বাঙ্গালী কণ্ঠ নিউজঃ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে সাবেক শীষ্যদের সমর্থন জানাতে মাঠে ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক কিংবদন্তি। চলমান বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবগুলো ম্যাচই মাঠে বসে উপভোগ করেবেন বর্ণাঢ্য এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। এবার ম্যারাডোনা শুধু আর্জেন্টিনা কিংবদন্তি নয়, খেলা দেখতে আসছেন ফিফার শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও। প্রতিটি ম্যাচ দেখতে ফিফা তাকে সম্মানী দিচ্ছে প্রায় ১১ লাখ টাকা।
নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনার ম্যাচ চলাকালীন সময় ছিয়াশির বিশ্বকাপের মহানায়ককে দেখা যায় এই হাসেন তো এই কাঁদেন। মেসির গোলের পর দুহাত উঁচিয়ে ঈশ্বরকে ডাকেন। কখনো উত্তেজনায় শিশুদের মতো লম্ফঝম্প করেন, কখনো মেসিদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা মতো না হলে ভীষণ বিরক্ত হন। একবার তো ঘুমিয়েও পড়লেন। রোহোর গোলের পর আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন দুই হাতে মধ্যাঙ্গুলি দেখিয়ে। ম্যাচ শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন! তবে স্বস্তির খবর দ্রুতৈই সুস্থ হয়েছেন ম্যারাডোনা।
এর আগে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ধূমপানমুক্ত স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনাকে দেখা গেল সিগারেট হাতে! তার জীবনের চিত্রনাট্য এমনই, যার পরতে পরতে রোমাঞ্চ, বিতর্ক। এই চিত্রনাট্যে একঘেয়েমির কোনো জায়গা নেই।
তবে ম্যারাডোনার এই সবই ছিল অভিনয়! ব্রিটিশ চিত্রপরিচালক আসিফ কাপাডিয়া ম্যারাডোনার জীবনীর উপর একটি প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নির্মান করতে যাচ্ছেন। আর এসব নাকি সেই চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের অংশবিশেষ। চলচ্চিত্র নির্মানে অর্থায়ন করছে চ্যানেল ফোর।
আগামী বছরই মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি। আর্জেন্টিনা কিংবদন্তির ভক্তরা প্রশ্ন তুলতে পারেন, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে ম্যারাডোনার উথলে পড়া আবেগ নতুন নয়। তার আবেগের এই বিস্ফোরণ দেখা যায় প্রতি বিশ্বকাপেই। কিন্তু আগের বিশ্বকাপগুলোয় তো দেখা যায়নি তিনি শুটিং করেছেন! এবার কেন এই প্রসঙ্গ আসছে?