বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে উঠোন বৈঠক থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে নেতাকর্মী, বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।
আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ এবং সব দলের অংশগ্রহণমূলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর ওই নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের জনসমৃক্ত প্রার্থী বাছায়ের কাজ শুরু করেছে দলটি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি হিসাবে শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত প্রতিবেদন দেখছেন। পর্যবেক্ষণ করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাজ, তাদের জনপ্রিয়তাও যাচাইয়ের প্রতিবেদন তিনি বিশ্লেষণ করছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড ও গণভবনের একটি সূত্র পূর্বপশ্চিমকে নিশ্চিত করেছে, দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনার নির্দেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করছেন নিয়মিত।
সূত্র আরো জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগামী নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে জিতে আসতে পারবে এমন ৭০ জন নেতা ও এমপিদের তালিকা তৈরির কাজ দিয়েছিলেন। সেই কাজটিই তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তালিকায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের আরো দুইজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে নিয়ে তিনি এই তালিকা করছেন। যেখানে বর্তমান সংসদের কমপক্ষে ৫০ জন ক্লিন ইমেজের সংসদ সদস্য যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই, জনসম্পৃক্ততা এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে তাদেরকে বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে তরুণ কমপক্ষে ২০ জন নেতা রয়েছেন যাদের ক্লিন ইমেজের পাশাপাশি দলের দুঃসময়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতির ঐতিহ্য রয়েছে তাদের ভাবা হচ্ছে। কবে নাগাদ এই তালিকা প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হবে সে বিষয়ে সূত্রটি জানিয়েছে, আগস্ট মাসে শোকের কর্মসূচী নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। এই তালিকা চূড়ান্ত করে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দেয়া হবে।