বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আমাদের এ মমতাময়ী বাংলাদেশে বিভিন্ন মূল্যমানের টাকার প্রচলন রয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছাপানোর পর বাজার তথা সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রচলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। অপূর্ব এবং আকর্ষণীয় নোটগুলো দেখলে বা হাতে এলে মন প্রফুল্লতায় ভরে ওঠে।
এসব নোটের যত্ন নেওয়া সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য হলেও অনেকেই টাকার ওপর লেখালেখি করে থাকেন। এটা নিঃসন্দেহে বাজে অভ্যাস। এ বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটতেই একজন বললেন: বাজে অভ্যাস হবে কেন? আমি তো টাকার ওপর মোবাইল নম্বর পেয়ে বর্তমানে চুটিয়ে প্রেম করছি।
এভাবেই হয়তো কেউ কেউ মনের গোপন কথা টাকার ওপর লিখে দেয়: ‘যদি লাইগ্যা যায়’ ভাবনা থেকে। যদি লাইগ্যা যায়-এর কোনো স্থান নেই রুচি ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে। যারা টাকার ওপর লেখে, তারা অবশ্যই খারাপ মনের লোক। এদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া গেলে টাকার ওপর লেখা বন্ধ হয়ে যেত। আমরা অভাগা দেশের নাগরিক। দেশে প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে।
তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বিধায় যে যার খুশিমতো এটা-সেটা করে চলেছে। টাকার ওপর কে বা কারা লিখে থাকে, আমরা কেউ জানি না। তবুও তাদের উদ্দেশ্যে লিখছি-আপনাদের পরিধেয় কাপড়ে তথা শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, শাড়িসহ অন্যান্য কাপড়-চোপড়ে বাজে মন্তব্য লিখতে কি আপনার মন চাইবে? নিশ্চয় চাইবে না।
তা হলে টাকার ওপর লেখার কেন এত শখ! টাকাকেও আপনার সেই ব্যবহার্য কাপড় মনে করতে দোষ কোথায়? সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে, যাদের নেই কোনো রুচিবোধ। তারা কী করতে চায়-সেটাও তারা বোঝে না।
টাকায় আজেবাজে মন্তব্য লিখে কুরুচিপূর্ণ মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। টাকার ওপর লেখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকে বাজে মন্তব্য লিখে মোবাইল নম্বরও দিয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করা হয় টাকার ওপর না লেখার জন্য। কিন্তু সত্যি কথা হলো, কেউ এ ব্যাপারে সচেতন নয়।
টাকার ওপর মন যা চায় লিখে দিলাম, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ কেন মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেবে! যারা টাকার ওপর আজেবাজে কথা বা মন্তব্য লিখে থাকেন, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক-এটাই প্রার্থনা।