কেউ এনেছেন গরম কাপড়; কেউ ওষুধ, কেউ আবার রুম হিটার কিংবা জেনারেটর আনলেন। এর সবই পৌঁছে দেয়া হবে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে। দুর্গত জনপদের জন্য সহায়তা নিয়ে দিনভর মানুষের ভিড় রাজধানীর বারিধারার তার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) কার্যালয়ে।
মানবিক সহায়তার এসব জিনিসপত্রের বেশিরভাগই এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করা হবে এই সহায়তা। দুর্গত তুরস্কবাসীর সহায়তায় এগিয়ে আসায় বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন টিকার পরিচালক।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বললেন, যখন শুনলাম এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তখন আমরাও সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিই।
দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে একান্ত ব্যক্তি উদ্যোগেও ত্রাণ দিচ্ছেন অনেকে। এদিকে, টিকার মাধ্যমে সংগৃহীত অনেক ত্রাণসামগ্রী ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে তুরস্কে। প্রায় প্রতিদিনই বিমানে করে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশটি পাঠানো হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী।
তুরস্কের দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষের তাৎক্ষণিক সাড়ায় কৃতজ্ঞ তুর্কি সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থার পরিচালক সেভকি মারথ্ বারিশ। বললেন, আমরা বিশ্বাস করি, তুরস্কের জন্য বাংলাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা, তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি এই ক্যাম্পেইন চলমান থাকে, বছরের পর বছর ধরে সহযোগিতা কখনও বন্ধ হবে না। যেসব সামগ্রী আসছে, সেগুলো ঠিকঠাক পৌঁছানোও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সুতরাং ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে আমরা দ্রুত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবো। যারা সহযোগিতা করতে চান, তারা সেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন।