ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাকালুকি হাওরের পরিবেশ হুমকির মুূখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি দেশের সর্ববৃহৎ মিঠা পানির মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। এ ছাড়া সর্ববৃহৎ অতিথি পাখির সমাগমস্থল ও বিচরণ কেন্দ্রও এটি। গত দু’বছর ধরে অরক্ষিত এই হাওরটি। এরফলে দুর্বৃত্তরা অবাধে কাটছে হাওরের জলজ গাছ। সেই সঙ্গে বিষটোপে চলছে পাখি শিকার এবং অভয়াশ্রম থেকে চলছে মাছ লুটের ঘটনা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। উপজেলা পর্যায়ে অভিযোগ জানালেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

এদিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ। প্রতি বছর ৫ জুন পরিবেশ সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্বব্যাপী দিসবটি পালন করা হয়। ছোট বড় ২৩৮টি বিল নিয়ে গঠিত শুষ্ক মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টরের হাকালুকি হাওর বর্ষা মৌসুমে ৪৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে পরিণত হয়। এই হাওরে ১০৭ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে। ফলে হাওরে দেশের অন্যতম ও সর্ববৃহৎ মিঠা পানির ‘মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র’ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৪১৭ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখি ও ৩০৫ প্রজাতির দেশীয় পাখি রয়েছে এখানে। হাওরটি লাখ লাখ অতিথি পাখির সমাগমস্থল ও বিচরণ কেন্দ্র। রয়েছে আড়াং, হিজল করচসহ ১২০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ। এটি মূলত প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিশাল জলজ বন।

সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ এই ৫টি উপজেলায় অবস্থিত হাকালুকি হাওরকে ১৯৯৯ সালে সরকার ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হাওর উন্নয়নে পরিবেশ অধিদফতর হাওরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত করলেও আস্তে আস্তে তাতে ভাটা পড়ে।

সর্বশেষ পরিবেশ অধিদফতরের বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের জুন মাসে শেষ হয় সিবিএ-ইসিএ নামক একটি প্রকল্পের। সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরের ১২টি বিলকে মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরফলে হাওরে অতিথি পাখি ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হাওর উন্নয়ন কাজে ইউএনডিপি ২ জন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করে। কিন্তু সেসব কর্মকর্তারা পুরো বছর কাজ না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে খেয়ে বসে সময় কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারাও চলে গেছেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতরের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাকালুকি হাওরে যেন শুরু হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ। অভয়াশ্রমে পড়ে হাওর খেকোদের লোলুপ দৃষ্টি। হাওরের পলোভাঙা মরাসুনাই চিকনউটি অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুটপাটের লক্ষ্যে ভিসিজি সদস্যদের মারপিট করা হয়। এ ব্যাপারে হাকালুকি হাওর বোরোদল ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মখলিছ আলী গত ১২ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে থানায় মামলা করে উল্টো নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন মামলার বাদী মখলিছ আলী।

এছাড়া হাওরের গুটাউরা খাল বদ্ধ জলমহাল থেকে প্রতি রাতে ৫-১০ লাখ টাকার মাছ লুটপাট করছে বলে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও তাতে কোনো প্রতিকার হয়নি।

এদিকে নওয়াগাঁও গ্রাম সংরক্ষণ দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির আহমদ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাকালুকি হাওরের টোলার বিল অভয়াশ্রম এলাকায় রাতের আধারে বিষটোপে পাখি শিকার, গবাদি পশুর বাথান দ্বারা বনায়ন নিধন ও জলজ বনের গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তদের বেশির ভাগের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নে। রাতের আধারে এরা বিষটোপে পাখি শিকার করে এবং গবাদি পশুর বাথান পরিচালনার নামে জলজ বন ধ্বংস করে। শুধু এরাই নয় বিল ইজারাদারদের পাহারাদারাও পাখি শিকার ও বিল সেচে মাছ শিকারের মতো ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত।

এশিয়ার বৃহত্তম এই হাওরটি হাওর উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে না থাকায়, পরিবেশ অধিদফতর কিংবা সরকারি বেসরকারি কোনো সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই হাওরে। আর স্থানীয় প্রশাসনও এ ব্যাপারে রহস্যময় কারণে উদাসীন। বরং প্রশাসনের যোগসাজশে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অভয়াশ্রমকে ইজারার আওতায় আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে জানা গেছে। এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ফলে চলতি মৌসুমে হাকালুকি হাওরে অতীতের তুলনায় অতিথি পাখির সমাগম কমেছে বলে জানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, অতিথি পাখি কম আসা মানে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়া। এরফলে মাছ আর পাখির জন্য যত বেশি অভয়াশ্রম হবে তাতে পাখির সমাগম বৃদ্ধি পাবে। পাখির সমাগম বৃদ্ধি পেলে মাছের উৎপাদন বাড়বে। তাতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে হাওরের উপর জীবিকা নির্বাহকারী মানুষ।

বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, পাখি নিধন ও জলজ বন ধ্বংস রোধ করতে হলে স্থানীয় জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। এমনিতে হাওর দুর্গম ও বিশাল এলাকা। ২ জন প্রহরি কেন ১০-২০ জন দিয়েও এত বিশাল এলাকায় পাখির বিচরণ নিশ্চিত করা কঠিন।

পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় ইনচার্জ সালাউদ্দিন জানান, হাকালুকি হাওরে বর্তমানে কোনো প্রকল্প নেই। এরফলে পরিবেশ অধিদফতর বিষয়গুলোর উপর নজর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, পাখি শিকার বা জলজ বন ধ্বংসে প্রশাসনের নীরব থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিষয়টি প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

হাকালুকি হাওরের পরিবেশ হুমকির মুূখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য

