জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও শিক্ষা আইন-২০১৬ বাতিল করে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে ইসলামি বিষয়গুলো পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। ইসলামপন্থী দলটির মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ খাঁন বলেছেন, এই শিক্ষানীতি ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটা নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। এ শিক্ষানীতি অবিলম্বে বাতিল করা না হলে রক্তের বিনিময় হলেও এই বাতিল করা হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে
তিনি এসব কথা বলেন। ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষানীতি ২০১৬ বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ঢাকা মহানগর।
জাফরুল্লাহ খাঁন বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে জাতীয় পাঠ্যসূচিতে ইসলামি বিষয়গুলো তুলে দিয়ে অনৈসলামিক বিষয়গুলো যুক্ত করা হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। দেশের মানুষ ইসলাম বিদ্বেশী শিক্ষানীতি চায় না। কারণ বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে নিজে এক মুসলিম রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে গর্ববোধ করতেন। তিনি ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, হিজাব পরেন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমান হিজাব পরায় এক শিক্ষার্থীকে ক্লাসে থেকে বের করে দিয়েছেন। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করতে হবে।
ঢাকা মহানগরের আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফকরুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান আযাহারী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান, মাওলানা হুসেইন আকন্দ, মাওলানা আবুল কাসেমী ও আবু তাহের প্রমুখ।