ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ের আংশিক ভুল শুধরে শুদ্ধিপত্র প্রকাশ

২০১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের শুদ্ধিপত্র দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির দেওয়া প্রথম শ্রেণির একটি, তৃতীয় শ্রেণির তিনটি ও পঞ্চম শ্রেণির দুটি বইয়ের শুদ্ধিপত্র গতকাল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। শুদ্ধিপত্রে বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের ৫৩ পৃষ্ঠায় ‘মৌ’-এর স্থলে হবে ‘মউ’। তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের ৬৮ পৃষ্ঠায় কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতাটির প্রথম লাইন ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’-এর শুদ্ধিপত্রে দেওয়া হয়েছে ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’। এ ছাড়া চতুর্থ লাইনে ‘মানুষ হতেই হবে’-এর সংশোধনী দিয়ে করা হয়েছে ‘মানুষ হইতে হবে’। নবম লাইনের ‘চাই’কে ‘চায়’ করা হয়েছে। কুসুমকুমারী দাশের সংক্ষেপিত কবিতাটির তথ্য সূত্রে বলা হয়েছে, কুসুমকুমারী দাশের কবিতা, সুমিতা চক্রবর্তী সম্পাদিত প্রকাশনা, কলকাতা-৭৩-এর ভারবি প্রকাশনা থেকে ২০০১ সালে প্রথম প্রকাশ। তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠায় ‘আমাদের জাতির পিতা’ লেখাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নাম লেখা হয়েছিল ‘সায়েরা বেগম’। এর স্থলে ‘সায়েরা খাতুন’ হিসেবে শুদ্ধিপত্র দিয়েছে এনসিটিবি। একই শ্রেণির ‘হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ (ইংরেজি ভার্সন) পেছনের কভারে ‘ঐবধত্ঃ’-এর স্থলে ‘যঁত্ঃ’ শব্দ দিয়ে সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘সমুদ’-এর স্থলে সংশোধনী দিয়ে ‘সমুদ্র’ এবং ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ‘ঘোষনা’ বানানটি ‘ঘোষণা’ হিসেবে শুদ্ধ করেছে এনসিটিবি।  তবে প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে এসব সংশোধনী আনলেও মাধ্যমিকের বইয়ে কোনো সংশোধন আনেনি এনসিটিবি। এনসিটিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের বইয়ে কোনো ভুল পাওয়া যায়নি। এ জন্য এ ক্ষেত্রে কোনো সংশোধনী দেওয়া হবে না। আর প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই ছয়টি ক্ষেত্রেই ভুল পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কয়েকটি বইয়ের ভুলত্রুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ের আংশিক ভুল শুধরে শুদ্ধিপত্র প্রকাশ

আপডেট টাইম : ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭

২০১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের শুদ্ধিপত্র দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির দেওয়া প্রথম শ্রেণির একটি, তৃতীয় শ্রেণির তিনটি ও পঞ্চম শ্রেণির দুটি বইয়ের শুদ্ধিপত্র গতকাল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। শুদ্ধিপত্রে বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের ৫৩ পৃষ্ঠায় ‘মৌ’-এর স্থলে হবে ‘মউ’। তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের ৬৮ পৃষ্ঠায় কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতাটির প্রথম লাইন ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’-এর শুদ্ধিপত্রে দেওয়া হয়েছে ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’। এ ছাড়া চতুর্থ লাইনে ‘মানুষ হতেই হবে’-এর সংশোধনী দিয়ে করা হয়েছে ‘মানুষ হইতে হবে’। নবম লাইনের ‘চাই’কে ‘চায়’ করা হয়েছে। কুসুমকুমারী দাশের সংক্ষেপিত কবিতাটির তথ্য সূত্রে বলা হয়েছে, কুসুমকুমারী দাশের কবিতা, সুমিতা চক্রবর্তী সম্পাদিত প্রকাশনা, কলকাতা-৭৩-এর ভারবি প্রকাশনা থেকে ২০০১ সালে প্রথম প্রকাশ। তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠায় ‘আমাদের জাতির পিতা’ লেখাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নাম লেখা হয়েছিল ‘সায়েরা বেগম’। এর স্থলে ‘সায়েরা খাতুন’ হিসেবে শুদ্ধিপত্র দিয়েছে এনসিটিবি। একই শ্রেণির ‘হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ (ইংরেজি ভার্সন) পেছনের কভারে ‘ঐবধত্ঃ’-এর স্থলে ‘যঁত্ঃ’ শব্দ দিয়ে সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’য়ের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘সমুদ’-এর স্থলে সংশোধনী দিয়ে ‘সমুদ্র’ এবং ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ‘ঘোষনা’ বানানটি ‘ঘোষণা’ হিসেবে শুদ্ধ করেছে এনসিটিবি।  তবে প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে এসব সংশোধনী আনলেও মাধ্যমিকের বইয়ে কোনো সংশোধন আনেনি এনসিটিবি। এনসিটিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের বইয়ে কোনো ভুল পাওয়া যায়নি। এ জন্য এ ক্ষেত্রে কোনো সংশোধনী দেওয়া হবে না। আর প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই ছয়টি ক্ষেত্রেই ভুল পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কয়েকটি বইয়ের ভুলত্রুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।