জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের করা আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
এর আগে, বেলা পৌনে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় গণহত্যার বিচারিক প্রক্রিয়া। এজলাসে বসেন চেয়ারম্যানসহ ৩ বিচারক। প্রথম কর্মদিবসে কার্যতালিকায় রয়েছে ৩টি অভিযোগ। ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ, র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা, জুলাই গণ-হত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে ৬০টির মতো অভিযোগ। এসবের ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
এর আগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।