ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে সুস্থ থাকতে গাজর যেভাবে খাবেন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতকালীন এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। অনেকেই গাজর খেতে খুব পছন্দ করেন। কাঁচা, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও দিয়ে খাওয়া যায় গাজর। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চোখ, ত্বক, চুলের জন্যও গাজর খুবই উপকারী।

নিয়মিত গাজর খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কমায়। এতে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি হওয়া আরও বৃদ্ধি করে, ফলে দেহের কোনও ক্ষত হলে তা শীঘ্র সেরে ওঠে। এছাড়া গাজর খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক উপকারে আসে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-

গর্ভাবস্থা 
গর্ভাবস্থায় গাজরের রস পান করা খুবই উপকারী। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মায়েরা বাচ্চাকে স্তন্যপান করান তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত। এটি দুধের গুণমান বৃদ্ধি করে।

ডায়রিয়া 
গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম, ইত্যাদির নিরাময় হয়। গাজরের আচার সেবনে বর্ধিত প্লীহা হ্রাস হয়। আধ কাপ গাজরের রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে প্রায় চার বার খেলে ডায়রিয়া নিরাময় হয়। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর গাজরের রস, গাজরের স্যুপ পান করলে উপকার পাবেন।

পোড়া সারাতে কাজে লাগে
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির জ্বালা এবং ব্যথা দূর করতে গাজর বেটে লাগানো উচিত। কাঁচা গাজর পিষে পোড়া জায়গায় রাখলে জ্বালা কমে। পোড়া জায়গায় গাজরের রস প্রয়োগ করলে ব্যথা দূর হয়। শরীরের পোড়া অংশে বারবার কাঁচা গাজরের রস প্রয়োগ করা অত্যন্ত উপকারী।

ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়
গাজর ফাইবারে পরিপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে গাজর অবশ্যই খান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে সুস্থ থাকতে গাজর যেভাবে খাবেন

আপডেট টাইম : ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতকালীন এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। অনেকেই গাজর খেতে খুব পছন্দ করেন। কাঁচা, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও দিয়ে খাওয়া যায় গাজর। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চোখ, ত্বক, চুলের জন্যও গাজর খুবই উপকারী।

নিয়মিত গাজর খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কমায়। এতে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি হওয়া আরও বৃদ্ধি করে, ফলে দেহের কোনও ক্ষত হলে তা শীঘ্র সেরে ওঠে। এছাড়া গাজর খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক উপকারে আসে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-

গর্ভাবস্থা 
গর্ভাবস্থায় গাজরের রস পান করা খুবই উপকারী। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মায়েরা বাচ্চাকে স্তন্যপান করান তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত। এটি দুধের গুণমান বৃদ্ধি করে।

ডায়রিয়া 
গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম, ইত্যাদির নিরাময় হয়। গাজরের আচার সেবনে বর্ধিত প্লীহা হ্রাস হয়। আধ কাপ গাজরের রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে প্রায় চার বার খেলে ডায়রিয়া নিরাময় হয়। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর গাজরের রস, গাজরের স্যুপ পান করলে উপকার পাবেন।

পোড়া সারাতে কাজে লাগে
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির জ্বালা এবং ব্যথা দূর করতে গাজর বেটে লাগানো উচিত। কাঁচা গাজর পিষে পোড়া জায়গায় রাখলে জ্বালা কমে। পোড়া জায়গায় গাজরের রস প্রয়োগ করলে ব্যথা দূর হয়। শরীরের পোড়া অংশে বারবার কাঁচা গাজরের রস প্রয়োগ করা অত্যন্ত উপকারী।

ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়
গাজর ফাইবারে পরিপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে গাজর অবশ্যই খান।