ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও সংঘাত তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।কয়েক দিন শান্ত থাকার পর নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালী সীমান্তের ওপার হঠাৎ গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে।  আজ শুক্রবার সকাল থেকে গুলির শব্দ ভেসে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর পর্যন্ত টানা গোলাগুলি চলে। এরপর থেমে থেমে মর্টাল শেলের বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি-বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। গুলির শব্দে ক্ষেতে কাজ করা কৃষক ও দিনমজুররা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তবে উখিয়া সীমান্ত এখনো শান্ত রয়েছে। সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য শিগগিরই জান্তা বাহিনী থেকে মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

তুমব্রু নদীর ধারে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে কাজ করা কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, ‘গুলির শব্দ ভেসে আসার পর আমরা মাঠ ছেড়ে দ্রুত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তবে বিকেলের পর আর গুলির শব্দ পাইনি। তারপরও আমাদের মনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘টানা কয়েক সপ্তাহ ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডুতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেলেও কয়েক দিন ধরে সীমান্তে কোনো অস্থিরতা বা গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার আবারও গুলির শব্দ পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।’

টেকনাফ হোয়াইক্যং ঝিমংখালী এলাকার নুর হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে। কী কারণে আবারও গোলাগুলি হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তবে ধারণা করছি, বেদখল হওয়া চৌকি উদ্ধারে এ হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট টাইম : ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও সংঘাত তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।কয়েক দিন শান্ত থাকার পর নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালী সীমান্তের ওপার হঠাৎ গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে।  আজ শুক্রবার সকাল থেকে গুলির শব্দ ভেসে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর পর্যন্ত টানা গোলাগুলি চলে। এরপর থেমে থেমে মর্টাল শেলের বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হেলিকপ্টার থেকে গুলি-বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। গুলির শব্দে ক্ষেতে কাজ করা কৃষক ও দিনমজুররা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তবে উখিয়া সীমান্ত এখনো শান্ত রয়েছে। সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য শিগগিরই জান্তা বাহিনী থেকে মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

তুমব্রু নদীর ধারে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে কাজ করা কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, ‘গুলির শব্দ ভেসে আসার পর আমরা মাঠ ছেড়ে দ্রুত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তবে বিকেলের পর আর গুলির শব্দ পাইনি। তারপরও আমাদের মনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘টানা কয়েক সপ্তাহ ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডুতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেলেও কয়েক দিন ধরে সীমান্তে কোনো অস্থিরতা বা গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। আজ শুক্রবার আবারও গুলির শব্দ পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।’

টেকনাফ হোয়াইক্যং ঝিমংখালী এলাকার নুর হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে। কী কারণে আবারও গোলাগুলি হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তবে ধারণা করছি, বেদখল হওয়া চৌকি উদ্ধারে এ হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।’