ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী সংস্কারে ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের যত প্রস্তাব

বাঙালী  কন্ঠ ডেস্কঃ  নির্বাচনী আইন-বিধি সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ভোটের সময় এগিয়ে আনা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ফি এক লাখ টাকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা বিলোপ করার প্রস্তাব করছেন তারা।

এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজ সহজতর করা; ইসির ব্যবস্থাপনায় ভোটার স্লিপ বিতরণ; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে ইসির একই মঞ্চে বিতর্ক; ভোট গ্রহণ ৭টা থেকে বিকাল ৩টা করা, ভোটকক্ষের সংখ্যা কমানো; ইভিএম ও ভোটার সচেতনতা বাড়ানো, স্বয়ংক্রিয় সিল, স্মার্ট ভোটকক্ষ তৈরিসহ একগুচ্ছ সুপারিশ রয়েছে একাধিক মাঠ কর্মকর্তার।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলসহ অন্যদের সঙ্গে আইন সংস্কারসহ নানা বিষয়ে সংলাপের আগে নিজস্ব কর্মকর্তাদের মতামত নিল কে এম নূরুল হুদা  নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর আচরণ-বিধিমালাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিষয়গুলো নিয়ে অধীনস্থদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছিল

ইসিতে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক ধরনের প্রস্তাবনা এসেছে। এর মধ্যে দলগুলোর নিবন্ধন ফি ২০ গুণ বাড়ানোর তথা ফি এক লাখ টাকা করারও প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা বিলোপ, ভোট গ্রহণের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা, আচরণবিধি লঙ্ঘনে অর্থদণ্ড ১০ গুণ বাড়ানো, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজ কমানো ও স্মার্ট ভোট ব্যবস্থাপনার সুপারিশও রয়েছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সংস্কার প্রস্তাব পাঠানোর শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার। এরপর ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মাঠপর্যায়ের প্রস্তাবাবলি সম্পর্কে জানা যায়। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বলেন, আমাদের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্তত ছয়টি বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আমরা সুপারিশগুলো একীভূত করে কমিশনের বিবেচনার জন্য শিগগিরই উপস্থাপন করব।

এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসিও ২০১৫ সালে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব সংগ্রহ করেছিল। সবগুলো গুছিয়ে রাখলেও তা নিয়ে তারা আর এগোয়নি। নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণার পর নতুন করে উদ্যোগ নেয়। প্রথমবার দলগুলোর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি নিয়েছিল ইসি। পরে নতুন আরও দল নিবন্ধনের সময়ও ওই ৫ হাজার টাকাই নেওয়া হয়েছিল।

তবে আবেদন করে নিবন্ধন না পাওয়া দলকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়া হয় এখন। বিদ্যমান আইনে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও পরপর দুই সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে ভোটের সময় সকাল ৮টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়ারও সুপারিশ রয়েছে সাহতাব উদ্দিনের।

ভোটের নির্বাচন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের পাশাপাশি ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও আচরণবিধি লঙ্ঘনে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব  রেখেছেন এক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ১১ বার সংশোধনী এসেছে। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে অন্তত ২০৯টি বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। -বিডি প্রতিদিন

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নির্বাচনী সংস্কারে ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের যত প্রস্তাব

আপডেট টাইম : ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭

বাঙালী  কন্ঠ ডেস্কঃ  নির্বাচনী আইন-বিধি সংস্কারে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ভোটের সময় এগিয়ে আনা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ফি এক লাখ টাকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা বিলোপ করার প্রস্তাব করছেন তারা।

এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজ সহজতর করা; ইসির ব্যবস্থাপনায় ভোটার স্লিপ বিতরণ; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে ইসির একই মঞ্চে বিতর্ক; ভোট গ্রহণ ৭টা থেকে বিকাল ৩টা করা, ভোটকক্ষের সংখ্যা কমানো; ইভিএম ও ভোটার সচেতনতা বাড়ানো, স্বয়ংক্রিয় সিল, স্মার্ট ভোটকক্ষ তৈরিসহ একগুচ্ছ সুপারিশ রয়েছে একাধিক মাঠ কর্মকর্তার।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলসহ অন্যদের সঙ্গে আইন সংস্কারসহ নানা বিষয়ে সংলাপের আগে নিজস্ব কর্মকর্তাদের মতামত নিল কে এম নূরুল হুদা  নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর আচরণ-বিধিমালাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিষয়গুলো নিয়ে অধীনস্থদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছিল

ইসিতে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক ধরনের প্রস্তাবনা এসেছে। এর মধ্যে দলগুলোর নিবন্ধন ফি ২০ গুণ বাড়ানোর তথা ফি এক লাখ টাকা করারও প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা বিলোপ, ভোট গ্রহণের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা, আচরণবিধি লঙ্ঘনে অর্থদণ্ড ১০ গুণ বাড়ানো, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজ কমানো ও স্মার্ট ভোট ব্যবস্থাপনার সুপারিশও রয়েছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সংস্কার প্রস্তাব পাঠানোর শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার। এরপর ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মাঠপর্যায়ের প্রস্তাবাবলি সম্পর্কে জানা যায়। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বলেন, আমাদের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্তত ছয়টি বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আমরা সুপারিশগুলো একীভূত করে কমিশনের বিবেচনার জন্য শিগগিরই উপস্থাপন করব।

এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসিও ২০১৫ সালে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব সংগ্রহ করেছিল। সবগুলো গুছিয়ে রাখলেও তা নিয়ে তারা আর এগোয়নি। নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণার পর নতুন করে উদ্যোগ নেয়। প্রথমবার দলগুলোর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি নিয়েছিল ইসি। পরে নতুন আরও দল নিবন্ধনের সময়ও ওই ৫ হাজার টাকাই নেওয়া হয়েছিল।

তবে আবেদন করে নিবন্ধন না পাওয়া দলকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়া হয় এখন। বিদ্যমান আইনে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও পরপর দুই সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে ভোটের সময় সকাল ৮টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়ারও সুপারিশ রয়েছে সাহতাব উদ্দিনের।

ভোটের নির্বাচন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের পাশাপাশি ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও আচরণবিধি লঙ্ঘনে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব  রেখেছেন এক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ১১ বার সংশোধনী এসেছে। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে অন্তত ২০৯টি বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। -বিডি প্রতিদিন