বন্ধ থাকে তিন মিনিট। মোহামেডানের গোলকিপার মামুন খানের জার্সি নিয়ে আপত্তি জানালে বিফ পড়তেই সময় যায় তিন মিনিট। গোলশূণ্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। আক্রমণে ঢাকা আবাহনী। সাদা কালোদের দূর্গে মুহুর্মুহ আক্রমণ করতে থাকেন আকাশী হলুদ শিবিরের ফরোয়ার্ডরা। ৬২ মিনিটে প্রথমে সামাদ ইউসুফ এবং পরে শাহেদের দুর্দান্ত দু’টি শট অসাধারন দক্ষতায় আটকে দেন মোহামেডানের গোলকিপার মামুন খান। ৭১ মিেিনট রুবেলের ক্রস এমেকার হেড বারে লেগে ফিরে আসলে ফের হতাশায় পুড়তে হয় আকাশী হলুদ শিবিরকে। ৮০ মিনিটে মোহামেডানে কিংসলে চিগোজি মাঠে নামেন। কিছুটা গতি আসে খেলায়। এবার আক্ষেপে পুড়তে হয় সাদা কালোদের। ৮৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কিংসলে। অথচ বাঁ পায়ের আলতো ছোয়াতেই কিন্তু বল জড়িয়ে যেতে পারতো জালে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য সফল হয় ঢাকা আবাহনী। জয়ের নায়ক রুবেল মিয়া। ডান প্রান্ত দিয়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনের ক্রসে আসা বলে শট করে মোহামেডানের জালে জড়িয়ে দেন রুবেল। উৎসবের বান ডাকে আকাশী হলুদ শিবিরে। শেষে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী। তিন ম্যাচে ঢাকা আবাহনী দু’টিতে জিতলেও মোহামেডানের ছিল টানা তিন হার।