ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাদের পেনশন পদ্ধতি সহজীকরণ ভুক্তভোগীদের জন্য সুসংবাদ বটে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য একটি সুখবর তৈরি হয়েছে। তাদের পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশ অনুযায়ী, ছুটি নগদায়ন মঞ্জুরির আদেশ বিল দাখিলের তিন কর্মদিবসের মধ্যে পেনশনভোগীর ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা চলে যাবে এবং মাসিক সুবিধার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০’-এ আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ পেনশনের বিষয়টি দেখভালের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। এই পদের নাম হবে কল্যাণ কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার কাজ হবে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রধান হিসাবরক্ষণ অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করা।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে আরও বলা হয়েছে, বিতর্কিত চাকরিকালের জন্যও পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব করা যাবে না। প্রয়োজনে মোট চাকরিকাল থেকে বিতর্কিত সময়টুকু বাদ দিয়ে এ হিসাব করতে হবে। এক্ষেত্রে চাকরি ২৫ বছর বা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য পূর্ণ হারে পেনশন মঞ্জুরি করতে হবে।

পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা মনিটরিংয়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও পেনশন পদ্ধতিকে সহজ করার জন্য আরও কিছু বিধিবিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আলোচ্য আদেশটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। আমরা লক্ষ করে আসছি, একজন সরকারি চাকরিজীবী অবসর গ্রহণের পর পেনশন পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন।

কখনও কখনও বছরের পর বছর এ টেবিল থেকে ওই টেবিলে ঘোরাঘুরি করতে হয় তাদের। একটি প্রতিষ্ঠানে থেকে দীর্ঘদিন সেবা দেয়ার পর অবসরে গিয়ে কেউ যদি ভোগান্তির শিকার হন, তাহলে সেটা চরম অমানবিকতা বটে। এখন থেকে এই অমানবিকতার অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়।

বিশেষ করে পেনশনভোগীর মাসিক সুবিধার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে।

বর্তমান সরকারি আদেশটির মাধ্যমে সেই দাবিরই বাস্তবায়ন হল বলা যায়। আমরা এই সুযোগে পেনশন মঞ্জুরি সহজীকরণে সরকারের পদক্ষেপের জন্য সরকারি উচ্চমহলকে সাধুবাদ জানাই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তাদের পেনশন পদ্ধতি সহজীকরণ ভুক্তভোগীদের জন্য সুসংবাদ বটে

আপডেট টাইম : ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য একটি সুখবর তৈরি হয়েছে। তাদের পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশ অনুযায়ী, ছুটি নগদায়ন মঞ্জুরির আদেশ বিল দাখিলের তিন কর্মদিবসের মধ্যে পেনশনভোগীর ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা চলে যাবে এবং মাসিক সুবিধার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন সহজীকরণ আদেশ ২০২০’-এ আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ পেনশনের বিষয়টি দেখভালের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। এই পদের নাম হবে কল্যাণ কর্মকর্তা। এ কর্মকর্তার কাজ হবে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রধান হিসাবরক্ষণ অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করা।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে আরও বলা হয়েছে, বিতর্কিত চাকরিকালের জন্যও পেনশন মঞ্জুরিতে বিলম্ব করা যাবে না। প্রয়োজনে মোট চাকরিকাল থেকে বিতর্কিত সময়টুকু বাদ দিয়ে এ হিসাব করতে হবে। এক্ষেত্রে চাকরি ২৫ বছর বা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য পূর্ণ হারে পেনশন মঞ্জুরি করতে হবে।

পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা মনিটরিংয়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও পেনশন পদ্ধতিকে সহজ করার জন্য আরও কিছু বিধিবিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আলোচ্য আদেশটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। আমরা লক্ষ করে আসছি, একজন সরকারি চাকরিজীবী অবসর গ্রহণের পর পেনশন পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন।

কখনও কখনও বছরের পর বছর এ টেবিল থেকে ওই টেবিলে ঘোরাঘুরি করতে হয় তাদের। একটি প্রতিষ্ঠানে থেকে দীর্ঘদিন সেবা দেয়ার পর অবসরে গিয়ে কেউ যদি ভোগান্তির শিকার হন, তাহলে সেটা চরম অমানবিকতা বটে। এখন থেকে এই অমানবিকতার অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়।

বিশেষ করে পেনশনভোগীর মাসিক সুবিধার টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে।

বর্তমান সরকারি আদেশটির মাধ্যমে সেই দাবিরই বাস্তবায়ন হল বলা যায়। আমরা এই সুযোগে পেনশন মঞ্জুরি সহজীকরণে সরকারের পদক্ষেপের জন্য সরকারি উচ্চমহলকে সাধুবাদ জানাই।