ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন কোন পাঁচ প্রকার পুরুষকে বিয়ে করা উচিত নয়

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে। সমাজে প্রবাদটি খুবই পরিচিত। কিন্তু সংসার সুখের করতে রমণীদের পাশে থাকে তাদের সঙ্গীরা। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের প্রচেষ্টাতেই সুখের হতে পারে সংসার। অনেক ক্ষেত্রে এই সঙ্গীর জন্যেই বিষময় হয়ে ওঠে দাম্পত্য জীবন।

যাকে নিয়ে সারা জীবন চলতে হবে সেই পুরুষ সঙ্গীটি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন প্রায় সব মহিলা। কোন ধরণের পুরুষ স্বামী হিসেবে ভালো হবে তা আগে থেকে চেনা বেশ জটিল। একই দশা হয় খারাপ পুরুষ বাছার ক্ষেত্রেও। তাও কতগুলি লক্ষণ দেখে পুরুষদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তাদের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটালে তা কেমন হতে পারে সেটাও ধারনা করা যেতে পারে।

বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে পাঁচ প্রকার পুরুষদের বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই পাঁচ বৈশিষ্ট্য গুলির একে-অপরের সঙ্গে কোনও সাদৃশ্য নেই।

সেই পাঁচ প্রকার পুরুষ হল-

১. দাম্পত্য জীবনের সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় এক শ্রেণীর পুরুষ। খুব সরল মাটির মানুষ হলেই এই ধরণের ছেলেদের সঙ্গে সংসার করা সম্ভব। আধুনিক বা প্রগতিশীল মহিলাদের এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

২. মায়ের আঁচলের তলায় থাকা ছেলেদের মধ্যে পুরুষ সুলভ ব্যক্তিত্ব থাকে না। অনেক সময় মায়ের অন্যায় আচরণ সহ্য করে স্ত্রীর বিরুদ্ধাচরণ করে। এই প্রকার ছেলেদের ক্ষেত্রে আবার উলটোটাও করার প্রবণতা থাকে। বিয়ের পর মা-এর সঙ্গে বিরোধ করে স্ত্রীর প্রতি অতিমাত্রায় দুর্বল হয়ে যায়। এটাও সুস্থ সংসারে কাম্য নয়।

৩. আমি সব জানি, আমি সব বুঝি। সব বিষয়ে আমার সমান দক্ষতা। এই মানসিকতার ছেলেরা নিজেদের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অন্যের মতের কোনও গুরুত্বই থাকে না এদের। এই ধরণের ছেলেরা স্বামী হিসেবে সুখকর হয় না।

৪. অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক ছেলেরা স্বামী হিসেবে খুব খারাপ হয়। তাদের মধ্যে সব সময় নিজেকে সকলের কাছে জাহির করার প্রবণতা থাকে। যার ফলে স্বামী হিসেবে নিজের গুণাগুণ সর্বত্র ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। যা একসময় প্রবল বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. শেষের কারণটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহুল প্রচলিত একটা কথা রয়েছে যে খারাপ ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ বেশি থাকে। কথাটির মধ্যে বিন্দুমাত্র ভুল নেই। নানা গবেষণায় এই প্রবাদটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। মেয়েদের ধারণা থাকে যে পরে ছেলেটির পরিবর্তন হবে। নিজগুণে পুরুষ সঙ্গীর মধ্যে বদল আনবেন বলেও মনে করেন অনেক মহিলা। কিন্তু, এই ভাবনা মহিলাদের বিরাট ভুল। যার খেসারত দিতে হয় দাম্পত্য জীবনে। এই প্রকারের ছেলেরা কখনোই ভালো হয় না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনে নিন কোন পাঁচ প্রকার পুরুষকে বিয়ে করা উচিত নয়

আপডেট টাইম : ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে। সমাজে প্রবাদটি খুবই পরিচিত। কিন্তু সংসার সুখের করতে রমণীদের পাশে থাকে তাদের সঙ্গীরা। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের প্রচেষ্টাতেই সুখের হতে পারে সংসার। অনেক ক্ষেত্রে এই সঙ্গীর জন্যেই বিষময় হয়ে ওঠে দাম্পত্য জীবন।

যাকে নিয়ে সারা জীবন চলতে হবে সেই পুরুষ সঙ্গীটি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন প্রায় সব মহিলা। কোন ধরণের পুরুষ স্বামী হিসেবে ভালো হবে তা আগে থেকে চেনা বেশ জটিল। একই দশা হয় খারাপ পুরুষ বাছার ক্ষেত্রেও। তাও কতগুলি লক্ষণ দেখে পুরুষদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তাদের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটালে তা কেমন হতে পারে সেটাও ধারনা করা যেতে পারে।

বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে পাঁচ প্রকার পুরুষদের বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই পাঁচ বৈশিষ্ট্য গুলির একে-অপরের সঙ্গে কোনও সাদৃশ্য নেই।

সেই পাঁচ প্রকার পুরুষ হল-

১. দাম্পত্য জীবনের সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় এক শ্রেণীর পুরুষ। খুব সরল মাটির মানুষ হলেই এই ধরণের ছেলেদের সঙ্গে সংসার করা সম্ভব। আধুনিক বা প্রগতিশীল মহিলাদের এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

২. মায়ের আঁচলের তলায় থাকা ছেলেদের মধ্যে পুরুষ সুলভ ব্যক্তিত্ব থাকে না। অনেক সময় মায়ের অন্যায় আচরণ সহ্য করে স্ত্রীর বিরুদ্ধাচরণ করে। এই প্রকার ছেলেদের ক্ষেত্রে আবার উলটোটাও করার প্রবণতা থাকে। বিয়ের পর মা-এর সঙ্গে বিরোধ করে স্ত্রীর প্রতি অতিমাত্রায় দুর্বল হয়ে যায়। এটাও সুস্থ সংসারে কাম্য নয়।

৩. আমি সব জানি, আমি সব বুঝি। সব বিষয়ে আমার সমান দক্ষতা। এই মানসিকতার ছেলেরা নিজেদের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অন্যের মতের কোনও গুরুত্বই থাকে না এদের। এই ধরণের ছেলেরা স্বামী হিসেবে সুখকর হয় না।

৪. অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক ছেলেরা স্বামী হিসেবে খুব খারাপ হয়। তাদের মধ্যে সব সময় নিজেকে সকলের কাছে জাহির করার প্রবণতা থাকে। যার ফলে স্বামী হিসেবে নিজের গুণাগুণ সর্বত্র ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। যা একসময় প্রবল বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. শেষের কারণটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহুল প্রচলিত একটা কথা রয়েছে যে খারাপ ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ বেশি থাকে। কথাটির মধ্যে বিন্দুমাত্র ভুল নেই। নানা গবেষণায় এই প্রবাদটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। মেয়েদের ধারণা থাকে যে পরে ছেলেটির পরিবর্তন হবে। নিজগুণে পুরুষ সঙ্গীর মধ্যে বদল আনবেন বলেও মনে করেন অনেক মহিলা। কিন্তু, এই ভাবনা মহিলাদের বিরাট ভুল। যার খেসারত দিতে হয় দাম্পত্য জীবনে। এই প্রকারের ছেলেরা কখনোই ভালো হয় না।