ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

মুসলিম হওয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে বিতাড়িত করেছিলেন ট্রাম্প, আবার ফিরলেন হোয়াইট হাউসে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মুসলিম হওয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টি’মে টিকতে না পারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ আবার হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। রুমানা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিম)-এর রিভিউ প্যানেলের সাত সদস্যের অংশ হয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

প্রতিবাদী রুমানা হিজাব পরায় ট্রাম্পের লোকজনের কাছে প্রায়ই অপদস্থ হতেন। তাকে কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারতেন না। ২০১৭ সালে পদত্যা’গে’র নেপথ্য এই কারণগুলো জানিয়ে দ্য আটলান্টিকে একটি কলাম লেখেন রুমানা। ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

তার বাবা ১৯৭৮ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। মা দেশটিতে একটি দোকানে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে নিজের উদ্যোগে একটি ডেকেয়ার সেন্টার চালু করেন। বাবা ব্যাংক অব আমেরিকায় লেটনাইট কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমোশন পান। রুমানার বাবার স্বপ্ন ছিল পিএইচডি করবেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তার সেই স্বপ্ন থেমে যায়। সড়ক দু’র্ঘ’ট’নায় একটি গাড়ি তার বাবার প্রাণ নিয়ে নেয়!

রুমানা জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে যোগ দেন। ওবামার আমলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করতে থাকেন। রুমানা তার সেই আলোচিত কলামে জানান, ওবামা ক্ষমতা ছাড়লে হোয়াইট হাউসে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহ পার হতে না হতে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার কাজ ছিল দেশের সেবা করা। ওয়েস্ট উইংয়ে আমি ছিলাম একমাত্র হিজাবী। ওবামা প্রশাসন সব সময় আমাকে স্বাগত জানিয়েছে,’ রুমানা কলামে লিখেছেন, ‘অন্য মুসলিমদের মতো ২০১৬ সালে আমিও ট্রাম্পের কাজকর্ম দেখতে থাকি। আমি ভেবেছিলাম, দেশের জন্য তার প্রশাসনে আমার থাকা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আটটা দিন টিকতে পেরেছিলাম।’

রুমানা বলেন ‘ট্রাম্প যখন সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন, তখনই বুঝে যাই আমার আর সময় নেই। ভাবতে থাকি, এমন একটা প্রশাসনে কাজ করি, যারা আমাকে অধীনস্থ নাগরিক মনে করে, হু’ম’কি হিসেবে দেখে। আমি ১২ বছর বয়স থেকে হিজাব ব্যবহার শুরু করি। পরিবার আমাকে উৎসাহিত করলেও এটা আমার নিজেরই পছন্দ ছিল। এটা ছিল আমার বিশ্বাসের, সত্তার এবং সহনশীলতার প্রতীক। রুমানা এত বঞ্চনা সহ্য করতে পারতেন বাবার শেখানো ইসলামিক বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। তার বাবা বাংলায় বলতেন, ‘কেউ যখন তোমাকে ফেলে দেবে, উঠে দাঁড়াবে। দুহাত মেলে তাকে ভাই বলে ডাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

মুসলিম হওয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে বিতাড়িত করেছিলেন ট্রাম্প, আবার ফিরলেন হোয়াইট হাউসে

আপডেট টাইম : ০২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মুসলিম হওয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টি’মে টিকতে না পারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ আবার হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। রুমানা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিম)-এর রিভিউ প্যানেলের সাত সদস্যের অংশ হয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

প্রতিবাদী রুমানা হিজাব পরায় ট্রাম্পের লোকজনের কাছে প্রায়ই অপদস্থ হতেন। তাকে কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারতেন না। ২০১৭ সালে পদত্যা’গে’র নেপথ্য এই কারণগুলো জানিয়ে দ্য আটলান্টিকে একটি কলাম লেখেন রুমানা। ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

তার বাবা ১৯৭৮ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। মা দেশটিতে একটি দোকানে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে নিজের উদ্যোগে একটি ডেকেয়ার সেন্টার চালু করেন। বাবা ব্যাংক অব আমেরিকায় লেটনাইট কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমোশন পান। রুমানার বাবার স্বপ্ন ছিল পিএইচডি করবেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তার সেই স্বপ্ন থেমে যায়। সড়ক দু’র্ঘ’ট’নায় একটি গাড়ি তার বাবার প্রাণ নিয়ে নেয়!

রুমানা জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে যোগ দেন। ওবামার আমলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করতে থাকেন। রুমানা তার সেই আলোচিত কলামে জানান, ওবামা ক্ষমতা ছাড়লে হোয়াইট হাউসে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহ পার হতে না হতে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার কাজ ছিল দেশের সেবা করা। ওয়েস্ট উইংয়ে আমি ছিলাম একমাত্র হিজাবী। ওবামা প্রশাসন সব সময় আমাকে স্বাগত জানিয়েছে,’ রুমানা কলামে লিখেছেন, ‘অন্য মুসলিমদের মতো ২০১৬ সালে আমিও ট্রাম্পের কাজকর্ম দেখতে থাকি। আমি ভেবেছিলাম, দেশের জন্য তার প্রশাসনে আমার থাকা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আটটা দিন টিকতে পেরেছিলাম।’

রুমানা বলেন ‘ট্রাম্প যখন সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন, তখনই বুঝে যাই আমার আর সময় নেই। ভাবতে থাকি, এমন একটা প্রশাসনে কাজ করি, যারা আমাকে অধীনস্থ নাগরিক মনে করে, হু’ম’কি হিসেবে দেখে। আমি ১২ বছর বয়স থেকে হিজাব ব্যবহার শুরু করি। পরিবার আমাকে উৎসাহিত করলেও এটা আমার নিজেরই পছন্দ ছিল। এটা ছিল আমার বিশ্বাসের, সত্তার এবং সহনশীলতার প্রতীক। রুমানা এত বঞ্চনা সহ্য করতে পারতেন বাবার শেখানো ইসলামিক বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। তার বাবা বাংলায় বলতেন, ‘কেউ যখন তোমাকে ফেলে দেবে, উঠে দাঁড়াবে। দুহাত মেলে তাকে ভাই বলে ডাকবে।