ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? যা বললেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

আসছে শীত, শিশুদের জ্বর-সর্দিকাশি থেকে যেভাবে দূরে রাখবেন

সারাদেশে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের সময় বয়স্কদের পাশাপাশি বাড়ির ছোটদেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। এ সময় সামধান সাবধানতা অবলম্বন না করলেই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তাই শীতে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করতে হবে।

ভোরের সময় বেশি শীত অনুভূত হয়। তাই সে সময় ফ্যানের স্পিড কম করে ছোটদের গায়ে ও গলায় অবশ্যই হালকা চাদর চাপা দিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন ঘেমে না যায়। পরে ঘাম থেকে আবার ঠান্ডা লাগতে পারে। ভোরের সময় ঘরের জানালা বন্ধ করে রাখুন। রোদ উঠলে খুলে।

এই সময় শীতের শাকসবজি যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজির তরকারি প্রত্যেকের বাড়িতেই তৈরি করা। তবে এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের রাতের খাবারে এ ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত সাত বছরের নিচে যাদের বয়স। অনেক সময় এই ধরনের সবজি খেয়ে পেটগরম, বদহজম হতে পারে।

এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। এসময় ভালো ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ত্বকে কোনওকিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য রোজ ভিটামিন সি যুক্ত ফল-যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, আমলকী খাওয়ান। ছোটখাটো সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এতে প্রতিরোধ হবে।

ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। দু-দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরে মুখে অরুচি হলে বাচ্চা যা খেতে চায় তাই দিন, তবে তেল-ঝাল-মশলা বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে দিন। যেমন, স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ, চিঁড়ের পোলাও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হলে বাচ্চাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো। এর থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

আসছে শীত, শিশুদের জ্বর-সর্দিকাশি থেকে যেভাবে দূরে রাখবেন

আপডেট টাইম : ১২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

সারাদেশে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের সময় বয়স্কদের পাশাপাশি বাড়ির ছোটদেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। এ সময় সামধান সাবধানতা অবলম্বন না করলেই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। তাই শীতে আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করতে হবে।

ভোরের সময় বেশি শীত অনুভূত হয়। তাই সে সময় ফ্যানের স্পিড কম করে ছোটদের গায়ে ও গলায় অবশ্যই হালকা চাদর চাপা দিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন ঘেমে না যায়। পরে ঘাম থেকে আবার ঠান্ডা লাগতে পারে। ভোরের সময় ঘরের জানালা বন্ধ করে রাখুন। রোদ উঠলে খুলে।

এই সময় শীতের শাকসবজি যেমন- বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজির তরকারি প্রত্যেকের বাড়িতেই তৈরি করা। তবে এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের রাতের খাবারে এ ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত সাত বছরের নিচে যাদের বয়স। অনেক সময় এই ধরনের সবজি খেয়ে পেটগরম, বদহজম হতে পারে।

এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। এসময় ভালো ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ত্বকে কোনওকিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য রোজ ভিটামিন সি যুক্ত ফল-যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, আমলকী খাওয়ান। ছোটখাটো সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এতে প্রতিরোধ হবে।

ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। দু-দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরে মুখে অরুচি হলে বাচ্চা যা খেতে চায় তাই দিন, তবে তেল-ঝাল-মশলা বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে দিন। যেমন, স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ, চিঁড়ের পোলাও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হলে বাচ্চাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো। এর থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।