ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মশার ওষুধ কিনতে আমরা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল হক বলেছেন, মশা মারার ওষুধ কিনতে আমরা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি। দু’টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ সিস্টেমটাকে ম্যানেজ করে রেখেছে। এখন থেকে সিন্ডিকেট ভেঙে সিটি কর্পোরেশন নিজেই সরাসরি ওষুধ আমদানি করবে বলে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গুলশান ক্লাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, দুইটি কোম্পানির জন্য মশার ওষুধের আমদানিকারক ওষুধ আমদানি করতে পারে না। শুধুমাত্র দু’টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানই এই সিস্টেমটাকে ম্যানেজ করে রেখেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা ওষুধ নিয়ে আসব।

এ ওষুধ দিয়ে কীভাবে বা কি পর্যায়ে মশা মারবে না মারবে, সে বিষয়ে আইডিসিআর ও আসিডিআর এবং সরকারসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্র মতে, গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার ৫২৮ জন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর সেই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১৪৮ জন। এ বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে ডেঙ্গু জ্বরে মৃতের সংখ্যা আটজন।

ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রাজধানীবাসী। এ বছর প্রতিদিন হসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মশা নিধনে ব্যর্থ হওয়ায় দুই মেয়রের প্রতি ক্ষোভও বাড়ছে জনগণের প্রতি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মশার ওষুধ কিনতে আমরা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি

আপডেট টাইম : ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল হক বলেছেন, মশা মারার ওষুধ কিনতে আমরা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি। দু’টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ সিস্টেমটাকে ম্যানেজ করে রেখেছে। এখন থেকে সিন্ডিকেট ভেঙে সিটি কর্পোরেশন নিজেই সরাসরি ওষুধ আমদানি করবে বলে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গুলশান ক্লাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, দুইটি কোম্পানির জন্য মশার ওষুধের আমদানিকারক ওষুধ আমদানি করতে পারে না। শুধুমাত্র দু’টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানই এই সিস্টেমটাকে ম্যানেজ করে রেখেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা ওষুধ নিয়ে আসব।

এ ওষুধ দিয়ে কীভাবে বা কি পর্যায়ে মশা মারবে না মারবে, সে বিষয়ে আইডিসিআর ও আসিডিআর এবং সরকারসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্র মতে, গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার ৫২৮ জন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর সেই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১৪৮ জন। এ বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে ডেঙ্গু জ্বরে মৃতের সংখ্যা আটজন।

ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রাজধানীবাসী। এ বছর প্রতিদিন হসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মশা নিধনে ব্যর্থ হওয়ায় দুই মেয়রের প্রতি ক্ষোভও বাড়ছে জনগণের প্রতি।