ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ লাখ ১০ হাজার সরকারি পদ শূন্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে দেশে মন্ত্রণালয় অধিদফতর আওতাধীন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫১১টি পদ শূন্য রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে মো. আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর/সংস্থায় মোট শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৬টি। কোনো কোনো দফতর/সংস্থার নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, কিছু কিছু পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য এবং কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পূরণযোগ্য বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ জারির পূর্বে জনপ্রশাসনের কর্মচারীরা ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজিত ছিল। শ্রেণিভিত্তিক ওই বিভাজনে ১ম গ্রেড হতে ৯ম গ্রেড ১ম শ্রেণি, ১০ গ্রেড হতে ১৩তম গ্রেড ২য় শ্রেণি, ১৪তম গ্রেড হতে ১৬তম গ্রেড ৩য় শ্রেণি এবং ১৭তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেড ৪র্থ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে জারিকৃত ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ এর অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী ‘আপাতত বলবৎ এতদসংক্রান্ত অন্য কোনো বিধিবিধান যাহাই থাকুক না কেন, কর্মচারীরা ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে বেতনস্কেলের গ্রেডভিত্তিক পরিচিত হইবেন।’ মর্মে বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের পরিচিতি বেতন স্কেলের ‘গ্রেডভিত্তিক’ পরিচিতির ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

বাল্যবিবাহ বন্ধে একটি সর্বজনীন আইন হচ্ছে: বাল্যবিবাহ বন্ধে একটি সর্বজনীন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রচলিত বর্তমান আইনকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, বাল্যবিবাহমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বার্থে বিবাহ নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার ও হিন্দু পুরোহিতদের বর্তমান প্রচলিত আইনের বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ নিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়নসাধন করেছেন। বর্তমান সরকার মামলাজট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে জট কমানোর জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে অধিকসংখ্যক আদালত সৃজন করে বিচারক নিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বর্তমানে আরও বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮৭ জেলেকে ৩ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে, জলদস্যুদের আক্রমণে, বাঘের থাবা, কুমির ও সাপের কামড়ের কারণে নিহত জেলে পরিবারকে ২০১২ সাল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। নানা কারণে নিহত হওয়া ৫৮৭টি জেলে পরিবারকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত জেলেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদফতর জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী জেলের নিবন্ধন ও ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। এসব ডাটাবেজ থেকে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

নড়িয়ার ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: নদীভাঙনরোধে কোনো প্রকল্প নিতে জরিপের কারণে দেরি হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম। তবে শরীয়তপুরের নড়িয়ার নদীভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙনরোধে কোনো প্রকল্প নিতে হলে পানির নিচে জরিপ করতে সময় লেগে যায়। উপর থেকে কিছু বোঝা যায় না। এ কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। নুর-ই আলম চৌধুরী লিটনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে একটু আলাদা। টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। এ কারণে অনেক সময় প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে নড়িয়ায় নদীভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৭-৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আরও ১২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত কাজগুলো করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

৩ লাখ ১০ হাজার সরকারি পদ শূন্য

আপডেট টাইম : ০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে দেশে মন্ত্রণালয় অধিদফতর আওতাধীন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫১১টি পদ শূন্য রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে মো. আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর/সংস্থায় মোট শূন্য পদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৬টি। কোনো কোনো দফতর/সংস্থার নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, কিছু কিছু পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য এবং কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পূরণযোগ্য বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ জারির পূর্বে জনপ্রশাসনের কর্মচারীরা ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজিত ছিল। শ্রেণিভিত্তিক ওই বিভাজনে ১ম গ্রেড হতে ৯ম গ্রেড ১ম শ্রেণি, ১০ গ্রেড হতে ১৩তম গ্রেড ২য় শ্রেণি, ১৪তম গ্রেড হতে ১৬তম গ্রেড ৩য় শ্রেণি এবং ১৭তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেড ৪র্থ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে জারিকৃত ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ এর অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী ‘আপাতত বলবৎ এতদসংক্রান্ত অন্য কোনো বিধিবিধান যাহাই থাকুক না কেন, কর্মচারীরা ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে বিভাজনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে বেতনস্কেলের গ্রেডভিত্তিক পরিচিত হইবেন।’ মর্মে বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের পরিচিতি বেতন স্কেলের ‘গ্রেডভিত্তিক’ পরিচিতির ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

বাল্যবিবাহ বন্ধে একটি সর্বজনীন আইন হচ্ছে: বাল্যবিবাহ বন্ধে একটি সর্বজনীন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রচলিত বর্তমান আইনকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, বাল্যবিবাহমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বার্থে বিবাহ নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার ও হিন্দু পুরোহিতদের বর্তমান প্রচলিত আইনের বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ নিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়নসাধন করেছেন। বর্তমান সরকার মামলাজট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে জট কমানোর জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে অধিকসংখ্যক আদালত সৃজন করে বিচারক নিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বর্তমানে আরও বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮৭ জেলেকে ৩ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে, জলদস্যুদের আক্রমণে, বাঘের থাবা, কুমির ও সাপের কামড়ের কারণে নিহত জেলে পরিবারকে ২০১২ সাল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। নানা কারণে নিহত হওয়া ৫৮৭টি জেলে পরিবারকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত জেলেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদফতর জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করছে। ইতিমধ্যে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী জেলের নিবন্ধন ও ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। এসব ডাটাবেজ থেকে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

নড়িয়ার ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: নদীভাঙনরোধে কোনো প্রকল্প নিতে জরিপের কারণে দেরি হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম। তবে শরীয়তপুরের নড়িয়ার নদীভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙনরোধে কোনো প্রকল্প নিতে হলে পানির নিচে জরিপ করতে সময় লেগে যায়। উপর থেকে কিছু বোঝা যায় না। এ কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। নুর-ই আলম চৌধুরী লিটনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে একটু আলাদা। টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। এ কারণে অনেক সময় প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে নড়িয়ায় নদীভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৭-৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আরও ১২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত কাজগুলো করা হবে।