আপডেট টাইম : ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি দেশের সর্ববৃহৎ মিঠা পানির মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। এ ছাড়া সর্ববৃহৎ অতিথি পাখির সমাগমস্থল ও বিচরণ কেন্দ্রও এটি। গত দু’বছর ধরে অরক্ষিত এই হাওরটি। এরফলে দুর্বৃত্তরা অবাধে কাটছে হাওরের জলজ গাছ। সেই সঙ্গে বিষটোপে চলছে পাখি শিকার এবং অভয়াশ্রম থেকে চলছে মাছ লুটের ঘটনা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। উপজেলা পর্যায়ে অভিযোগ জানালেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

এদিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ। প্রতি বছর ৫ জুন পরিবেশ সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্বব্যাপী দিসবটি পালন করা হয়। ছোট বড় ২৩৮টি বিল নিয়ে গঠিত শুষ্ক মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টরের হাকালুকি হাওর বর্ষা মৌসুমে ৪৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে পরিণত হয়। এই হাওরে ১০৭ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে। ফলে হাওরে দেশের অন্যতম ও সর্ববৃহৎ মিঠা পানির ‘মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র’ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৪১৭ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখি ও ৩০৫ প্রজাতির দেশীয় পাখি রয়েছে এখানে। হাওরটি লাখ লাখ অতিথি পাখির সমাগমস্থল ও বিচরণ কেন্দ্র। রয়েছে আড়াং, হিজল করচসহ ১২০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ। এটি মূলত প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা বিশাল জলজ বন।

সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ এই ৫টি উপজেলায় অবস্থিত হাকালুকি হাওরকে ১৯৯৯ সালে সরকার ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হাওর উন্নয়নে পরিবেশ অধিদফতর হাওরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত করলেও আস্তে আস্তে তাতে ভাটা পড়ে।

সর্বশেষ পরিবেশ অধিদফতরের বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের জুন মাসে শেষ হয় সিবিএ-ইসিএ নামক একটি প্রকল্পের। সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরের ১২টি বিলকে মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরফলে হাওরে অতিথি পাখি ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হাওর উন্নয়ন কাজে ইউএনডিপি ২ জন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করে। কিন্তু সেসব কর্মকর্তারা পুরো বছর কাজ না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে খেয়ে বসে সময় কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারাও চলে গেছেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতরের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাকালুকি হাওরে যেন শুরু হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ। অভয়াশ্রমে পড়ে হাওর খেকোদের লোলুপ দৃষ্টি। হাওরের পলোভাঙা মরাসুনাই চিকনউটি অভয়াশ্রম থেকে মাছ লুটপাটের লক্ষ্যে ভিসিজি সদস্যদের মারপিট করা হয়। এ ব্যাপারে হাকালুকি হাওর বোরোদল ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মখলিছ আলী গত ১২ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে থানায় মামলা করে উল্টো নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন মামলার বাদী মখলিছ আলী।

এছাড়া হাওরের গুটাউরা খাল বদ্ধ জলমহাল থেকে প্রতি রাতে ৫-১০ লাখ টাকার মাছ লুটপাট করছে বলে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও তাতে কোনো প্রতিকার হয়নি।

এদিকে নওয়াগাঁও গ্রাম সংরক্ষণ দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির আহমদ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাকালুকি হাওরের টোলার বিল অভয়াশ্রম এলাকায় রাতের আধারে বিষটোপে পাখি শিকার, গবাদি পশুর বাথান দ্বারা বনায়ন নিধন ও জলজ বনের গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তদের বেশির ভাগের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নে। রাতের আধারে এরা বিষটোপে পাখি শিকার করে এবং গবাদি পশুর বাথান পরিচালনার নামে জলজ বন ধ্বংস করে। শুধু এরাই নয় বিল ইজারাদারদের পাহারাদারাও পাখি শিকার ও বিল সেচে মাছ শিকারের মতো ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত।

এশিয়ার বৃহত্তম এই হাওরটি হাওর উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে না থাকায়, পরিবেশ অধিদফতর কিংবা সরকারি বেসরকারি কোনো সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই হাওরে। আর স্থানীয় প্রশাসনও এ ব্যাপারে রহস্যময় কারণে উদাসীন। বরং প্রশাসনের যোগসাজশে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অভয়াশ্রমকে ইজারার আওতায় আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে জানা গেছে। এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ফলে চলতি মৌসুমে হাকালুকি হাওরে অতীতের তুলনায় অতিথি পাখির সমাগম কমেছে বলে জানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, অতিথি পাখি কম আসা মানে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়া। এরফলে মাছ আর পাখির জন্য যত বেশি অভয়াশ্রম হবে তাতে পাখির সমাগম বৃদ্ধি পাবে। পাখির সমাগম বৃদ্ধি পেলে মাছের উৎপাদন বাড়বে। তাতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে হাওরের উপর জীবিকা নির্বাহকারী মানুষ।

বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মিহির কুমার দে জানান, পাখি নিধন ও জলজ বন ধ্বংস রোধ করতে হলে স্থানীয় জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। এমনিতে হাওর দুর্গম ও বিশাল এলাকা। ২ জন প্রহরি কেন ১০-২০ জন দিয়েও এত বিশাল এলাকায় পাখির বিচরণ নিশ্চিত করা কঠিন।

পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় ইনচার্জ সালাউদ্দিন জানান, হাকালুকি হাওরে বর্তমানে কোনো প্রকল্প নেই। এরফলে পরিবেশ অধিদফতর বিষয়গুলোর উপর নজর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, পাখি শিকার বা জলজ বন ধ্বংসে প্রশাসনের নীরব থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিষয়টি প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