বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রতিদিনের রান্নার একটা অন্যতম মসলা বা উপাদান হলো কাচা মরিচ। মরিচের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কিছু কিছু মরিচ অনেক বেশি ঝাল, আবার কিছু কিছু তুলনামূলক কম ঝাল। মরিচের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। কেউ ভিন্ন রঙ্গে, কেউ ভিন্ন আকারে, আবার কেউ ভিন্ন ঝালের স্বাদে। ঝাল ছারাও কাচা মরিচের আরও নানা গুনাগুণ রয়েছে।
কাচা মরিচ স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য চমৎকার। কারণ এতে কোনো ক্যালোরি নেই। যার কারণে এ উপাদান দিয়ে তৈরি খাবার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে না। বরং শরীরের বিপাকীয় কার্যকলাপ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলে। যা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ দেয়।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কারণ কাচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং বিটা ক্যারোটিন। ত্বককে আগের থেকেও আরও বেশি উজ্জ্বল করে তোলে। কিন্তু খেয়াল রাখা উচিৎ মরিচ গুলো যেনো অতিরিক্ত গরম এবং আলোতে না থাকে। তাহলে এতে উপস্থিত ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়।
ক্লান্ত সপ্তাহের উপযোগী সমাধান কাচা মরিচ। সপ্তাহ জুড়ে কাজ করে যখন অতিরিক্ত ক্লান্ত তখন কাচা মরিচ নিমিষেই আপনাকে করে তুলতে পারে চাঙা ও সতেজ। শরীরে কাচা মরিচ এন্ডোরফিনস নামক একটি পদার্থ ছাড়ে যা আপনার মুডকে বুস্ট করতে কার্যকরী এবং যে কোনো ব্যথা কমিয়ে আপনাকে করে তুলতে পারে হাস্যজ্জল ও স্বাস্থ্যকর।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট ভূমিকা রাখে। ক্যাপসাইকিন নামক পদার্থ রয়েছে কাচা মরিচে। যা মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস প্রবেশ করে শরীরের তাপমাত্রা কে স্বাভাবিক রাখে। এর কারণেই মূলত অতিরিক্ত ঝাল যুক্ত খাবার খেয়েও মানুষ নিজেকে ঠিক রাখতে পারে।
কাচা মরিচে রয়েছে সব থেকে বেশি পরিমাণে আয়রন। আপনার শরীরের যদি কোনোদিন আয়রনের ঘাটতি হয়ে থাকে তবে কাচা মরিচের থেকে বিকল্প আর কিছুই নেই।
রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখতে কাচা মরিচের ভূমিকা অপরিসীম। অনেকেই মনে করেন রক্তচাপের সমস্যা থাকার পরেও কাচা মরিচের ঝালের কারণেই তারা স্বাভাবিক আছেন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সাধারণ সর্দি, জ্বর, কাশি থেকে রক্ষা করে এর ঝাল। মরিচ নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লির রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে নাককে সর্দি থেকে আরাম প্রদান করে।
ব্যথানাশক, হজম-কারি, এমনকি আলসার থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। মরিচ থেকে উৎপন্ন হওয়া তাপ শরীরে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। সেই সাথে হজমে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। অনেকের ধারণা আলসারের প্রবণতাও কমিয়ে আনে কাচা মরিচ।
স্পষ্টতই, বুঝতে দেড়ি রইলো না যে, কাচা মরিচের ঝালের গুনাগুণ বলে শেষ হবে না। শরীরের নানা ভাবে উপকার করে থাকে রান্না ঘরের কোনো এক কোণে, ঝুড়িতে পরে থাকা এই মসলা। তবে, কোনোকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া উচিৎ নয় তা ভুলে যাওয়া যাবেনা। খাওয়ার পরিমান অবশই পরিমিত ও সীমিত রাখতে হবে।