দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৬ দিনে ৪০৫ ট্রাকে ১৬ হাজার ৪৯০ মেট্রিকটন ভারতীয় চাল আমদানি করা হয়েছে। প্রতিদিন এই বন্দরে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক চাল আমদানি হলেও বর্তমানে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন।
তিনি বলেন, “শনিবার ভারত থেকে ১১০টি ট্রাকে ৪ হাজার ৫৯৩ মেট্রিকটন চাল এই বন্দরে আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৬৩ ট্রাকে ২৫৪১ মেট্রিকটন, মঙ্গলবার ৪৫ ট্রাকে ১৮৬০ মেট্রিকটন, সোমবার ৩৭ ট্রাকে ১৪২২ মেট্রিকটন, রোববার ৯৩ ট্রাকে ৩৭৪৯ মেট্রিকটন ও শনিবার ৫৭ ট্রাকে ২৩২৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়।”
হিলি চালের খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, মোটা জাতের ভারতীয় স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে। আর চিকন জাতের শম্পাকাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি হিসেবে।
চাল আমদানিকারক দীনেশ পোদ্দার বলেন, “গত ১১ নভেম্বর থেকে এই বন্দরে চাল আমদানি শুরু হয়। আমার প্রতিদিন চাল আমদানি হচ্ছে। চাল আমদানির আগে অস্থির ছিলো দেশের বাজারে চালের দাম। আমদানির ফলে বাজার স্বাভাবিক আছে। তবে শুল্কমুক্ত এসব চাল আমদানি হচ্ছে। আমরা ভারত থেকে বাসমতী ও নন বাসমতী চাল আমদানি করছি।”
এদিকে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় আমদানি শুল্ক।
এরপর ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় চাল আমদানি। প্রথম দিকে চালের আমদানি কিছুটা কম থাকলেও এখন বেড়েছে। হিলি দিয়ে ভারত থেকে বাসমতী ও নন বাসমতী দুই ধরনের চাল আমদানি হয়।