মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানিয়েছিল কানাডা। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো। সেই অবদানের জন্য ২০১২ সালে পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডোকে মরণোত্তর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’-য় ভূষিত করা হয়।
প্রয়াত পিয়েরে ট্রুডোর সন্তান জাস্টিন ট্রুডোর বর্তমানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী। সন্তানের হাতেই তার বাবার সম্মাননা পুরস্কারটি তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মাননা হস্তান্তরের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, মহান মুক্তির সংগ্রামের দিনগুলোতে বিশ্বের গুটিকয় বিশ্বনেতা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ট্রুডো ছিলেন তাদের অন্যতম। পিয়েরে ট্রুডো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেছেন। আর কানাডা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম কয়েকটি দেশের একটি।
এছাড়াও জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের পক্ষে পিয়েরে ট্রুডোর সরাসরি অবস্থান গ্রহণের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। মন্ট্রিয়লে পঞ্চম বৈশ্বিক তহবিল পুনর্গঠন সম্মেলনে যোগদানের জন্য বর্তমানে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।