ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ বছর কারাগারেই থাকতে হবে পপ তারকা ক্রিসকে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ গত বছরের নভেম্বরে চীনা বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উ ইফান-কে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন চীনের এক আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এই গায়ক। শুক্রবার চীনের আরেকটি আদালত ক্রিসের আপিল খারিজ করে দেন। চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে, বেইজিংয়ের থার্ড ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট ক্রিস উ ইফানের আপিল খারিজ করে পূর্বের রায় বহাল রেখেছেন। আদালত বলেছেন, ‘মূল রায়ের (তার অপরাধ) তথ্যগুলো স্পষ্ট, প্রমাণগুলো নির্ভরযোগ্য এবং দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

আইনের প্রয়োগ সঠিক, সাজা যথাযথ হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়াকে আইনি বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ ২০২২ সালের নভেম্বরে চীনের বেইজিংয়ের চাওয়াং জেলার গণ আদালত ক্রিস উ ইফানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পতিতাবৃত্তির জন্য এর সঙ্গে আরো ১ বছর ১০ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থাৎ মোট ১৩ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২১ সালের জুলাইয়ে চীনের ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্রিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০২০ সালেও একাধিক নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পান আদালত। সেই সময়ে এক কিশোরী অভিযোগ করেন, তিনি মদ্যপ থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে ক্রিস উ ইফান যৌনসঙ্গম করেছেন। যদিও ক্রিস উ অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

১৩ বছর কারাগারেই থাকতে হবে পপ তারকা ক্রিসকে

আপডেট টাইম : ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ গত বছরের নভেম্বরে চীনা বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উ ইফান-কে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন চীনের এক আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এই গায়ক। শুক্রবার চীনের আরেকটি আদালত ক্রিসের আপিল খারিজ করে দেন। চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে, বেইজিংয়ের থার্ড ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট ক্রিস উ ইফানের আপিল খারিজ করে পূর্বের রায় বহাল রেখেছেন। আদালত বলেছেন, ‘মূল রায়ের (তার অপরাধ) তথ্যগুলো স্পষ্ট, প্রমাণগুলো নির্ভরযোগ্য এবং দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

আইনের প্রয়োগ সঠিক, সাজা যথাযথ হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়াকে আইনি বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ ২০২২ সালের নভেম্বরে চীনের বেইজিংয়ের চাওয়াং জেলার গণ আদালত ক্রিস উ ইফানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পতিতাবৃত্তির জন্য এর সঙ্গে আরো ১ বছর ১০ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থাৎ মোট ১৩ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২১ সালের জুলাইয়ে চীনের ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্রিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০২০ সালেও একাধিক নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পান আদালত। সেই সময়ে এক কিশোরী অভিযোগ করেন, তিনি মদ্যপ থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে ক্রিস উ ইফান যৌনসঙ্গম করেছেন। যদিও ক্রিস উ অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেন।