ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টের নিচে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

টেক আনোয়ার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।’

মশিউর রহমান নামের একজন লেখেছেন, ‘কাঁটাতারের ফেলানী, আমরা তোমায় ভুলিনি!’

এমদাদুল লেখেছেন, ‘আপনারা বিডিয়ার হত্যার বিচারটা যদি না করেন তাহলে দেশের শত্রু হিসেবে আপনাদেরকে গণ্য করা হবে।’

রিলাক্স স্মাইল আইডি থেকে একজন লেখেছেন, ‘সেদিন কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লাশ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গোলামীর পররাষ্ট্রনীতির কবর রচিত হয়েছে।’

রাসেল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো কাজে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’

জহিরুল ইসলাম লেখেছেন, ‘উনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। ওনারা না পাইছে মেয়ে না পাইছে বিচার ‘

মামুন খোন্দকার মন্তব্য করেন, ‘এত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করা একটা নেতাও পাওয়া যায় নাই এই ছোট্ট ফ্যামিলিটার দায়িত্ব নেওয়ার। কী দুর্ভাগ্য?।’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।

কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

ফেলানী হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনি বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সেই ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেট টাইম : ১৭ ঘন্টা আগে

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ফেলানীর পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টের নিচে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

টেক আনোয়ার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।’

মশিউর রহমান নামের একজন লেখেছেন, ‘কাঁটাতারের ফেলানী, আমরা তোমায় ভুলিনি!’

এমদাদুল লেখেছেন, ‘আপনারা বিডিয়ার হত্যার বিচারটা যদি না করেন তাহলে দেশের শত্রু হিসেবে আপনাদেরকে গণ্য করা হবে।’

রিলাক্স স্মাইল আইডি থেকে একজন লেখেছেন, ‘সেদিন কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লাশ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গোলামীর পররাষ্ট্রনীতির কবর রচিত হয়েছে।’

রাসেল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো কাজে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’

জহিরুল ইসলাম লেখেছেন, ‘উনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। ওনারা না পাইছে মেয়ে না পাইছে বিচার ‘

মামুন খোন্দকার মন্তব্য করেন, ‘এত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করা একটা নেতাও পাওয়া যায় নাই এই ছোট্ট ফ্যামিলিটার দায়িত্ব নেওয়ার। কী দুর্ভাগ্য?।’

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।

কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

ফেলানী হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনি বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।