ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউরিক এসিড কমাবে যে তিন খাবার

মানবদেহের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ইউরিক এসিড। কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন দিয়ে তৈরি এই যৌগ আমাদের খাবার হজমে সহয়তা করে। শরীরের পিউরিন নামে অর্গান ইউরিক এসিড তৈরি করার মূল কারিগর। তবে শরীরের জন্য ইউরিক এসিডের যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি শরীরের ওপর এর বাজে প্রভাবও রয়েছে। তাই শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, পিউরিন অর্গানকে ভারী করে এমন খাবার খাওয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্রন্থির কম হরমোন উৎপাদন), নির্দিষ্ট ডিউরেটিকস (ক্রমাগত কিডনির পানি ও লবণের পরিমাণ কমতে থাকা)। এ ছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিনও ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী।

রক্তে উচ্চমাত্রায় ইউরিক এসিড থাকাকে বলা হয় হাইপারুরিকেমিয়া। উচ্চমাত্রায় ইউরিক এসিডের ফলে বাতরোগের মতো রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে কিছু এমন খাবার রয়েছে, যা শরীর এবং রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চলুন, জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাইয়ের সৌজন্যে জেনে আসি সেই সব খাবারের নাম, যা খেলে ইউরিক এসিডের চিন্তা থেকে চিরমুক্তি মিলবে।

অলিভ অয়েল

শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রদাহরোধী ক্ষমতা। তাই ইউরিক এসিডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সবজি, সালাদ ও পাস্তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

বাদাম

বিশেষ ধরনের, মানে ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদাম, আমন্ড, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও আখরোটে সাধারণত পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদামে পিউরিনের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম। তবে রাস্তায় আমরা সচরাচর যে বাদামগুলো দেখতে পাই, ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, প্রতি কাপে সেগুলোতে পিউরিনের পরিমাণ ৮০ মিলিগ্রাম।

লেবুর শরবত

ইউরিক এসিড প্রতিরোধে সাইট্রিক এসিড (কমলালেবু বা লেবুতে থাকা একধরনের বিশেষ এসিড) সেরা একটি হাতিয়ার। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড। ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে দিয়ে প্রতিদিন দুবার অথবা তিনবার পান করা উচিত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ইউরিক এসিড কমাবে যে তিন খাবার

আপডেট টাইম : ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০১৭

মানবদেহের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ইউরিক এসিড। কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন দিয়ে তৈরি এই যৌগ আমাদের খাবার হজমে সহয়তা করে। শরীরের পিউরিন নামে অর্গান ইউরিক এসিড তৈরি করার মূল কারিগর। তবে শরীরের জন্য ইউরিক এসিডের যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি শরীরের ওপর এর বাজে প্রভাবও রয়েছে। তাই শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, পিউরিন অর্গানকে ভারী করে এমন খাবার খাওয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্রন্থির কম হরমোন উৎপাদন), নির্দিষ্ট ডিউরেটিকস (ক্রমাগত কিডনির পানি ও লবণের পরিমাণ কমতে থাকা)। এ ছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিনও ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী।

রক্তে উচ্চমাত্রায় ইউরিক এসিড থাকাকে বলা হয় হাইপারুরিকেমিয়া। উচ্চমাত্রায় ইউরিক এসিডের ফলে বাতরোগের মতো রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে কিছু এমন খাবার রয়েছে, যা শরীর এবং রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চলুন, জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাইয়ের সৌজন্যে জেনে আসি সেই সব খাবারের নাম, যা খেলে ইউরিক এসিডের চিন্তা থেকে চিরমুক্তি মিলবে।

অলিভ অয়েল

শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রদাহরোধী ক্ষমতা। তাই ইউরিক এসিডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সবজি, সালাদ ও পাস্তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

বাদাম

বিশেষ ধরনের, মানে ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদাম, আমন্ড, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও আখরোটে সাধারণত পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদামে পিউরিনের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম। তবে রাস্তায় আমরা সচরাচর যে বাদামগুলো দেখতে পাই, ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, প্রতি কাপে সেগুলোতে পিউরিনের পরিমাণ ৮০ মিলিগ্রাম।

লেবুর শরবত

ইউরিক এসিড প্রতিরোধে সাইট্রিক এসিড (কমলালেবু বা লেবুতে থাকা একধরনের বিশেষ এসিড) সেরা একটি হাতিয়ার। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড। ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে দিয়ে প্রতিদিন দুবার অথবা তিনবার পান করা উচিত।