ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার কারণে শিশুরা নতুন যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে

Wear a mask to protect from the corona virus.,Prevent pollution,pollution

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে সম্প্রতি মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম (এমআইএসসি) নামে নতুন একটি মারাত্মক রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এর সংক্রমণের মূল কারণ করোনাভাইরাস। শিশু-কিশোররা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

উচ্চমাত্রার জ্বর এই রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষায় কোনো জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

এই রোগে আক্রান্ত হলে এমআইএসসি আক্রান্ত শিশুর রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এতে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ও যকৃতের মতো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতে পারে। এমন সব তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ২৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যে প্রথম এমআইএসসি রোগটি ধরা পড়ে। এর সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতে দেখা গেছে।

১৫ মে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সাড়ে তিন মাস বয়সী এক নবজাতকের শরীরে রোগটি শনাক্ত হয়েছে। মূলত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কোনো শিশু এলে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৫টি শিশু চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি) ডা. তাহেরা নাজরীন যুগান্তরকে বলেন, এমআইএসসি রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রধান লক্ষণ– তীব্র জ্বর, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা, খাবারে অনীহা, চোখ-ঠোঁট ও জিহ্বা লাল হয়ে যাওয়া। জ্বরের পর এসব লক্ষণ একই সঙ্গে বা একটি-একটি করে দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, এতে শিশুদের হার্টঅ্যাটাক হতে পারে। এমনকি নিম্নরক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনা না হলে রোগীর মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এমনকি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র বা আইসিইউতে নিতে হতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

করোনার কারণে শিশুরা নতুন যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে সম্প্রতি মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম (এমআইএসসি) নামে নতুন একটি মারাত্মক রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এর সংক্রমণের মূল কারণ করোনাভাইরাস। শিশু-কিশোররা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

উচ্চমাত্রার জ্বর এই রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষায় কোনো জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

এই রোগে আক্রান্ত হলে এমআইএসসি আক্রান্ত শিশুর রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এতে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ও যকৃতের মতো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতে পারে। এমন সব তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ২৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যে প্রথম এমআইএসসি রোগটি ধরা পড়ে। এর সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতে দেখা গেছে।

১৫ মে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সাড়ে তিন মাস বয়সী এক নবজাতকের শরীরে রোগটি শনাক্ত হয়েছে। মূলত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কোনো শিশু এলে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৫টি শিশু চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি) ডা. তাহেরা নাজরীন যুগান্তরকে বলেন, এমআইএসসি রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রধান লক্ষণ– তীব্র জ্বর, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা, খাবারে অনীহা, চোখ-ঠোঁট ও জিহ্বা লাল হয়ে যাওয়া। জ্বরের পর এসব লক্ষণ একই সঙ্গে বা একটি-একটি করে দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, এতে শিশুদের হার্টঅ্যাটাক হতে পারে। এমনকি নিম্নরক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে আনা না হলে রোগীর মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এমনকি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র বা আইসিইউতে নিতে হতে পারে।