ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যত কম হয়, ততই ভালো বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‌‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যত কম হয়, ততই ভালো। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।’

গতকাল বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে- এমন প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের ‍গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেওয়া হবে। নির্বাচন নির্ভর করছে সংস্কারের গতির ওপর।’

সাংবিধানিক সংস্কারে দেশের সবাইকে এক হতে হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাতে সরকার, সংসদ, নির্বাচনী বিধি কেমন হবে, এ বিষয়ে একমত হওয়া যায়। এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দেওয়া হবে এবং নির্বাচিত লোকেরা দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, যেকোনো সরকারই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে। তার সরকারও আছে।তবে এটি সমাধান করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন তিনি। এরপর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যত কম হয়, ততই ভালো বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‌‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যত কম হয়, ততই ভালো। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।’

গতকাল বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন থাকবে- এমন প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের ‍গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেওয়া হবে। নির্বাচন নির্ভর করছে সংস্কারের গতির ওপর।’

সাংবিধানিক সংস্কারে দেশের সবাইকে এক হতে হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাতে সরকার, সংসদ, নির্বাচনী বিধি কেমন হবে, এ বিষয়ে একমত হওয়া যায়। এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দেওয়া হবে এবং নির্বাচিত লোকেরা দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, যেকোনো সরকারই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে। তার সরকারও আছে।তবে এটি সমাধান করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন তিনি। এরপর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।