বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে সম্প্রতি দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনগণের উদাসীনতার কারণে পরিস্থিতির আবারও অবনতি হচ্ছে। দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর সরকারি ও বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফলে সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে।
রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সেসব জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করেছে সরকার; যা ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। লকডাউন চলাকালে রাজধানী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়বে না, বন্ধ থাকবে লঞ্চ, স্টিমারসহ যাত্রীবাহী নৌযান। লকডাউন ঘোষিত কোনো জেলায় ট্রেন থামবে না। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন গতকাল থেকে এক সপ্তাহের জন্য খুলনা জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ফলে মোট আট জেলায় একসঙ্গে লকডাউন শুরু হল। এর বাইরে আরও ৯ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় বিধিনিষেধ অব্যাহত রয়েছে।
বস্তুত কিছু মানুষের বেপরোয়া মনোভাবের ফল পুরো দেশবাসীকে ভোগ করতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করে অনেকে রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য এই বেপরোয়া মানুষগুলো অনেকাংশে দায়ী। কিছু মানুষের বেপরোয়া আচরণের ফল পুরো দেশবাসী ভোগ করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমানে যেসব জেলা বা এলাকায় বিধিনিষেধ চলছে, সেসব স্থানে কেউ যাতে বিধিনিষেধ অমান্য করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
কেউ কৌশলে বিধিনিষেধ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। গত এক বছরে বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজার হাজার মিউটেশনের খবর পাওয়া গেছে। টিকা নেওয়ার পরও করোনা থেকে পুরোপুরি সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনুমোদিত টিকাগুলো বেশ কার্যকর হলেও করোনার বিরুদ্ধে সেসব শতভাগ সুরক্ষা দিতে পারবে না। কাজেই করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে জনগণকে বাধ্য করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করি আমরা।