ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

পদোন্নতির পর যে ভুলগুলো থেকে সতর্ক থাকা জরুরি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রত্যেক চাকরিজীবীর কাছেই পদোন্নতি একটি কাঙ্ক্ষিত পুরস্কার। মনে রাখবেন, পদোন্নতি হচ্ছে ক্যারিয়ারের একটি ধাপ অতিক্রম। এই একটি ধাপ কিন্তু শেষ ধাপ নয়। আর তাই পদোন্নতি পাওয়ার খুশিতে আবেগের বশে এমন কোনো ভুল করে বসবেন না; যা আপনার পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।

যত পদোন্নতি হতে থাকে কাজ ও পরিশ্রম তত কমতে থাকে এমনটাই মনে করেন করপোরেট ও নন-করপোরেট উভয় চাকরিজীবীরাই। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। পদোন্নতির জন্য কাজের ধরন পাল্টে গেলেও কাজের মাত্রা তো কখনো পাল্টে যাবে না।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভরসা জন্মানোর কারণেই আপনার পদোন্নতি হয়েছে। আর এ কারণে সব কাজেই আপনার ডাক পড়বে। এমনও হতে পারে যে আপনি খুব বড় কোনো প্রজেক্টের দায়িত্ব পেয়ে গেলেন। তাই তো আগের থেকে আরো বেশি পরিশ্রমী হতে হবে।

পদোন্নতি তো পেলেন। এখন তো আপনার প্রতি ঊর্ধ্বতন ছাড়াও আরো অনেকের আস্থা তৈরি হবে। এই আস্থাই পরবর্তী পদোন্নতির জন্য আপনার ট্রাম্পকার্ড। কিন্তু আপনি যদি আপনার সম্মানের জায়গা ভুলে গিয়ে অহংকারের বশবর্তী হয়ে নিজেকে সবার চেয়ে যোগ্য মনে করে গর্ব প্রকাশ করেন, তাহলে আস্থা ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে পদোন্নতিও হারাবেন।

এই অহংকারের কারণে আপনার শত্রুর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। তারা নানা রকমের কূটনৈতিক চাল চালবে আপনাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য। এই অহংকার যেমন ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনি বিনয়ী ভাবও হতে পারে ক্ষতির কারণ।

এই মনে করুন, আপনি এতই বিনয়ী যে কাউকে কিছুই বলতে পারেন না। এমন হলে কেউ আপনার কোনো কথা মেনেই চলবে না। অন্যদিকে আপনার পদোন্নতিতে তো সবাই-ই আপনার প্রশংসা করবে। সেখানে আপনার শুভাকাঙ্খীর সঙ্গে সঙ্গে শত্রুও থাকবে। অতি প্রশংসা বা খ্যাতি কখনো কখনো বিড়ম্বনার কারণও হয়। আবেগে আপ্লুত হয়ে চালিত হতে পারেন ভুল পথে। এ ক্ষেত্রে অন্যের প্রশংসায় গলে না গিয়ে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন।

এখনকার যুগে যথার্থ পরিশ্রম না করলে সাফল্য পাওয়া যায় না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

পদোন্নতির পর যে ভুলগুলো থেকে সতর্ক থাকা জরুরি

আপডেট টাইম : ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রত্যেক চাকরিজীবীর কাছেই পদোন্নতি একটি কাঙ্ক্ষিত পুরস্কার। মনে রাখবেন, পদোন্নতি হচ্ছে ক্যারিয়ারের একটি ধাপ অতিক্রম। এই একটি ধাপ কিন্তু শেষ ধাপ নয়। আর তাই পদোন্নতি পাওয়ার খুশিতে আবেগের বশে এমন কোনো ভুল করে বসবেন না; যা আপনার পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।

যত পদোন্নতি হতে থাকে কাজ ও পরিশ্রম তত কমতে থাকে এমনটাই মনে করেন করপোরেট ও নন-করপোরেট উভয় চাকরিজীবীরাই। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। পদোন্নতির জন্য কাজের ধরন পাল্টে গেলেও কাজের মাত্রা তো কখনো পাল্টে যাবে না।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভরসা জন্মানোর কারণেই আপনার পদোন্নতি হয়েছে। আর এ কারণে সব কাজেই আপনার ডাক পড়বে। এমনও হতে পারে যে আপনি খুব বড় কোনো প্রজেক্টের দায়িত্ব পেয়ে গেলেন। তাই তো আগের থেকে আরো বেশি পরিশ্রমী হতে হবে।

পদোন্নতি তো পেলেন। এখন তো আপনার প্রতি ঊর্ধ্বতন ছাড়াও আরো অনেকের আস্থা তৈরি হবে। এই আস্থাই পরবর্তী পদোন্নতির জন্য আপনার ট্রাম্পকার্ড। কিন্তু আপনি যদি আপনার সম্মানের জায়গা ভুলে গিয়ে অহংকারের বশবর্তী হয়ে নিজেকে সবার চেয়ে যোগ্য মনে করে গর্ব প্রকাশ করেন, তাহলে আস্থা ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে পদোন্নতিও হারাবেন।

এই অহংকারের কারণে আপনার শত্রুর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। তারা নানা রকমের কূটনৈতিক চাল চালবে আপনাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য। এই অহংকার যেমন ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনি বিনয়ী ভাবও হতে পারে ক্ষতির কারণ।

এই মনে করুন, আপনি এতই বিনয়ী যে কাউকে কিছুই বলতে পারেন না। এমন হলে কেউ আপনার কোনো কথা মেনেই চলবে না। অন্যদিকে আপনার পদোন্নতিতে তো সবাই-ই আপনার প্রশংসা করবে। সেখানে আপনার শুভাকাঙ্খীর সঙ্গে সঙ্গে শত্রুও থাকবে। অতি প্রশংসা বা খ্যাতি কখনো কখনো বিড়ম্বনার কারণও হয়। আবেগে আপ্লুত হয়ে চালিত হতে পারেন ভুল পথে। এ ক্ষেত্রে অন্যের প্রশংসায় গলে না গিয়ে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করুন এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন।

এখনকার যুগে যথার্থ পরিশ্রম না করলে সাফল্য পাওয়া যায় না।