ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গণমাধ্যমকর্মী’ বিল পরীক্ষায় আরও সময় নিলো সংসদীয় কমিটি

বহুল আলোচিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২ পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় নিলো জাতীয় সংসদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার (৫ জুন) চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ সময় চান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তৃতীয়বারের নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ফের সময় বাড়ানোয় প্রস্তাব ভোটের জন্য উপস্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোট দিলে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নিয়ম অনুযায়ী অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এ জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সে বছরের ৬ জুন আরও ৬০ দিন বাড়তি সময় নেয় সংসদীয় কমিটি। প্রতিবেদন তৈরিতে আরও ৬০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয় সংসদীয় কমিটি।

পরে তৃতীয়বার ৩ মাস সময় নেয় চলতি বছর ৮ জানুয়ারি। সেটিও সম্ভব না হওয়ায় ৬ মাস পর বিলটি নিয়ে ফের ৯০ দিন সময় নিলো সংসদীয় কমিটি।

প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে সাংবাদিক, সম্পাদক ও মালিকপক্ষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন আইনের বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি করে আসছে।

প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মী ও মালিকপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন ২০২২’ পাস হলে এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত করবে বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ।

এই আইনের ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয় মন্তব্য করে বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ বলে, সার্বিকভাবে এই আইন গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ ধরনের আইন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

প্রচলিত বিচারব্যবস্থা, শিল্প আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গণমাধ্যমকর্মী আইন। এমন মন্তব্য করে দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

‘গণমাধ্যমকর্মী’ বিল পরীক্ষায় আরও সময় নিলো সংসদীয় কমিটি

আপডেট টাইম : ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

বহুল আলোচিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২ পরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় নিলো জাতীয় সংসদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার (৫ জুন) চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ সময় চান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তৃতীয়বারের নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ফের সময় বাড়ানোয় প্রস্তাব ভোটের জন্য উপস্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোট দিলে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নিয়ম অনুযায়ী অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এ জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সে বছরের ৬ জুন আরও ৬০ দিন বাড়তি সময় নেয় সংসদীয় কমিটি। প্রতিবেদন তৈরিতে আরও ৬০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয় সংসদীয় কমিটি।

পরে তৃতীয়বার ৩ মাস সময় নেয় চলতি বছর ৮ জানুয়ারি। সেটিও সম্ভব না হওয়ায় ৬ মাস পর বিলটি নিয়ে ফের ৯০ দিন সময় নিলো সংসদীয় কমিটি।

প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে সাংবাদিক, সম্পাদক ও মালিকপক্ষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন আইনের বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি করে আসছে।

প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মী ও মালিকপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন ২০২২’ পাস হলে এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত করবে বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ।

এই আইনের ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয় মন্তব্য করে বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ বলে, সার্বিকভাবে এই আইন গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ ধরনের আইন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

প্রচলিত বিচারব্যবস্থা, শিল্প আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক গণমাধ্যমকর্মী আইন। এমন মন্তব্য করে দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।